Site icon The News Nest

কোভিডমুক্ত হয়েও প্রয়াত মইনুদ্দিন শামস, নলহাটি কেন্দ্রে শোকের ছায়া

mainuddis samos1 1614950391

রাজ্যে করোনা চিত্রে (West Bengal Corona Update) সামান্য আশার আলো দেখা গেলেও মারণ ভাইরাস প্রাণ কাড়ল আরও এক প্রবীণ রাজনীতিবিদের। কোভিড আক্রান্ত হয়ে প্রয়াত হলেন নলহাটি বিধানসভার প্রাক্তন তৃণমূল বিধায়ক মইনুদ্দিন শামস (Moinuddin Shams)। ২০১৬ সালে নলহাটি কেন্দ্র থেকে তৃণমূলের টিকিটে লড়ে জিতলেও, এবার তাঁকে টিকিট দেননি তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যেপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। তাই কিছুটা ক্ষুব্ধ হয়ে এবার ওই কেন্দ্রে নির্দল হিসেবে লড়েছিলেন শামস। কিন্তু জিততে পারেননি তিনি। আর ভোট মিটতে না মিটতেই মারণ ভাইরাসের থাবায় প্রাণ খোয়ালেন তিনি।

মইনুদ্দিন শামসের পরিবার সূত্রে খবর, দিন কয়েক আগেই শরীরে করোনার একাধিক উপসর্গ দেখা দেয় তাঁর। চিকিৎসকরা তাঁর করোনা টেস্টের পরামর্শ দেন। গত ৫ মে মইনুদ্দিন শামসের করোনা ধরা পড়ে। কিন্তু এরপর থেকেই তাঁর শারীরিক অবস্থার অবনতি হতে থাকে। তাঁকে ভর্তি করা হয় কলকাতার একটি বেসরকারি হাসপাতালে। সেখানকার চিকিৎসায় ভালো সাড়াও দেন তিনি। মাত্র চার দিন আগে কোভিডমুক্ত হয়ে বাড়ি ফিরে গিয়েছিলেন। কিন্তু ফের অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি। আর রবিবার সকালে মৃত্যু হয় প্রবীণ এই রাজনীতিকের। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৫৪ বছর। প্রসঙ্গত, তিনি বাম জামানার মন্ত্রী খাদ্যমন্ত্রী কলিমুদ্দিন শামসের ছেলে।  করোনা নেগেটিভ হলেও ঝাঁঝরা করে দিচ্ছে এই মারণ ভাইরাস, মতামত বিশেষজ্ঞদের। এক্ষেত্রেও কোভিডমুক্ত হলেও ভাইরাসের মারণ থাবাই মইনুদ্দিন শামসের মৃত্যুর অন্যতম কারণ, জানা যাচ্ছে এমনটাই।

আরও পড়ুন: পালটা চাপ? আর্থিক তছরুপ মামলায় CID-র নোটিশ পড়ল অর্জুন সিংয়ের বাড়িতে

উল্লেখ্য, কিছুদিন আগে করোনা আক্রান্ত হয়েই মৃত্যু হয়েছিল নদিয়ার অন্যতম প্রবীণ রাজনীতিবিদ, তেহট্টের বিদায়ী বিধায়ক গৌরীশঙ্কর দত্তের। এছাড়া নির্বাচন চলাকালীন একাধিক প্রার্থী ও রাজনীতিবিদের মৃত্যু হয়েছে করোনা সংক্রমণে। খড়দহের কাজল সিনহার ক্ষেত্রেও একই ঘটনা ঘটেছিল। সামসেরগঞ্জ ও জঙ্গিপুর বিধানসভা কেন্দ্রের প্রার্থীরাও করোনা সংক্রমণে আক্রান্ত হয়ে মারা যান। সবমিলিয়ে শোকের ছায়া রাজনৈতিক মহলে।

প্রসঙ্গত, রাজ্যে করোনার সংক্রমণ কমলেও ভয়াবহ আকার নিচ্ছে করোনা ভাইরাসের নতুন স্ট্রেন। শনিবার রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, শুক্রবার রাজ্যে করোনা প্রাণ কাড়ে ১৫৪ জনের। মৃত্যুর হার বৃদ্ধি নিয়ে কিছুতেই কাটছে না উদ্বেগ। এদিন কোভিডে আক্রান্ত হন ১৮ হাজার ৮৬৩ জন।। করোনামুক্ত হয়ে ওঠেন ১৯ হাজার ২০২ জন। এই মুহূর্তে রাজ্যে সুস্থতার হার ৮৮.৩২ শতাংশ।

আরও পড়ুন: Cyclone Yaas: বিপর্যয় মোকাবিলার চূড়ান্ত প্রস্তুতি বৈঠক সারলেন মমতা

 

Exit mobile version