প্রকাশ্য মঞ্চে পাশে বসে কৃষিমন্ত্রীকে ‘অপদার্থ’ বললেন কেষ্ট, ‘গায়ে মাখলেন’ না মন্ত্রী

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest

নিজের দলেরই ব্লক সভাপতি আনারুল হোসেন ও রাজ্যের মন্ত্রী আশিস বন্দ্যোপাধ্যায়কে ‘অপদার্থ’ বললেন কেষ্ট। যদিও পরে অবশ্য এই বিষয়ে অনুব্রত মণ্ডল বলেন, তিনি কাউকে অপদার্থ বলেননি। অন্যদিকে মন্ত্রীও জানিয়েছেন, তাঁকে কোনও খারাপ কথা বলেননি তৃণমূল সভাপতি।

প্রধানকে ছেড়েই অনুব্রত মুখে ফেরান আনারুল ও আশিসের দিকে। বলেন, ‘‘আর অপদার্থ আছে আনারুল আর আশিস বন্দ্যোপাধ্যায়।’’ অনুন্নয়নের অভিযোগ উঠছে দেখেও তাঁরা চুপ কেন? প্রশ্ন করেন অনুব্রত। বলেন, ‘‘কথা বলছ না কেন তুমি। যদি জানতাম যে, পঞ্চায়েত টাকা পায়নি, তা হলে আমরা মানতে পারতাম। কিন্তু একবার নয়, চারবার টাকা পেয়েছে।’’

আরও পড়ুন : পুড়িয়ে মারা হল মন্দিরের পুরোহিতকে, উত্তেজনা এলাকায়

অনুব্রত এই রকম ভাবে প্রকাশ্যে ধমকাবেন, তা সম্ভবত কৃষিমন্ত্রীর কাছে একেবারেই অপ্রত্যাশিত ছিল। তাই ঘটনার আকস্মিকতায় শুরুতে কিছুই বলতে পারছিলেন না আশিস। কিন্তু পরে তিনিও মুখ খোলেন। অনুব্রতর দিকে আঙুল তুলে তিনি বেশ ঝাঁঝালো ভঙ্গিতেই কথা বলতে শুরু করেন। অনুব্রতও তাঁর কথার জবাব দিতে থাকেন। মাইক্রোফোন অনুব্রতর হাতে থাকায়, তাঁর কথাগুলো শোনা যাচ্ছিল। আশিসের কথা স্পষ্ট বোঝা যায়নি।

মাসখানেক ধরেই নিজের জেলার ব্লকে ব্লকে ঘুরে কর্মী সম্মেলন করছেন অনুব্রত। শুক্রবার ছিল রাজ্যের কৃষিমন্ত্রী আশিস বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্বাচনী ক্ষেত্র রামপুরহাটের পালা। সে কর্মসূচিতে বুথস্তরের কর্মীরা অনুন্নয়নের অভিযোগ তুলতেই মেজাজ হারালেন অনুব্রত। পাশে বসে থাকা আশিসকে ‘অপদার্থ’ বলে ভর্ৎসনা করলেন।

এই মন্তব্যের পরে অনুব্রত এবং আশিসের মধ্যে কিছুটা তর্কাতর্কি হতেও দেখা গেল। তবে মাইক্রোফোন অনুব্রতর হাতে থাকায় আশিসের কথা স্পষ্ট শোনা যায়নি। তৃণমূলের জন্য স্বস্তি অন্তত সেটুকুই।

রামপুরহাট ১ নম্বর ব্লকের কর্মীদের নিয়ে এ দিন সম্মেলন করেন অনুব্রত। সেখানে বুথ ধরে ধরে হারজিতের হিসেব নিচ্ছিলেন তিনি। ২০১৯-এর লোকসভা ভোটে যে সব বুথে তৃণমূলের হার হয়েছে, সেই সব বুথের সভাপতিদের কাছে অনুব্রত হারের কারণ জানতে চাইছিলেন। এক বুথ সভাপতি জানান, গ্রামে রাস্তা হয়নি, পানীয় জলের ব্যবস্থা হয়নি, তাই গ্রামের মানুষের কাছে ভোট চাইতে যাওয়া যাচ্ছে না।

অনুব্রত তখন সেই পঞ্চায়েতের প্রধানের কাছে জবাবদিহি চান। প্রধানকে নাম ধরে সম্বোধন করে তিনি বলেন, ‘‘কী রেজাউল, কী বলছে? গ্রামে রাস্তা হয়নি, কিছু হয়নি। টাকা তো অনেক পেলে পঞ্চায়েত থেকে। কী কাজ করলে?’’ ওই পঞ্চায়েতকে চার বার টাকা দেওয়া হয়েছে বলে অনুব্রত জানান। পঞ্চায়েতটি আকারে বড় বলে অপেক্ষাকৃত বেশি টাকা দেওয়া হয়েছে বলেও তিনি দাবি করেন।

আরও পড়ুন : ন্যাক্কারজনক! আইপিএলে খারাপ ফর্মে ধোনি, সোশ্যাল মিডিয়ায় ৫ বছরের জিভাকে ধর্ষণের হুমকি

 

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest