গ্রামীণ অর্থনীতিকে স্বনির্ভর করতে রাজ্য সরকারের নয়া কর্মসূচি ‘মাটির সৃষ্টি’

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest

কলকাতা: এদিন নবান্নে সাংবাদিক বৈঠকে করোনা সংকটের মধ্যেই রাজ্যের কৃষকদের উন্নয়নের স্বার্থে একটি প্রকল্পের কথা ঘোষণা করেন মুখ্যমন্ত্রী। একইসঙ্গে করোনা মোকাবিলায় ঘোষণা করেন একটি সার্ভের কথাও।  

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ঘোষিত প্যাকেজ ‘অশ্বডিম্ব’ বলে কটাক্ষ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বলেছেন, ‘বিগ জিরো, কাল যে কথা বলা হয়েছিল, তাতে রাজ্যগুলো হয়ত কিছু পাবে। রাজ্যের সার্বিক উন্নতিতে যা কাজে আসবে। বাস্তবে অশ্বডিম্ব দেখতে পেলাম।’ আর সেইসঙ্গেই তিনি ঘোষণা করলেন এক নতুন প্রকল্পের। গ্রাম বাংলার গরিব মানুষকে আর্থিক সঞ্জীবনী দিতে পারে এই ঘোষণা। নতুন এই প্রকল্পের নাম ‘মাটির সৃষ্টি’!

বুধবার নবান্নে সাংবাদিক বৈঠক করে তিনি বলেন, ‘দুরন্ত বৈপ্লবিক কর্মসূচি ঘোষণা করছি। জেলা পরিষদের সভাধিপতিদের সঙ্গে বৈঠক করছি। ৫০০০০ একর জমি এতে আসবে। আড়াই লক্ষের বেশি মানুষ এতে উপকৃত হবে। পরিবেশ বান্ধব প্রজেক্ট। নাম ‘মাটির সৃষ্টি’।’ শুধু তাই নয়, তিনি জানান, ইতোমধ্যে ৬৫০০ একর জমিতে প্রাথমিক স্তরে কাজও শুরু হয়ে গিয়েছে।

আরও পড়ুন: রাজ্যজুড়ে শুরু হচ্ছে বাস-মিনিবাস পরিষেবা,ভাড়া বাড়ছে ৩ গুণ

মুখ্যমন্ত্রী এদিন স্পষ্টতই জানান, ‘বাঁকুড়া, পুরুলিয়া, বীরভূম, ঝাড়গ্রাম, পশ্চিম মেদিনীপুর, পশ্চিম বর্ধমান। অনেক জমি পড়ে রয়েছে। সরকারের ও কৃষকেরও। মাটি খুব রুক্ষ বলে কৃষকরা কিছু করতে পারেন না। আমরা প্ল্যান করেছি, এই মাটির সৃষ্টি প্রকল্পের মাধ্যমে মাছ চাষ, পশু পালনের মতো কাজ চলবে। স্থানীয় চাষিদের দশ-কুড়ি একর ও সরকারি জমি নিয়ে মাইক্রো প্ল্যান তৈরি করা হবে, কো অপারেটিভ গড়া হবে, মহিলা স্বনির্ভর গোষ্ঠীকে কাজে লাগানো হবে। কোনও ঠিকাদার নিয়োগ করা হবে না। ১০০ দিনের কাজে লাগানো হবে।’

মুখ্যমন্ত্রী এদিন আরও ঘোষণা করেন, লকডাউন উঠলেই বাংলার প্রতি জেলায় সার্ভে শুরু হবে। আর সেই সার্ভে হবে মহামারী কেন্দ্রিক। ভারতের প্রথম রাজ্য হিসেবে বাংলায় শুরু হবে এই সার্ভে। মমতা বলেন, ‘বিভিন্ন মহামারীর ক্ষেত্রে এই কাজে লাগবে।’

মঙ্গলবারের ভাষণে দেশকে আত্মনির্ভর হওয়ার কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী মোদী। এদিন তা নিয়ে মমতা বলেন, ‘আমরা কাজের প্রমাণ দিয়েই আত্মনির্ভর হয়েছি। সবাই বিদেশে অর্ডার দিয়েছে, আমরা ঘরে বসে থাকিনি। স্বনির্ভর গোষ্ঠীকে কাজে লাগিয়েছিলাম। WHO-এর মান্যতা হিসেবেই আমরা পিপিই তৈরি করেছি। ৭.৫ লাখ পিপিই, ৪৫ লাখ মাস্ক তৈরি করেছি। ১৩.২ লাখ কর্মসংস্থান হল। ভারতের অন্যান্য রাজ্য তো করতে পারেনি। নেই আমাদের কিছু। তবু আমরা আশার আলো জ্বালাবার চেষ্টা করছি।’

আরও পড়ুন: চালু সরকারি বাস, কোন ১৩টি রুটে মিলবে এই পরিষেবা, দেখে নিন এক পলকে

Gmail 1
Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest