#কলকাতা: হারানো জমি ফিরে পেতে লোকসভা নির্বাচনের পর থেকে কর্মসূচিতে জোর দিয়েছে তৃণমূল। কেন্দ্রের বিরুদ্ধে বিভিন্ন দাবিতে পথে নামছেন তৃণমূল নেতা-কর্মীরা। সেই উদ্যোগে নতুন জোয়ার আনতে এবার ‘দিদিকে বলো’ কর্মসূচি ঘোষণা করতে চলেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
সোমবার দলীয় নেতাকর্মীদের সঙ্গে নজরুল মঞ্চে বৈঠক করলেন তৃণমূলনেত্রী মমতা ব্যানার্জি। সেখানে হাজির ছিলেন ব্লক সভাপতি থেকে শুরু করে শীর্ষস্তরের নেতাদের। বিধায়ক–মন্ত্রীদেরও অনেকে উপস্থিত ছিলেন। সেখানেই ‘দিদিকে বলো’ আনুষ্ঠানিক কর্মসূচি ঘোষণা করলেন তৃণমূলনেত্রী। কর্মসূচি বাস্তবায়নে তৃণমূল প্রচুর হোল–টাইমার নিয়োগ করবে বলে সূত্রের খবর। এই মোবাইল নম্বরে ফোন করে ৯১৩৭০৯১৩৭০ সমস্যা জানানো যাবে। যা স্বয়ং ঘোষণা করলেন মুখ্যমন্ত্রী।
এই বিষয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘প্রতিটি গ্রামে এবং শহরে গিয়ে প্রচার করার পাশাপাশি সমস্যা সমাধান করবে। পার্টি কর্মী এবং নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিরা এই কাজ করবেন মানুষের কথা শুনবেন। দল ঠিক করবে কে, কোন গ্রামে যাবে। স্থানীয় বিশিষ্ট মানুষদেরও সঙ্গে নিতে পারবেন। জনসংযোগের পর সেখানে তৃণমূলের পতাকা তোলা হবে। মানুষের সঙ্গে আধুনিকতম ব্যবস্থার মাধ্যমে মানুষের কাছে পৌঁছে গিয়ে সমস্যা সমাধান করা যাবে।’
দলীয় সূত্রের খবর, দলকে জন সংযোগের পথে ফেরাতে প্রশান্ত কিশোরের মস্তিষ্কপ্রসূত এই কর্মসূচি। এই কর্মসূচিতে রাজ্যের প্রতিটি বুথের প্রতিটি বাড়িতে যাবেন তৃণমূল কর্মীরা। সাধারণ মানুষ সম্পর্কে জানতে চাইবেন তৃণমূল সম্পর্কে তাঁদের ধারণা কী? সরকারি প্রকল্পের সুবিধা ঠিক মতো পাচ্ছেন কি না। কোনও অভাব অভিযোগ রয়েছে কি না দলের বিরুদ্ধে। সূত্রের খবর, এজন্য পশ্চিমবঙ্গের প্রতিটি বুথে ৪ জন সর্বক্ষণের কর্মী নিয়োগ করতে চলেছে তৃণমূল। রাজ্যের ৭০,০০০ বুথে প্রায় ৩ লক্ষ কর্মী নিয়োগ করবে শাসকদল।
রাজনৈতিক মহলের মতে, এই উদ্যোগের পিছনে মনস্তত্ত্ব ও রাজনীতি স্পষ্ট। তাঁদের মতে, তৃণমূলের এক শ্রেণির নেতার বিরুদ্ধে তোলাবাজি, কাটমানি নেওয়া, দুর্নীতি, অনিয়ম ইত্যাদি যাই অভিযোগ থাকুক, ব্র্যান্ড মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এখনও অমলিন। ঠিক যে কারণে ২০১৬ সালের লোকসভা ভোটে দিদি সব জনসভায় বলতে শুরু করেছিলেন, ২৯৪টি আসনে আমিই প্রার্থী- এ ব্যাপারটাও সে রকম।