বয়ালের বুথে ৮০% ছাপ্পা বিজেপির, তবু জিতব আমিই, দিন শেষে প্রত্যয়ী মমতা

শুভেন্দুর মুখে হাসির পরও মমতার ৯০ শতাংশ ভোট পাওয়ার দাবি বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল।
Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest

নজির ভোট দেখছে নন্দীগ্রাম। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী তথা নন্দীগ্রামের তৃণমূল প্রার্থী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে বয়ালের বুথে গিয়ে বিজেপি কর্মীদের বিক্ষোভের মুখে আটকে থাকতে হল পাক্কা দু’ঘণ্টা। শেষে বিপুল পুলিশ ও কেন্দ্রীয় বাহিনী গিয়ে তাঁকে বিক্ষোভমুক্ত করে বাইরে বের করে আনে। তারপরই সাংবাদিক বৈঠকে মমতা দাবি করেন, ‘আমি আমার জেতা নিয়ে চিন্তিত নই। আমি নন্দীগ্রামে জিতবই মা-মাটি-মানুষের আশীর্বাদ নিয়ে, কিন্তু আমি চিন্তিত গণতন্ত্র নিয়ে।’

প্রসঙ্গত, ঘণ্টাদুয়েকের মতো সময় আটকে থাকার পর বয়ালের বুথ থেকে বের করে যখন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিরাপদ স্থানে আনা সম্ভব হয়, তখন অনেকেরই ধারণা ছিল রেয়াপাড়ায় নিজের অস্থায়ী ঠিকানাতেই ফিরে যাবেন তিনি। কিন্তু না, বিক্ষোভমুক্ত হয়েই তিনি রীতিমতো সুর চড়ান নন্দীগ্রামের বিজেপি প্রার্থী শুভেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধে। বলেন, ‘এখানে যে বিজেপির প্রার্থী হয়েছে, তিনি কাল রাত থেকেই সন্ত্রাস করে বেড়াচ্ছেন এলাকায়। এখানে ভোটে চিটিংবাজি হয়েছে।’ এর পরেই তিনি প্রত্যয়ের সুরে বলেন, ‘যতই কারচুপি হোক জিতব আমিই’।

শুধু নন্দীগ্রাম নয়, আশেপাশের সমস্ত আসনেই তৃণমূলের ফল ভালো হবে বলেও এদিন দাবি করেছেন মমতা। এদিন বয়ালের বুথে আটকে থাকার সময়ই মমতা ফোনে ধরেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়কে। দু’জনের মধ্যে বেশ কিছুক্ষণ কথা হয়। এরপরই ধনখড় ট্যুইটে লেখেন, ‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে কথা হয়েছে। তাঁর অভিযোগ নির্দিষ্ট জায়গায় জানানো হয়েছে। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের তরফে আইনের শাসন রাখার আশ্বাস মিলেছে। গণতন্ত্র অক্ষুণ্ণ রাখতে প্রয়োজনীয় সবরকম পদক্ষেপ করা হবে।’

আরও পড়ুন: কলকাতায় রেকর্ড গরম, আগামী ২৪ ঘণ্টা বজায় থাকবে অস্বস্তি, পূর্বাভাস হাওয়া অফিসের

বয়ালের ওই বুথে যখন মমতাকে ঘিরে ধুন্ধুমার কাণ্ড, সেই সময়ই শুভেন্দু অধিকারী দাবি করেন, ‘খেলা যা হওয়ার, হয়ে গিয়েছে। ওই বুথে ৮০ শতাংশ ভোটই হয়ে গিয়েছে। এখন গিয়ে আর কিচ্ছু করার নেই।’ কিন্তু মমতা সেই প্রসঙ্গ তুলেই অভিযোগ করেন, ‘বিহার ও উত্তরপ্রদেশের গুন্ডারা এসে ঝামেলা পাকাচ্ছে। যারা ঝামেলা করছে, এক জনও বাংলা জানে না। সব হিন্দি বলছে।’

প্রসঙ্গত, এদিন সকাল থেকেই নন্দীগ্রামের বুথে-বুথে ঘুরে বেড়াচ্ছিলেন শুভেন্দু অধিকারী। মমতা বেরোন দুপুর একটার পর। আর প্রথম বুথ বয়ালে গিয়েই বিক্ষোভের মুখে পড়েন তিনি। তবে, শুভেন্দুর মুখে হাসির পরও মমতার ৯০ শতাংশ ভোট পাওয়ার দাবি বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল।

আরও পড়ুন: কেন্দ্রীয বাহিনীর উপস্থিতি সত্ত্বেও অগ্নিগর্ভ নন্দীগ্রাম! বুথের ভিতরে আটকে মমতা, কমিশনের ভূমিকায় প্রশ্ন

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest