সকালের সৌজন্য বিকেলে ফের বদলাল কোন্দলে। স্বাধীনতা দিবসের সন্ধ্যায় রাজভবনের চা-চক্রে মুখ্যমন্ত্রী যোগ না দেওয়ায় তিনি ‘ব্যথিত’ বলে টুইট করলেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়। যদিও শনিবার সকালে পতাকা উত্তোলন করেই রাজভবনে গিয়ে রাজ্যপালের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর সঙ্গে ছিলেন মুখ্যসচিব-সহ অন্যান্য পদস্থ আমলারা।
বিকালে চা-চক্রে মুখ্যমন্ত্রী যোগ দিতে পারবেন না। আগে ভাগেই তা জানিয়ে দেওয়া হয়েছিল রাজভবনকে। করোনা সংক্রমণ এবং নিয়ন্ত্রণবিধি মেনে তিনি সন্ধ্যায় আসতে পারবেন না তাই সকালে এই ঝটিকা সফর সারলেন বলে সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। কিন্তু তাতে বিতর্ক থেমে থাকল না। বিতর্ক উস্কে দিলেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড় নিজেই। চা-চক্রে মুখ্যমন্ত্রীর জন্য যে আসন নির্দিষ্ট করে রাখা হয়েছিল, সেই শূন্য আসনের ছবি টুইট করে মুখ্যমন্ত্রীর অনুপস্থিতি নিয়ে প্রশ্ন তুললেন তিনি। তাঁর বক্তব্য, ‘‘ফাঁকা আসনটি থেকে স্পষ্ট যে একটা অপ্রত্যাশিত পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে, যা কিনা বাংলার সমৃদ্ধ সংস্কৃতি এবং নৈতিকতার খাপ খায় না।’’ মুখ্যমন্ত্রী সম্পর্কে স্বাধীনতা দিবসের সন্ধ্যায় এই মন্তব্যই করলেন রাজ্যপাল।
আরও পড়ুন: ঘরের ভিতর চিড়িয়াখানা! বাঘ-সিংহ-শিম্পাঞ্জি-হাতি-লাল পান্ডারা এ বার ফেসবুক লাইভে
Absence of CM and officials @MamataOfficial on occasion of Independence Day celebration at Raj Bhawan has like many startled and stunned me. We need to rise to occasion as respect to freedom fighters who gave their all to secure for us freedom and democracy. Iam at loss of words. pic.twitter.com/fAUByqxTp7
— Governor West Bengal Jagdeep Dhankhar (@jdhankhar1) August 15, 2020
ধনখড় আরও লেখেন, ‘‘রাজভবনে স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী এবং তাঁর প্রশাসনিক আধিকারিকদের অনুপস্থিতিতে আমি স্তম্ভিত। যাঁরা দেশের স্বাধীনতা এবং গণতন্ত্রের সব কিছু বিসর্জন দিয়েছেন, এই দিনে তাঁদের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হওয়া প্রয়োজন। আমি বাকরহিত।’’ ধনখড়ের দাবি, ‘‘চা-চক্রে শামিল না হয়ে মুখ্যমন্ত্রী ও তাঁর প্রশাসনিক আধিকারিকরা খারাপ নজির গড়েছেন। সংবিধান মেনে না চলার আরও এক বেদনাদায়ক দৃষ্টান্ত। রাজনৈতিক হিংসা এবং হত্যার ঘটনা রাজ্যের আইন-শৃঙ্খলাকে আরও বিপজ্জনক করে তুলছে।’’
কিন্তু মুখ্যমন্ত্রী আসবেন না, সেকথা যখন নবান্নের তরফে রাজভবনকে জানানো হয়েছিল, তার পরেও ফাঁকা চেয়ারের ছবি দিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর সৌজন্য নিয়ে প্রশ্ন তোলা রাজ্যপালের পক্ষে আদৌ সৌজন্যমূলক কি না, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন অনেকেই।
আরও পড়ুন: স্বাধীনতা দিবসে পতাকা উত্তোলন ঘিরে খানাকুলে তৃণমূলের সঙ্গে সংঘর্ষ, নিহত BJP কর্মী