লকডাউনে হেঁটে বাড়ি ফেরার পরই পায়ে পচন। পা বাদ যাওয়ার উপক্রম হয়েছে মালদার এক শ্রমিকের। ধর্মরাজ নামে ওই যুবক মালদা মানিকচকের বাসিন্দা। এপ্রিলে প্রায় ২০০০ কিলোমিটার পথ পায়ে হেঁটে পেরিয়ে বেঙ্গালুরু থেকে মালদা ফেরেন ২০ বছর বয়সী ওই যুবক। তার পরই পচন ধরে তাঁর পায়ে। অসহায় পরিবারের সঙ্গে দেখা করেছেন জেলা পরিষদের সভাধিপতি ও প্রশাসনিক কর্তারা। পরিবারটিকে সাহায্যের আশ্বাস দিয়েছেন তাঁরা।
আরও পড়ুন : চিন যে ভারতের জমি কেড়ে নিচ্ছে, সেটাও কি ঈশ্বরের দোষ? রাহুলের প্রশ্নে অস্বস্তিতে কেন্দ্র
পরিবারের তরফে জানানো হয়েছে, গত ডিসেম্বরে বেঙ্গালুরু যান ধর্মরাজ। সেখানে নির্মাণ শ্রমিক হিসাবে কাজ করছিলেন তিনি। মার্চে লকডাউন শুরু হলে এপ্রিলে বাড়ি ফেরার সিদ্ধান্ত নেন তিনি। ট্রেন বন্ধ থাকায় লক্ষ লক্ষ শ্রমিকের মতো তিনিও ফেরেন পায়ে হেঁটে। বেঙ্গালুরু থেকে ২২ দিন হেঁটে ফেরেন মানিকচকের মথুরাপুর গ্রামপঞ্চায়েতের উৎসবটোলা গ্রামে। এর পরই তাঁর পা থেকে রস গড়াতে শুরু করে।
চিকিৎসকের কাছে না গিয়ে যুবককে প্রথমে ওঝার কাছে নিয়ে যান তাঁর মা। বেশ কয়েকদিন চলে ঝাড়ফুঁক। তাতে কাজ হয়নি। উলটে পায়ের অবস্থা আরও খারাপ হয়। এর পর স্থানীয় এক চিকিৎসকের কাছে যান যুবক। তবে ততদিনে জমানো কড়ি ফুরিয়েছে পরিবারটির। ফলে ছেলের পায়ের চিকিৎসা করাতে পারেননি মা।
বৃহস্পতিবার যুবকের সঙ্গে দেখা করেন মালদা জেলা পরিষদের সভাধিপতি গৌরচন্দ্র মণ্ডল। সঙ্গে ছিলেন মানিকচকের বিডিও, স্থানীয় বিএমওএইচ ও থানার ওসি। পরিবারটিকে খাদ্যশস্য ও নগদ দিয়ে সাহায্য করেছেন তাঁরা। সঙ্গে আশ্বাস দিয়েছেন উপযুক্ত চিকিৎসার।
আরও পড়ুন : প্লে স্টোর থেকে ব্যান হল জোকার ম্যালওয়্যারে আক্রান্ত ১৭টি অ্যাপ