রাজনৈতিক সভাতেও ‘জয় শ্রীরাম’ বললেন না মোদী, শুধু ‘রামকার্ড’ দেখানোর আবেগে সুড়সুড়ি

‘জয় শ্রীরাম’ ধ্বনি নিয়ে ২৩ জানুয়ারি থেকেই উত্তপ্ত বাংলার রাজনীতি।
Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest

এক বারও ‘জয় শ্রীরাম’ উচ্চারণ করলেন না হলদিয়ার সভায়। কিন্তু মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ‘রামকার্ড’ দেখানোর কথা বলে, ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়ালের ‘জয় শ্রীরাম’ কাণ্ডকে যেন নতুন করে ইন্ধন দিয়ে গেলেন নরেন্দ্র মোদী।

এদিন প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বাংলার মানুষ ফুটবল ভালবাসেন। তাই আমি ফুটবলের ভাষায় বলবো, তৃণমূল সরকার একের পর এক ফাউল করে ফেলেছে। অপশাসনের ফাউল, বিরোধীদের ওপর হামলা ও হিংসার ফাউল, বাংলার মানুষের টাকা লুঠ করার ফাউল। ধর্মবিশ্বাসের ওপর আঘাত করার ফাউল। বাংলার মানুষ সব দেখছেন। তাই খুব তাড়াতাড়ি বাংলা তৃণমূলকে রাম কার্ড দেখাবে’।

তৃণমূলকে মোদীর হুঁশিয়ারি, ‘সময় আর পরিস্থিতি বদলে গিয়েছে। পিসি-ভাইপোবাদকে পশ্চিমবঙ্গ থেকে বিদায় দেওয়ার জন্য আপনারা প্রস্তুতি সেরে ফেলেছেন। তৃণমূলের নেতারাও পিসি-ভাইপোবাদে অতিষ্ঠ। তারা বাংলার সেবা করার জন্য উন্মুখ। তাই ওদের সঙ্গে রাম রাম করে এদিকে জয় শ্রীর রাম করতে এসেছেন’।

আরও পড়ুন: মাঘের শেষে হাড় কাঁপানো ঠান্ডা রাজ্যে, ১৬টি জেলায় শৈতপ্রবাহের সর্তকতা জারি

২ সপ্তাহ আগে তাঁরই আমন্ত্রণে ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়ালে গিয়ে ‘জয় শ্রীরাম’ শুনতে হয়েছিল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। বক্তৃতা না দিয়ে মঞ্চ ছাড়েন মুখ্যমন্ত্রী। এ নিয়ে বিতর্ক কম হয়নি। সে দিনের সরকারি অনুষ্ঠানে এ সম্পর্কে কোনও কথা বলেননি নরেন্দ্র মোদী। ‘জয় শ্রীরাম’ ধ্বনি নিয়ে ২৩ জানুয়ারি থেকেই উত্তপ্ত বাংলার রাজনীতি। শনিবার বাংলায় এসে বিজেপি সভাপতি জেপি নড্ডাও ওই ধ্বনিতে ‘মমতা কেন ভয় পাচ্ছেন’ তা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। এ দিন মোদীর মুখে সেই ধ্বনি শোনা না গেলেও তাঁকে স্বাগত জানাতে বেশি করে যেন ‘জয় শ্রীরাম’ আওয়াজ তোলা হয় হলদিয়ায়।

মোদী তাঁর হলদিয়ার বক্তৃতায় দাবি করেন, বিজেপি-ই বাংলায় সরকার গড়ছে। বিধানসভা নির্বাচনের আগে রাজ্যে তাঁর প্রথম রাজনৈতিক জনসভায় মোদী বলেন, ‘‘বাংলায় এ বার আসল পরিবর্তন আসবে।’’

বিজেপি রাজ্য নেতৃত্বের সুরে মোদীর মুখেও রবিবার উঠে আসে ‘পিসি-ভাইপো’ শব্দবন্ধ। মমতা ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে আক্রমণ করতে মোদী বলেন, ‘‘বুয়া-ভাতিজাবাদে তিতিবিরক্ত বাংলার মানুষ। আর কিছুদিন অপেক্ষা করলেই বাংলা তোলাবাজি, সিন্ডিকেটরাজ ও অপশাসন থেকে মুক্তি পাবে।’’ সদ্যই তৃণমূল ছেড়ে বিজেপি-তে যোগ দেওয়া শুভেন্দু অধিকারী, রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় রবিবার মোদী আসার আগেই ওই মঞ্চ থেকে বক্তৃতা করেন। তাঁদের নাম না করে স্বাগত না জানালেও বক্তৃতার মধ্যে সেটা বুঝিয়ে দেন। বলেন, ‘‘তৃণমূলের যে কর্মীরা বুয়া ভাতিজায় অতিষ্ঠ , তারাও এখন বাংলার জন্য কাজ করতে চেয়ে ওখান থেকে ‘রাম রাম’ করে এখানে ‘জয় শ্রীরাম’ করতে চলে এসেছেন।’’

তাঁর কথায়, দিল্লিতে বাম, কংগ্রেস ও তৃণমূল বন্ধঘরে বসে ষড়যন্ত্র করে। তাই আসন্ন ভোটে বিজেপির লড়াই তৃণমূলের সঙ্গে তো বটেই। কিন্তু তাদের ‘লুকিয়ে থাকা বন্ধুদের থেকেও সাবধান থাকতে হবে’ বলে কংগ্রেস ও বামেদেরও নিশানা করেন প্রধানমন্ত্রী।

সভায় বাংলায় বক্তব্য শুরু করা থেকে বাঙালি মনীষীদের নামোচ্চারণ কিছুই বাদ দেননি মোদী। নেতাজি, বিবেকানন্দ, শ্যামাপ্রসাদ থেকে মাতঙ্গিনী হাজরা, ক্ষুদিরাম, সতীশ সামন্ত-সহ অনেকের নামই নিয়েছেন বক্তব্যে। তবে ‘জয় শ্রীরাম’ ধ্বনি দেননি। কিন্তু তার বক্তব্য বার বার উঠে এসেছে ‘রাম’ নাম।

আরও পড়ুন: শোভন – বৈশাখীর বিরুদ্ধে মানহানির মামলা করলেন দেবশ্রী রায়, কোর্টেই জবাব দেব, বললেন শোভন-বান্ধবী

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest