অনির্দিষ্টকালের জন্যে বন্ধ বিশ্বভারতী, মেলার মাঠে নির্মাণ চাই না, বললেন ক্ষুব্ধ মমতা

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest

বিশ্বভারতীতে পৌষমেলার মাঠে পাঁচিল তোলাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক গন্ডগোল, ভাঙচুর চালানো হল গোটা এলাকায়। তার জেরে অনির্দিষ্ট কালের জন্য বিশ্বভারতী বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিলেন বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। সিদ্ধান্তের কথা জানিয়ে দেওয়া হয়েছে কেন্দ্রীয় শিক্ষা মন্ত্রককে।

পৌষমেলার মাঠ ঘেরা নিয়ে অশান্তি চলছেই। সেই ঘটনা নিয়ে রাজ্যপালও মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ফোন করেছিলেন। আর এই গোটা ঘটনাপ্রবাহে মুখ্যমন্ত্রী যে ক্ষুব্ধ, তা স্পষ্ট। সোমবার সাংবাদিক বৈঠক থেকে মুখ্যমন্ত্রী সাফ জানিয়ে দিলেন, পৌষ মেলার মাঠ ঘেরা তাঁর বিলকুল না-পসন্দ। তবে বিশ্বভারতী কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়, তাই তাতে তিনি কোনও হস্তক্ষেপ করবেন না। সোমবার সকালে মেলার মাঠ ঘেরার প্রতিবাদে এলাকার হাজারখানেক মানুষ ভাঙচুর চালান বিশ্ববিদ্যালয়ের অস্থায়ী অফিসে। ভাঙা হয় বিশ্বভারতীর একটি গেটও। জেসিবি দিয়ে ভেঙে দেওয়া হয় সদ্য শুরু হওয়া পাঁচিলের ভিতের অংশ। বিক্ষুদ্ধ জনতা স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্বের সামনেই বন্ধ করে দেয় নির্মাণ কাজ।

আরও পড়ুন: অবাধে ঘুরছেন করোনা আক্রান্তের ভাই! বাঁচতে গাছের ডালই ভরসা আম জনতার

রাজ্যপাল টুইট করে বিশ্বভারতীর আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। তিনি এ বিষয়ে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলেছেন বলেও জানিয়েছেন টুইটে।এদিন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সাফ বলেন, ‘রাজ‍্যপাল আগে এ নিয়ে টুইট করেছিলেন। তারপর আমাকে ফোন করেছিলেন। আমাদের কথা হয়েছে। রাজ‍্যপাল বলার পর আমি খোঁজ নিয়ে দেখেছি, সেখানে একটা নির্মাণ হচ্ছিল। কিন্তু আমি জেনেছি, সেখানে বেশ কিছু মানুষ ছিল, যারা বহিরাগত। বিশ্বভারতীর পড়ুয়ারা, বোলপুরের মানুষ এটা মেনে নেয়নি। তাঁরা প্রতিবাদ করেছে। এটা যখন আমার কানে আসে, তখন আমি জেলাশাসককে বলি একটা মিটিং করতে। বলেছি বিশ্বভারতীর উপাচার্য, ছাত্রদের প্রতিনিধি ও সাধারণ মানুষের প্রতিনিধিদের নিয়ে মিটিং করতে।’

মুখ্যমন্ত্রী স্পষ্টতই জানিয়ে দেন, ‘আমি চাইনা ওখানে কোন নির্মাণ হোক। উপাচার্য না ডাকলে পুলিশ ভিতরে যেতে পারে না। তবে আমার অনুরোধ থাকবে, এমন কিছু যাতে না হয়, যাতে বাংলার ঐতিহ্যে আঘাত লাগে। কোন গৌরব আঘাতপ্রাপ্ত না হয়, সেটা আমাদের দেখা উচিত।’
নবান্নের সাংবাদিক বৈঠক থেকে মমতার সাফ কথা, “কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর খোলামেলা পরিবেশে এই বিশ্ববিদ্যালয় তৈরি করেছিলেন। প্রকৃতির সঙ্গে তার যোগ রয়েছে। সেখানে প্রাকৃতিক সৌন্দর্য নষ্ট করে পাঁচিল চাই না।” একইসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রীর অভিযোগ, মাঠে পাঁচিল তৈরির সময় নিরাপত্তার দায়িত্বে ছিলেন বহিরাগতরা। যেটা স্থানীয় মানুষের পছন্দ হয়নি। একই সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে জেলাশাসককে বিশ্বভারতীর উপাচার্য ও  ছাত্রছাত্রীদের সঙ্গে কথা বলতেও নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।
Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest