Site icon The News Nest

না ফেরার দেশে পাড়ি দিলেন মওলানা আজাদ অ্যাকাডেমির কর্ণধার আবদুল মুজিদ

abdul muzid

বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ ও হাওড়ার হাল্যানের মওলানা আজাদ অ্যাকাডেমির প্রতিষ্ঠাতা ও কর্ণধার মাওলানা আবদুল মুজিদ প্রয়াত। আজ বৃহস্পতিবার রাতা আটটা নাগাদ হাওড়ার হাল্যানে অবস্থিত আজাদ অ্যাকাডেমিতেই হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে তিনি মারা যান বলে খবর । তাঁর এই মৃত্যুতে শিক্ষা মহলে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।

মাওলানা আবদুল মুজিদ হাওড়ার হাল্যানের ভূমিপুত্র। তিনি আলিয়া মাদ্রাসা থেকে টাইটেল পাস করার পর বঙ্গবাসী কলেজ থেকে স্নাতক হন। পরে এলএলবি করেন। হাই মাদ্রাসার কিছু পাঠ্যবইও লেখেন।পেশাগত জীবনে তিনি পশ্চিমবঙ্গ মাদ্রাসা শিক্ষা পর্ষদে কর্মরত ছিলেন। সেখান থেকে অবসর নেওয়ার পর মুসলিমদের শিক্ষায় এগিয়ে নিয়ে যেতে কিছু শুভানুধ্যায়ীর সহযোগিতায় হাল্যানে মওলানা আজাদ অ্যাকাডেমি প্রতিষ্ঠা করেন।

আরও পড়ুন : হারা ম্যাচ! জম্মু ও কাশ্মীরের মর্যাদা ফেরত চাই, মেহবুবার হাত ধরলেন ফারুক আবদুল্লা

আবাসিক এই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটি অল্প সময়ে সংখ্যালঘু শিক্ষা বিস্তারে বিশেষ ভূমিকা পালন করে। কৃতী ছাত্র তৈরিতে সুখ্যাতি অর্জন করেন। সংখ্যালগু মুসলিমদের মধ্যে যারা শিক্ষার আলো দেখানোর কাজ করেছেন নিঃসন্দেহে আব্দুল মুজিদ তার অন্যতম।

বাঙালি মুসলিম পরিবারগুলির ভিতর একটা ইনকিলাব চলে এসেছে। এই ইনকিলাব শিক্ষার।মিডিয়ার দৃষ্টি আকর্ষণের চেষ্টা না করে যে কজন এই শিক্ষা বিস্তারে নিরলস কাজ করে গিয়েছেন তাদের মধ্যে নিশ্চয় প্রথম সারিতেই ছিলেন আব্দুল মুজিদ। এখানে একটা আফসোসের কথা হল এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলিকে তথাকথিত চেনা মিডিয়া ‘মুসলিমদের’ বেপার বলে মনে করে। তা নিয়ে বাংলার কোনও বড় মিডিয়াতেই তেমন উৎসাহ ব্যাঞ্জক কোনও প্রতিবেদন প্রকাশ নজরে আসেনা। এ ক্ষেত্রে রামকৃষ্ণ মিশনের সঙ্গে তুলনা না টানাই ভালো। হয়ত প্রচার মাধ্যমের মানসিকতার এমন স্থবিরতা কেটে যাবে কোনও একদিন। সে প্রত্যাশা সম্বল করেই থাকবেন শিক্ষায় নব আগ্রহী বাঙালি মুসলিম।

আরও পড়ুন : ‘অনুদান কি শুধু দুর্গাপুজোতে? ঈদে দিয়েছিলেন?’ রাজ্য সরকারকে প্রশ্ন আদালতের

Exit mobile version