প্রায় সাড়ে ৭ মাস পর রাজ্যে চালু হল লোকাল ট্রেন। বুধবার ভোররাত থেকেই হাওড়া, শিয়ালদহ এবং খড়্গপুর ডিভিশনে শুরু হয়েছে রেল পরিষেবা। করোনা সুরক্ষাবিধির কথা মাথায় রেখে সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে প্রত্যেক স্টেশনে। অধিকাংশ জায়গায় যাত্রীরাও সুরক্ষাবিধি মেনে চলছেন। গোটা প্রক্রিয়ায় কড়া নজরদারি চালাচ্ছে রেল পুলিশ এবং রাজ্য প্রশাসন।
মধ্যরাতে হাওড়া থেকে প্রথম লোকাল ট্রেন ছাড়া হয় মেদিনীপুরে। তাতে হাতে গোনা কয়েকজন যাত্রী ছিলেন। বর্ধমান ভায়া কর্ড লোকালেও যাত্রী সংখ্যা ছিল কম। এর পাশাপাশি বিভিন্ন লোকাল ট্রেন চলাচল শুরু করেছে। সকাল সাড়ে ৭টায় হাওড়া স্টেশনে দেখা গেল পুরনো ছবি। ভোরের দিকে কিছুটা ভিড় কম থাকলেও, বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ভিড় বাড়তে শুরু করেছে।
আরও পড়ুন : মাদককাণ্ডে এবার অর্জুন রামপালের বাড়ি তল্লাশি, অভিনেতাকে সমন পাঠাল NCB
অন্যদিকে হকারদেরও উঠতে দেওয়া হচ্ছে না। এদিন আপ ব্যান্ডেল লোকালে একজন হকার উঠতে যাচ্ছিলেন। পরে রেল পুলিশ তাঁকে নামিয়ে দেয়। প্রত্যেকটি স্টেশনে মোতায়েন রয়েছে পর্যাপ্ত রেল পুলিশ। চলছে কড়া নজরদারি। প্রাথমিকভাবে ৪১৩ টি ট্রেন চালানো হবে শিয়ালদহ সেকশনে ।
২৭০ ট্রেন চলবে শিয়ালদহ উত্তর শাখায় এবং শিয়ালদহ দক্ষিণ শাখা চলবে ১৪৩ টি ট্রেন। আপাতত ২০২টি ট্রেন চালানো হবে হাওড়া ডিভিশনে। সমস্ত স্টেশনেই ট্রেন দাঁড়াবে। আপাতত কোনও গ্যালোপিং ট্রেন নেই। অফিস টাইমে লোকাল ট্রেন চলাচলের উপর বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। প্রত্যেকটি লোকাল ট্রেনে করোনা বিধি মাথায় রেখে চালানো হবে। এর জন্য ট্রেনের কামরা জীবাণুমুক্ত করা হয়েছে। যাত্রীদের মাস্ক পরে ট্রেনে ওঠা বাধ্যতামূলক। সেইসঙ্গে মানতে হবে দূরত্ববিধিও।
পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে ট্রেনের কামরার ভিতর একটি আসন ছেড়ে বসার জন্য যাত্রীদের বলা হচ্ছে। স্টেশনে স্টেশনে ভিডিয়ো দেখিয়ে সতর্কতামূলক প্রচারও করা হচ্ছে রেলের তরফে। ট্রেন সফর করত গেলে মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক। যাত্রীরা নিয়ম মানছেন কি না নজর রাখা হচ্ছে সে দিকেও।