শাকভর্তি বস্তার আড়ালে উঁকি দিচ্ছে মানুষের মাথা! শাশুড়িকে খুন করে খালে ফেলার ছক, ধরা পড়লেন বৌমা

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest

অত্যাচার করতেন শাশুড়ি। বৌমার পক্ষে তা মেনে নেওয়া আর সম্ভব হচ্ছিল না। তাই নিজের বাবা-মা আর মামার সঙ্গে মিলে শাশুড়িকেই সরিয়ে ফেলের ছক কষেছিলেন বৌমা। প্ল্যান  কিছুটা হলেও সাকসেসফুল হয়ে যায়, কিন্তু শেষ রক্ষা হয় না। দেহ ট্যাক্সিতে নিয়ে খালের ফেলার আগেই পুলিসের হাতে ধরা পড়ে যান তাঁরা।

ঘটনার সূত্রপাত শুক্রবার ভোর বেলায়। ভোর সওয়া চারটে নাগাদ পশ্চিম চৌবাগার কাছে বাসন্তী এক্সপ্রেসওয়ের উপর নাকা চেকিং করছিল প্রগতি ময়দান থানার মোটরসাইকেল পেট্রল পার্টি। পুলিশকর্মীরা একটি হলুদ রঙের ট্যাক্সি দাঁড় করান। রুটিন তল্লাশি করতেই তাঁরা ট্যাক্সির ডিকি খুলতে বলেন চালককে। নাকার অন্য পুলিশকর্মীরা লক্ষ্য করেন, চালক ডিকি খুলতেই ট্যাক্সিতে বসা এক ব্যক্তি নেমে চম্পট দেওয়ার তাল করছে। পুলিশ কর্মীরা তাঁকে পাকড়াও করার ফাঁকেই তত ক্ষণে সব্জির বস্তার আড়াল থেকে বেরিয়ে পড়েছে বছর ষাটেকের এক মহিলার রক্তাক্ত দেহ। ট্যাক্সিতে চালক ছাড়া ছিলেন এক মহিলা এবং এক পুরুষ যাত্রী। .

আরও পড়ুন: অবশেষে জামিন পেলেন আরামবাগ টিভির সফিকুল, তাঁর স্ত্রী ও ক্যামেরাম্যান

সঙ্গে সঙ্গে প্রগতি ময়দান থানার পুলিশ ট্যাক্সিচালক-সহ তিন জনকে আটক করে থানায় নিয়ে আসেন। জেরায় জানা যায়, ট্যাক্সির সওয়ার মহিলার নাম মলিনা মণ্ডল এবং তাঁর সঙ্গী পুরুষ যাত্রীর নাম অজয় রং। জেরার মুখে প্রথমে অস্বীকার করলেও, পরে মলিনা এবং অজয় স্বীকার করেন, দেহটি কবরডাঙার বাসিন্দা সুজামনি গায়েনের। মৃত মহিলা মলিনার বড় মেয়ের শাশুড়ি। মেয়ের সঙ্গে তার শাশুড়ির বিবাদের জেরে মলিনা, অজয় এবং মলিনার স্বামী— তিন জন মিলে সুজামনিকে  লাঠি দিয়ে মেরে, গলা টিপে খুন করেছে। তার পর ট্যাক্সিতে দেহ তুলে সব্জির বস্তার আড়ালে নিয়ে বাসন্তী এক্সপ্রেসওয়ের ধারে কোথাও দেহটি ফেলে দেওয়ার পরিকল্পনা ছিল। কিন্তু তার আগেই পাকড়াও হয় তারা।

ধৃতদের জেরা করে জানা গিয়েছে, সুজামনি কালীঘাটের মন্দিরে ফুল বিক্রি করেন। বৃহস্পতিবারও তিনি ফুল বিক্রি করতে গিয়েছিলেন। সেখানে তাঁর সঙ্গে দেখা করেন মলিনা এবং তাঁর ভাই অজয়। তাঁরা ট্যাক্সিতে করে সুজামনিকে নিয়ে আসেন মলিনার প্রগতি ময়দান থানা এলাকার আড়ুপোতার বাড়িতে। সেখানেই সুজামনিকে দুপুরের খাওয়ার পর খুন করে অজয় এবং মলিনা। তারপর লাউ শাক এবং আরও কিছু সব্জি কেনে তারা। বস্তার মধ্যে সুজামনির দেহ ভরে তার উপর সব্জি এবং শাক চাপা দিয়ে চৌবাগার কাছে খালের লকগেটে ফেলে দেওয়ার পরিকল্পনা করেছিল অভিযুক্তরা। প্রাথমিক ভাবে পুলিশের অনুমান জমি সংক্রান্ত কোনও বিবাদের জেরে এই খুন।

অভিযুক্তদের জেরা করে হরিদেবপুর থানার সঙ্গে যোগাযোগ করে পুলিশ ইতিমধ্যেই কবরডাঙার ঘটনাস্থল চিহ্নিত করেছে। বিভাগীয় ডিসি গৌরব লাল জানিয়েছেন, মলিনা, অজয়, ট্যাক্সিচালক ছাড়াও, মলিনার স্বামী বাসু মণ্ডলকে পাকড়াও করা হয়েছে।

আরও পড়ুন: করোনায় মৃত চিকিত্সকের বিল ১৮ লক্ষ! স্বাস্থ্য কমিশনের ‘অনুরোধ’ পেয়েই ৩ লক্ষ টাকা কমালো মেডিকা

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest