আর কয়েকমাস বাদেই বিধানসভা নির্বাচন হতে চলেছে পশ্চিমবঙ্গে। তার আগে বঙ্গ বিজেপিতে রদবদল হবে বলে জল্পনা শোনা যাচ্ছিল। অনেকে আবার বলছিলেন, এই রাজ্যের দায়িত্বপ্রাপ্ত পর্যবেক্ষক কৈলাস বিজয়বর্গীয়কে সরিয়ে কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব সরাসরি পরিচালনা করবে। কিন্তু, কালীপুজোর ঠিক একদিন আগে সেই জল্পনায় জল ঢেলে দিয়ে বাংলা জয়ের জন্য সেই কৈলাস বিজয়বর্গীয়র উপরেই আস্থা রাখল বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। তাঁকেই ফের বেছে নেওয়া হল পশ্চিমবঙ্গের বিজেপি পর্যবেক্ষক হিসেবে। আর তাঁর সহযোগী হিসেবে অরবিন্দ মেননের পাশাপাশি দায়িত্ব দেওয়া হল বিজেপির আইটি সেলের প্রধান অমিত মালব্যকে। শুক্রবার বাংলার পর্যবেক্ষক হিসেবে কৈলাস বিজয়বর্গীয়র নামে অনুমোদন দেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা (JP Nadda)।
আরও পড়ুন: ঘুমন্ত ৪ জনকে বাঁশ দিয়ে পিটিয়ে খুন জামুরিয়ায়, পুলিশের জালে অভিযুক্ত
পশ্চিমবঙ্গের পর্যবেক্ষক হিসাবে চলতি বছরেই ৫ বছর পূর্ণ করেছেন মধ্যপ্রদেশের বিজেপি নেতা কৈলাস বিজয়বর্গীয়। ২০১৫ সালের জুলাইয়ে সিদ্ধার্থনাথ সিংকে সরিয়ে তাঁকে পর্যবেক্ষক নিয়োগ করেছিল দলের শীর্ষ নেতৃত্ব। সেই থেকে পশ্চিমবঙ্গে দলের সঙ্গে কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের যোগাযোগের মাধ্যম তিনি। তাঁর জমানাতেই লোকসভা নির্বাচনে ১৮টি আসন জেতে বিজেপি। ৫ বছরে হাতের তালুর মতো পশ্চিমবঙ্গকে চিনেছেন কৈলাস। ছুটে গিয়েছেন রাজ্যের প্রত্যন্ত এলাকায়। সফলভাবে আয়োজন করেছেন নরেন্দ্র মোদী, অমিত শাহের মতো হেভিওয়েটদের পশ্চিমবঙ্গ সফর।
কৈলাসের মতো বদল হয়নি তাঁর ডেপুটিও। স্বপদে বহাল রয়েছেন অরবিন্দ মেননও। দলের অন্দরের নানা মতবিরোধের সমাধানে তাঁর ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ। তাই বিধানসভা নির্বাচনের আগে তাঁকেও সরায়নি বিজেপি।
তবে সহকারী পর্যবেক্ষক হিসাবে অমিত মালব্যর অন্তর্ভুক্তি বেশ তাৎপর্যপূর্ণ। বিজেপি আইটি সেলের প্রধানের ওপর গোটা দেশে সোশ্যাল মিডিয়ায় দলের প্রচারের পুরো ভার। আর বিধানসভা নির্বাচনে তৃণমূলকে টক্কর দিতে বিজেপির অন্যতম হাতিয়ার এই সোশ্যাল মিডিয়া। বিজেপিকে মাত দিতে ইতিমধ্যে সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রচারের ভার প্রশান্ত কিশোরের সংস্থা আইপ্যাকের হাতে তুলে দিয়েছে তৃণমূল। পালটা প্রচারে ঝড় তুলতে তাই অমিত মালব্যকে সরাসরি পশ্চিমবঙ্গে নিয়োগ করলেন বিজেপির থিঙ্কট্যাঙ্কের সদস্যরা।
আরও পড়ুন: বাংলার ৬ জেলায় তৈরি সংগঠন, দিদির দলের সঙ্গে জোটের রাস্তাও খুলে রাখল ওয়েইসির দল