কলকাতা: জামাতুল মুজাহিদিন বাংলাদেশ(জেএমবি)-র এ রাজ্যের অন্যতম শীর্ষ সংগঠক আবদুল করিম ওরফে বড় করিমকে গ্রেফতার করল কলকাতা পুলিশের স্পেশ্যাল টাস্ক ফোর্স (এসটিএফ)। কলকাতা পুলিশ জানিয়েছে, মুর্শিদাবাদের সূতি থানা এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে আব্দুলকে।
অভিযোগ, খাগড়াগড় বিস্ফোরণকাণ্ডের পিছনে রয়েছে জেএমবি। সংগঠনের একাধিক সদস্য ইতিমধ্যে গ্রেপ্তার হয়েছে। জেএমবি’র প্রধান সালাউদ্দিন সালাহিনের অন্যতম সঙ্গী আবদুল করিম মুর্সিদাবাদে ধুলিয়ান মডিউলের প্রধান। পুলিশ সূত্রে খবর, তাকে জেরা করে সালাউদ্দিনের খবর পাওয়া যেতে পারে। ধৃতের কাছ থেকে বেশ কিছু নথি, কাগজপত্র মিলেছে।
আরও পড়ুন: ৭ জুন থেকে খুলে যাচ্ছে সমস্ত সরকারি ও বেসরকারি অফিস, জানিয়ে দিলেন মমতা
এস টি এফ সূত্রে খবর, আব্দুল করিম জেএমবির বিস্ফোরক বিশেষজ্ঞ। এদেশে জেএমবির তিন মোস্ট ওয়ান্টেড জঙ্গির মধ্যে একজন। বুদ্ধগয়ায় যে আইইডি বিস্ফোরণ ঘটেছিল তা সরবরাহ করেছিল জেএমবির অন্যতম এই মাথা।
২০১৮ সালে জানুয়ারি মাসে ওই বিস্ফোরণের ঘটনায় তদন্তভার নেওয়ার পরই আব্দুল করিমের বাড়িতে হানা দিয়েছিল এসটিএফের গোয়েন্দারা। সে সময় তাকে পাওয়া না গেলেও, তার বাড়ি থেকে প্রচুর বিস্ফোরক বাজেয়াপ্ত করা হয়। সেই সময় থেকেই গা ঢাকা দিয়ে বেড়াচ্ছিল আব্দুল করিম। কখনও বিহার, কখনও ঝাড়খন্ড কখনও বা রাজ্যেই নিজের বিভিন্ন আত্মীয়ের বাড়িতে গা ঢাকা দিয়ে বেড়িয়েছে এই জঙ্গি।
এসটিএফের গোয়েন্দাদের দাবি, গত কয়েক বছরে বড় করিম বাংলাদেশেও জেএমবি-র সালাউদ্দিন গোষ্ঠীর লোকজনদের সঙ্গে দেখা করেছে এবং বৈঠক করেছে। করিমের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ ছিল সালাউদ্দিন এবং বাংলাদেশে জেএমবির অন্য এক শীর্ষ নেতা মাস্টারের। এরা দু’জন ২০১৫ সালে করিমের বাড়িতেও থেকেছে।
সালাউদ্দিন-সহ এই সংগঠনের আরও বেশ কয়েকজনকে রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় শেল্টার দিতে সাহায্য করেছে করিম।
পেশায় ট্রাক্টর চালক করিম চাষবাষের আড়ালেই সংগঠন বিস্তারের কাজ করত।
গোয়েন্দাদের অনুমান, লকডাউনে কাজ হারানো পরিযায়ী শ্রমিকরা বাড়ি ফেরা শুরু করতেই বিপাকে পড়ে করিম। তাই ভিনরাজ্যের ডেরা থেকে ফিরে এসেছে সে । তবে শ্রমিক স্পেশ্যাল ট্রেনে কি না, সে বিষয়ে এখনও নিশ্চিত নন গোয়েন্দারা। বাসে বা ট্রাকে করেও ফিরতে পারে, অনুমান গোয়েন্দাদের।
আরও পড়ুন: উচ্চ মাধ্যমিকের ফলাফল কবে, জানালেন পার্থ, উত্তর দিলেন মাধ্যমিক নিয়েও