‘স্বাস্থ্যসাথী’ করলেন বিজেপি সভাপতির পরিবার, মুখে মুখ্যমন্ত্রীর প্রশংসাও! অস্বস্তিতে বিজেপি

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest

মুখে রাজ্যের স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্প নিয়ে কড়া সমালোচনা করলেও বিজেপি’‌র অবস্থান এবার কিছুটা হলেও ধাক্কা খেল। কারণ এবার বিজেপি‌র প্রথমসারির নেতার পরিবার এই পরিষেবা নিতে দুয়ারে সরকার ক্যাম্পে হাজির হলেন। আর করিয়ে নিলেন স্বাস্থ্যসাথীর কার্ড।

শনিবার ঝাড়গ্রামের ১৪ নম্বর ওয়ার্ডে দুয়ার সরকার ক্যাম্প হাজির হন জেলা বিজেপির সভাপতি সুখময় শতপথীর বাবা, মা, বোন-সহ অন্যান্য পরিজনরা। প্রায় আড়াই ঘণ্টা লাইনে দাঁড়িয়ে ছবি তোলা-সহ বাকি কাজগুলি করান। মুখ্যমন্ত্রীর ভূয়সী প্রশংসা করেন তাঁরা। সুখময়ের জেঠু ও জেঠিমাও স্বাস্থ্যসাথীর কার্ড নিয়েছেন। বিধানসভা নির্বাচনের প্রাক্কালে এটাই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারের সাফল্য বলে মনে করা হচ্ছে। যদিও জেলা সভাপতির স্ত্রী-মেয়ে যাননি স্বাস্থ্যসাথী কার্ড করাতে। কয়েকদিন আগে বারাসত পুরসভার মুখ্য প্রশাসক স্থানীয় বিজেপি কর্মী অসুস্থ হওয়ায়, তাঁর বাড়ি গিয়ে স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্পের কার্ডের ব্যবস্থা করে দিয়েছেন।

সূত্রের খবর, গত ৫ ডিসেম্বর ঝাড়গ্রাম পুর এলাকার ১৪ নম্বর ওয়ার্ডের ‘দুয়ারে সরকার’ শিবিরে স্বাস্থ্যসাথীর কার্ডের জন্য আবেদন করেছিলেন সুখময়ের পরিবারের সদস্যরা। শনিবার ওই ওয়ার্ডের কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাসে স্বাস্থ্যসাথীর কার্ডের ছবি তোলার দিন ছিল। উপভোক্তাদের কার্ডও দেওয়া হচ্ছিল। ছবি তুলতেই শিবিরে যান সুখময়ের বৃদ্ধ বাবা ৮৯ বছরের অবনীবান্ধব শতপথী, বৃদ্ধা মা ৭৫ বছরের স্নেহলতা শতপথী, বোন অর্চনা শতপথী। সুখময়ের জেঠু ৯১ বছরের অবলাবান্ধব শতপথী, জেঠিমা ৭৮ বছরের বনলতাও গিয়েছিলেন। তাঁরা ভরসা রেখেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্পের উপর।

আরও পড়ুন: সকাল থেকে ব্যস্ততা কাটোয়ার কৃষক পরিবারে! বিখ্যাত বেগুনি- সর্ষে ফুলের বড়া, আজ নাড্ডার পাতে আর কী?

খোদ জেলা সভাপতির পরিবার স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্পের সুবিধা নিতে ক্যাম্পে যাওয়ায় এবং মুখ্যমন্ত্রীর উদ্যোগের প্রশংসা করায় রীতিমতো অস্বস্তিতে বিজেপি। কেন তাঁর পরিবার স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্পের সুবিধা নিচ্ছেন, তার উত্তর সুখময় শতপথী বলেন, “এটা রাজ্যের প্রকল্প। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ব্যক্তিগত সম্পত্তি নয়। আর কার্ড না নিলে আদতে বোঝা সম্ভব নয়, আদৌ ওই কার্ড কোনও কাজের কি না। মুখ্যমন্ত্রীর ক্ষমতা থাকলে আয়ুষ্মান ভারত চালু করুক। বিজেপি ক্ষমতায় এলে আয়ুষ্মান ভারত প্রকল্প চালু হবে রাজ্যে। তখন কার্ড করাব।”

তবে ঝাড়গ্রাম জেলা তৃণমূলের সভাপতি দুলাল মুর্মু বলেন, ‘সুখময়বাবু নিজেও কার্ড নিলে ভালো করতেন। ওঁর পরিবারের সদস্যরা প্রমাণ করে দিয়েছেন, তাঁরা মুখ্যমন্ত্রীর উন্নয়নে আস্থাশীল।’ পূর্ব মেদিনীপুর, পশ্চিম মেদিনীপুর এবং ঝাড়গ্রাম মিলিয়ে সবকটি আসনেই বিধানসভায় হারাবেন বলে দাবি করেছিলেন অধুনা বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারী। সেখানে এই ঘটনা তাঁকেও অস্বস্তিতে ফেলে দিল বলে মনে করা হচ্ছে।

আরও পড়ুন: বাড়ি গিয়ে শষ্য সংগ্রহ করেছিলেন নাড্ডা, ২৪ ঘণ্টা না যেতেই তৃণমূল কার্যালয়ে হাজির ৫ কৃষক

 

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest