Site icon The News Nest

আচমকাই সল্টলেকে গোর্খা ভবনে বিমল গুরুং,ভোল বদলে ধরলেন দিদির হাত

bimal guru roshan giri salil

তিন বছর পর প্রকাশ্যে এসেই বোমা ফাটালেন বিমল গুরুঙ্গ।১৮০ ডিগ্রি ঘুরে রাজনৈতিক ভোলবদল করলেন ‘গোর্খা জনমুক্তি মোর্চা’-র প্রাক্তন সভাপতি বিমল গুরুং।বিজেপি তথা এনডিএ-র সঙ্গ ত্যাগ করার কথা ঘোষণা করে ২০২১ সালের বিধানসভা ভোটে তৃণমূলের সঙ্গে গাঁটছড়া বাঁধার কথা ঘোষণা করলেন পাহাড় থেকে ‘বহিষ্কৃত’ এই নেতা।

জানিয়ে দিলেন, ‘নরেন্দ্র মোদী, অমিত শাহেদের সঙ্গে ছিলাম। কিন্তু কোনও প্রতিশ্রুতি রাখেননি তাঁরা। ৬ বছর হয়ে গেল। তাই এবার তৃণমূলের সঙ্গে মিলে ওনাদের জবাব দেব। ২০২১-এ তৃণমূলকে সমর্থন করব আমরা।’

আরও পড়ুন : সাবধান ! কাল আপনার কাছেও আসতে পারে গেরুয়া আইটি সেলের ফোন কল

গুরুং বলেন , ‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যা কথা দিয়েছিলেন, তাই রেখেছেন। কিন্তু মোদীরা তা করেননি।’ তবে, গোর্খাল্যান্ড দাবি তিনি ছাড়বেন না বলে আবারও দাবি করেছেন। সেই সূত্রেই ২০২৪-এর লোকসভা ভোটে যাঁরা গোর্খাল্যান্ড ইস্যু সমর্থন করবে, তাঁদের আবার সমর্থন করবেন বলে দাবি তাঁর। গুরুঙ্গের অবশ্য আপাতত মন্তব্য, ‘বাংলার শাসন দেখলাম, কেন্দ্রের শাসন দেখলাম। কেন্দ্রে প্রধানমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী কোনও কথাই রাখেননি। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কিন্তু যতটুকু বলেছেন, করেছেন।’

মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ধর্মতলা এলাকার একটি হোটেলে পাশে রোশন গিরিকে বসিয়ে সাংবাদিক সম্মেলন শুরু করেন গুরুং। জানান, বিগত ছ’বছর তাঁর দল বিজেপি-র জোটসঙ্গী। তারপরেও কেন্দ্রীয় সরকার তাঁদের ‘গোর্খাল্যান্ড’-র দাবি নিয়ে কোনও উচ্চবাচ্য করেনি। কথা দিয়েও কথা রাখেনি।

এরপরেই তিনি শুরু করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রশংসা করতে। গুরুং বলেন, ‘‘এখনও পর্যন্ত মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় একমেবাদ্বিতীয়ম। একমাত্র মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেই দেখলাম, যা বলেন সে কথা রাখেন।” এক নিঃশ্বাসে গুরুং বলেন, ‘‘২০২১ সালে আমি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেই মুখ্যমন্ত্রী দেখতে চাই।”

গুরুং –র কলকাতা আসা নিয়ে এদিন সকাল থেকেই জল্পনা শুরু হয়েছিল। শোনা যাচ্ছিল, তিনি নবান্নে যাবেন। পাহাড় রাজনীতির একাংশ আড়ালে বলতে শুরু করেছিল, রাজ্য সরকারের সঙ্গে সমঝোতা হয়ে গিয়েছে বিমল গুরুঙ্গদের। বাস্তবে সেটাই সত্যি হল।

এখনও রাজ্য পুলিশের খাতায় ‘মোস্ট ওয়ান্টেড’ গুরুং। তার পরেও খাস কলকাতায় তাঁর এ ভাবে প্রকাশ্যে আগমন পরিবর্তিত সমীকরণের ইঙ্গিতই জোরাল করেছে। সন্ধ্যায় সেই ইঙ্গিত স্পষ্টতর হয় গুরুংয়ের সাংবাদিক সম্মেলনের পর।কৌতূহলের বিষয় হল, সত্যিই কি শাসক দলের সঙ্গে কোনও সমঝোতা হয়েছে গুরুংয়ের? না হলে যে গুরুং এতোদিন গা ঢাকা দিয়েছিলেন তিনি সশরীরে সল্টলেকে কেন? কেনই বা পুলিশ তাঁকে গ্রেফতার করতে সক্রিয় নয়?

আরও পড়ুন : খিদে পেলেই বিস্কুট খান? ডেকে আনছেন অজানা বিপদ কিন্তু…

Exit mobile version