আগামিকাল ১২ ঘণ্টার হরতালের ডাক বামেদের, সঙ্গে ‘দোসর’ কংগ্রেস

বামফ্রন্টের চেয়ারম্যান বিমান বসু এক বিবৃতি জারি করে বৃহস্পতিবারের ঘটনার সঙ্গে জালিয়ানওয়ালাবাগের ঘটনার তুলনা করেন।
Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest

বাম যুবদের নবান্ন অভিযান ঘিরে ধুন্ধুমার। শুক্রবার রাজ্যজুড়ে ১২ ঘণ্টার হরতালের ডাক দিল বামেরা। সকাল ৬টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত বাংলায় হরতালের ডাক দিয়েছে তারা। তাদের দাবি, ছাত্রদের উপর যেভাবে নির্বিচারে আঘাত হানা হল তা প্রকৃতপক্ষে গণতন্ত্রের উপরই আঘাত। তাই গোটা রাজ্যের মানুষকে এই হরতালে সামিল হওয়ার আহ্বান জানিয়েছে তারা।

আরএসএস মনোভাবাপন্ন রাজনৈতিক দল বা শক্তি বাদ দিয়ে সব দলকে এই হরতাল সমর্থনের আহ্বান জানান সিপিএমের পলিটব্যুরো সদস্য মহম্মদ সেলিম। ইতিমধ্যে বামেদের ডাকা সেই হরতাল সমর্থন করেছে কংগ্রেস।

আরও পড়ুন: সাবধান! ব্যক্তিগত তথ্য ফাঁস করছে ‘কু’ অ্যাপ, অভিযোগ উঠল চিনা যোগাযোগেরও

বৃহস্পতিবার বাম ছাত্র যুবদের ১০টি সংগঠন নবান্ন অভিযানের ডাক দেয়। সেই অভিযান ঘিরে রণক্ষেত্রের আকার নেয় শহর। বামেদের দাবি, মিছিল শান্তিপূর্ণভাবেই ডোরিনা ক্রসিং অবধি পৌঁছয়। কিন্তু এরপরই পুলিশের সঙ্গে শুরু হয় গোলমাল। কোনও কারণ ছাড়াই পুলিশ তাদের উপর জল কামান ছোড়ে বলে অভিযোগ। এরপর কাদানে গ্যাসের সেল ফাটানো হয়। মিছিল প্রতিহত করতে চলে লাঠিচার্জ। গুরুতর আহত হন ছয় আন্দোলনকারী। আহত হন বহু পুলিশ কর্মীও।

রাজ্যে নয়া শিল্পস্থাপন, বেকারত্ব বৃদ্ধি-সহ একাধিক বিষয় নিয়ে বৃহস্পতিবার নবান্ন অভিযানের ডাক দেয় ১০টি ছাত্র ও যুব সংগঠন। কলেজ স্ট্রিট থেকে মৌলালি হয়ে এসএন ব্যানার্জি রোড ধরে একটি মিছিল পৌঁছয় ডোরিনা ক্রসিংয়ে। নবান্ন অভিযানে যাওয়ার কথা থাকলেও মিছিল এখানেই আটকে দেয় পুলিশ। বাধা দিতেই পুলিশের সঙ্গে শুরু হয় ধস্তাধস্তি। অভিযোগ, পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট-পাটকেল ছুড়তে শুরু করেন আন্দোলনকারীরা।

আহত আন্দোলনকারীদের নিয়ে যাওয়া হয় কলকাতা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। সেখানেই বিকেলে তাঁদের দেখতে যান সিপিআইএম নেতা রবীন দেব। সেখান থেকে বেরিয়ে তিনি বলেন, “আজ যেভাবে ছাত্রদের উপর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পুলিশ নৃশংস হামলা চালাল তার তীব্র ধিক্কার জানাচ্ছি। বাম, কংগ্রেস নির্বিশেষে সকলে এই ঘটনার তীব্র নিন্দা করছে। এভাবে মহিলা ও ছাত্রদের উপর যে হামলা হল তার প্রতিবাদে শুক্রবার সকাল ৬টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত হরতালের ডাক দিয়েছি।”

আলিমুদ্দিন স্ট্রিটে এক সাংবাদিক বৈঠকে সেলিম বলেন, ‘‘আমরা বামফ্রন্ট এবং সমস্ত সহযোগীর সঙ্গে কথা বলেছি, শুক্রবার ১২ ঘণ্টার সাধারণ ধর্মঘট ও হরতাল পালন করা হবে। ওরা মিছিলের গতিপথ স্তব্ধ করতে চেয়েছে। শুক্রবার এ রাজ্যের মানুষ রাজ্যকে স্তব্ধ করবে।’’

বামফ্রন্টের চেয়ারম্যান বিমান বসু এক বিবৃতি জারি করে বৃহস্পতিবারের ঘটনার সঙ্গে জালিয়ানওয়ালাবাগের ঘটনার তুলনা করেন। তাঁর অভিযোগ, ‘‘নবান্ন অভিযানে গিয়ে পুলিশের অত্যাচারে বাম সংগঠনগুলির প্রায় ১৫০ ছাত্রছাত্রী আহত হয়েছেন।’’ পাশাপাশি এর আগে মাদ্রাসা শিক্ষক, পার্শ্বশিক্ষক, মহিলাদের শান্তিপূর্ণ অবস্থানের উপরেও পুলিশি অত্যাচারের কথা তুলে ধরেন বিমান

আরও পড়ুন: নাটকে নতুন মোচড়! শোভন -বৈশাখীর বিরুদ্ধে মামলা দেবশ্রীর, সাক্ষী দিলেন রত্না -কুণাল

 

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest