কলকাতা: করোনায় ধুঁকছে অর্থনীতি। বেহাল আর্থিক পরিস্থিতি। তারমধ্যেই রাজ্য সরকারি কর্মীদের জন্য বোনাস ঘোষণা করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোধ্যায়। এদিন নবান্নে সাংবাদিক বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, করোনারে জেরে লকডাউন চলছে। তবে এখনও এরাজ্যে সরকারি কর্মচারীদের ঠিক সময়ে বেতন দেওয়া হচ্ছে। এরপরই তিনি জানান, ২০২০-২০২১ অর্থবর্ষে রাজ্য সরকারি কর্মীদের ৪২০০ টাকা বোনাস দেওয়া হবে।
একইসঙ্গে আরও জানান, এবছর বোনাস পাওয়ার ক্ষেত্রে বেতনের ঊর্ধসীমা ৩০ হাজার টাকা থেকে বাড়িয়ে ৩৪,২৫০ টাকা করা হচ্ছে। অর্থাৎ ৩৪,২৫০ টাকা পর্যন্ত যাঁদের বেতন, তাঁরা সবাই এই বোনাস পাবেন। এরফলে ১০ লাখ মানুষ উপকৃত হবেন বলে উল্লেখ করেন মুখ্যমন্ত্রী। একইসঙ্গে আরও জানান, বোনাস দেওয়ার জন্য সরকারের ৪০০ কোটি টাকা খরচ হবে। এর পাশাপাশি, যাঁদের বেতন বেশি, যাঁরা বোনাস পান না, তাঁদের জন্যও অগ্রিম ঘোষণা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, ৩৪,২৫০-এর পর থেকে ৪১ হাজার টাকা পর্যন্ত যাঁদের বেতন, সেইসব রাজ্য সরকারি কর্মীদের ১০ হাজার টাকা করে অগ্রিম দেওয়া হবে। এটা পরে বেতন থেকে কেটে নেওয়া হবে। এখন ইদের সময় মুসলিম কর্মীদের ও পরে দুর্গাপুজোর সময় হিন্দু কর্মীদের এই বোনাস ও অগ্রিম দেওয়া হবে বলে জানান মুখ্যমন্ত্রী।
আরও পড়ুন: কেন্দ্রের প্যাকেজ বিভ্রান্তিকর, অশ্বডিম্ব, দুর্দিনে মানুষকে ধোঁকা দেওয়া হল! তোপ মমতার
রাজ্য সরকারি কর্মীদের জন্য বোনাস ঘোষণার পাশাপাশি এদিন প্রধানমন্ত্রী মোদী ২০ লাখ কোটি টাকার আর্থিক প্যাকেজ নিয়েও তোপ দাগেন মুখ্যমন্ত্রী। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এদিন দাবি করেন, “প্রধানমন্ত্রীর প্যাকেজ আসলে অশ্বডিম্ব। কেন্দ্রের ঘোষণা আসলে বিগ জিরো। এই প্যাকেজের ১০ লাখ কোটি আগেই ঘোষিত। MSME-তে কিছু দেয়নি। করোনা মোকাবিলায় কোনও ঘোষণা নেই। কৃষক ও অসংগঠিত ক্ষেত্রের জন্যও কোনও ঘোষণা নেই। মানুষকে ধোঁকা দেওয়া হয়েছে। দুর্ভোগের সময় এটা আইওয়াশ কেন্দ্রের।”
অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন যে আর্থিক প্যাকেজের ঘোষণা করেছেন, তা আসলে মানুষকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা— এ ভাবেই তোপ দাগলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এমএসএম-ইর ক্ষেত্রে যে টাকা দেওয়া হয়েছে তা প্রয়োজনের তুলনায় কিছুই নয়, অভিযোগ মমতার। সাধারণ মানুষের সুরাহা দিতে কিছুই করা হয়নি, করোনার জন্য কোনও অনুদানও নেই বলে অভিযোগ তুলেছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী।
আরও পড়ুন: আটকদের ফেরাতে ১৯ মে থেকেই দেশের মধ্যে উড়বে বিমান, খরচ বইতে হবে যাত্রীদেরই