Site icon The News Nest

দেবী শয়নকক্ষে থাকলে দর্শনের অনুমতি নেই, নাড্ডার সর্বমঙ্গলা মন্দির দর্শন নিয়ে জটিলতা

nadda

BJP president JP Nadda didn’t get permission to visit Sarbamangala temple

নিজস্ব প্রতিবেদন : আজ রোড শো’র পর নাড্ডার (JP Nadda) সর্বমঙ্গলা মন্দির দর্শন নিয়েও তৈরি হল জটিলতা। নির্ধারিত সময় অনুযায়ী, শনিবার দুপুর ৩টে ৫মিনিটে ওই মন্দিরে যাওয়ার কথা বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতির। কিন্তু দুপুর ১টা থেকে ৪টে পর্যন্ত দেবী থাকেন শয়নকক্ষে। মন্দিরের দরজা বন্ধ থাকে ওই সময়।

মন্দির কর্তৃপক্ষের দাবি, ভিভিআইপির সফরের বিষয়ে আগে থেকে তাঁদের কিছুই জানানো হয়নি। তাই ওই সময়ে মন্দিরে নাড্ডা গেলেও দেবীর দর্শন সম্ভব নয়। নিয়মের ব্যতিক্রম ঘটিয়ে কোনওভাবেই দর্শনের অনুমতি দেওয়া যাবে না বলেই সাফ জানিয়েছে মন্দিরের ট্রাস্ট বোর্ড। আদৌ নাড্ডা প্রতিমা দর্শন করতে পারেন কিনা, সেদিকেই নজর সকলের।

বিজেপির মত করে ধর্মকে রাজনীতির স্বার্থে ব্যাবহার করেনি আর কোনও দল। হিন্দু ধর্মের ঐতিহ্য ও উদারতার দফা-রফা করে ছেড়েছে তারা। বিজেপির হিন্দুত্ব আসলে রাজনৈতিক হিন্দুত্ব। তাতে বিদ্বেষ রয়েছে, কপটতা রয়েছে, কিন্তু হিন্দু ধর্মের প্রকৃত উদারতা নেই। সেই অর্থে বিজেপির সময়কালে সত্যিই ‘হিন্দু খতরেমে।’

আরও পড়ুন: ৩টে বিয়ে, ৬টা সন্তান, ৮ কোম্পানি! জানুন পৃথিবীর ধনীতম ব্যক্তি সম্পর্কে

বিধানসভা নির্বাচনের আগে শনিবার পূর্ব বর্ধমান সফর বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতির। অন্ডাল বিমানবন্দর থেকে হেলিকপ্টারে প্রথমে কাটোয়ার জগদানন্দপুরে যাবেন তিনি। সেখানে গোপীনাথ জিউ মন্দিরে পুজো দিয়ে মুস্থুলি গ্রামে জনসভা রয়েছে জেপি নাড্ডার।

যতদিন পর্যন্ত হিন্দুধর্মকে এই ভাবে রাজনীতির হাতিয়ার বানানো হবে, ততদিন সত্যিই হিন্দুদের বিপদ কাটবে না। একথা যতদিন না সচেতন হিন্দু উপলব্ধি করতে পারছে,ততদিনে জয়শ্রীরাম স্লোগান দিয়ে তাদের বোকা বানিয়ে রাখা সহজ।

সত্যিই হিন্দুর বিপদ বাড়ছে দিন দিন। এদেশে হিন্দু যদি ভালো না থাকে তাহলে বাকি সংখ্যালঘুদের অবস্থা আরও খারাপ হবে। কারণ গরিষ্ঠের প্রভাব পরে লঘিষ্টের ওপর। যেভাবে হিন্দু ধর্মকে ব্যবহার করে রাজনৈতিক ফায়দা লোটার চেষ্টা হচ্ছে, তা সব সংখ্যালঘুদের মধ্যেও ছড়িয়ে পড়বে করোনার মত। বহু দিন ধরে প্রগতিশীল হিন্দুরা মুসলিমদের উন্নয়ন নিয়ে চিন্তিত ছিলেন। এবার তাদের নিজেদের দিকে তাকাবার সময় এসেছে।

ময়দানে আল্লাহু আকবার স্লোগান দেওয়া ধান্দাবাজ মুসলিমদের মুসলমানরাই চিনে ফেলেছে। সে কারণে গোটা দেশে সেই অর্থে মুসলিমদের কোনও দল তেমনভাবে মাথা তুলে দাঁড়াতে পারেনি (মিম এবং মুসলিমলীগ বাদে) । তারাও নিজেদের এলাকাতেই কার্যত সীমাবদ্ধ। মুসলিমরা ধর্ম দেখে ভোট দেওয়া ছেড়ে দিয়েছে বহু দশক আগে। তাই মুসলিম ভোট ব্যাঙ্ক কাজে লাগিয়েছে ধর্ম নিরপেক্ষ দলগুলি।

তবে হিন্দু ধর্ম কেন্দ্রিক রাজনীতি এইভাবে চলতে থাকলে, অঙ্কের নিয়মেই মুসলিমদের কট্টরপন্থী দল প্রকাশ্যে আসবে। তখন লড়াইটা কট্টর হিন্দুত্ববাদী রাজনৈতিক দল বনাম কট্টর মুসলিম রাজনৈতিক দলের মধ্যে হবে। আর সাইড লাইনে বসে সে খেলা দেখবে ধর্ম নিরপেক্ষ দলগুলি।

মুসলিমরা রাজনীতির ক্ষেত্রে ধর্মকে সেভাবে প্রশ্রয় দেয়নি। কিন্তু দুঃখের বিষয় ‘উদার’ ও ‘প্রগতিবাদী’ হিন্দুরা বিজেপির ধর্মীয় রাজনীতির ছকে পা দিল। মুসলিমদের নানা সামাজিক ও ধর্মীয় অনুদারতা নিয়ে যারা এতদিন টিপ্পনি কাটতেন, আজ তারা অনেকেই বিজেপির ধর্ম রাজনীতিকে মেনে নেন। মুসলিমদের কারণে নয়, ছদ্ম প্রগতিবাদী এই লোকগুলোর কারণে আজ ‘হিন্দু খতরে মে।’ মহাকাশের দিকে আলো না ফেলে নিজেদের চলার পথে আলো ফেলতে হবে। তাহলেই অধর্মকে ধর্মের রঙিন প্যাকেটে বিক্রি করা লোকদের ব্যবসা চৌপাট হয়ে যাবে।

আরও পড়ুন: ত্বহা তো আছেনই,আব্বাসকে মোকাবিলা করতে সিদ্দিকুল্লাহকে কাজে লাগাতে পারে তৃণমূল !

 

Exit mobile version