Site icon The News Nest

বাড়ি গিয়ে শষ্য সংগ্রহ করেছিলেন নাড্ডা, ২৪ ঘণ্টা না যেতেই তৃণমূল কার্যালয়ে হাজির ৫ কৃষক

nadda katwa

শনিবার যাঁদের বাড়ি থেকে শষ্য সংগ্রহ করেছিলেন জেপি নাড্ডা (J P Nadda) রবিবার সেই কৃষকদের দেখা গেল তৃণমূল কার্যালয়ে। তৃণমূলের দাবি, ওই পাঁচ কৃষক তাঁদের দলেরই সদস্য। এদিকে বিজেপির দাবি, ভয় দেখিয়ে তাঁদের দলের সদস্যদের তৃণমূলে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে।

‘কৃষক সুরক্ষা অভিযান’ কর্মসূচিতে পূর্ব বর্ধমানের মুস্থুলি গ্রামের বাসিন্দা নিতাই মণ্ডল, পাঁচকড়ি মণ্ডল, সনৎ মণ্ডল, উত্তম মণ্ডল এবং মথুরা মণ্ডল নামে পাঁচ কৃষকের বাড়ি বাড়ি ঘুরে শস্য সংগ্রহ করেন নড্ডা। ২৪ ঘন্টা কাটতে না কাটতেই ওই ৫ কৃষকের পরিবারের সদস্যদের দেখা গেল কাটোয়া শহরের স্টেশন–রোডে তৃণমূল কংগ্রেসের বিধায়ক রবীন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায়ের কার্যালয়ে। ওই কৃষক পরিবারগুলির ভোলবদলে চাপানউতোর তৈরি হয়েছে।

আরও পড়ুন: ফের সভায় প্রবল বিশৃঙ্খলা, নিয়ম করে ‘ভাইপো’র ঘাড়ে দায় চাপালেন শুভেন্দু!

অস্বস্তিতে পড়ে বিজেপির বর্ধমান পূর্ব(গ্রামীণ) জেলা কমিটির সহ–সভাপতি অনিল দত্ত বলেন, ‘‌এটাই তৃণমূল কংগ্রেসের কালচার। আমাদের নেতৃত্ব পশ্চিমবঙ্গের যেখানেই কোনও পরিবারের বাড়িতে গিয়ে আতিথেয়তা গ্রহণ করেছেন সেই পরিবারকে ভয় দেখিয়ে তাঁদের দলে নিয়ে যাচ্ছে। এভাবে বিজেপিকে দমানো যাবে না।’‌

পাল্টা জবাব দিয়ে কাটোয়ার বিধায়ক রবীন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘‌মুস্থুলি গ্রামের যেসব কৃষকদের বাড়িতে বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নড্ডা ভিক্ষাগ্রহণ করতে গিয়েছিলেন ওই সমস্ত পরিবারের সদস্যরা তৃণমূল কংগ্রেসের সঙ্গেই বরাবর ছিলেন, আছেন, থাকবেন। বাংলার কৃষক পরিবারের বৈশিষ্ট্য হল সৌজন্যতা দেখানো। কেউ ভিক্ষা চাইতে গেলে কোনও গৃহস্থবাড়ির মহিলারা ফেরান না। তাই জেপি নড্ডাকে তাঁরা ভিক্ষা দিয়েছেন মাত্র।’‌

এমন ঘটনা প্রথম নয়। বিজেপি সংগঠন ও নেতা তৈরী না করে কেবল তৃণমূলের ভরসায় থাকলে, আগামীতে এমন ঘটনা ঘটা অসম্ভব নয়। বিজেপির ইমপোর্টেড আইডিয়া হল, তৃণমূলে ভাঙ্গন ধরাও। এখানকার বিজেপি ও সংঘ মনস্ক পুরনোরা তা চাননা। কিন্তু শাহ-নাড্ডা কিংবা বিজয় বর্গীয়দের সেটাই পছন্দ। আজেকের বংগো বিজেপির দিকে তাকালে দেখবেন, আদি বিজেপির কোনঠাসা। বাড়ছে ‘তৃণমূলী বিজেপি’দের দাপট।

আরও পড়ুন: সৌরভ নন, এবার ICC-তে বোর্ডের প্রতিনিধি জয় শাহ

Exit mobile version