চেতলায় দেবীদুর্গার চক্ষুদান করলেন মুখ্যমন্ত্রী, ভিড় এড়াতে এবার ভার্চুয়াল পুজো উদ্বোধনেই সায়

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest

দুর্গাপুজোর বাকি আর ৯ দিন। তার আগে আজই উৎসবের ঢাকে কাঠি পড়ল। এ দিন ‘চেতলা অগ্রণী’তে দুর্গা প্রতিমার চক্ষুদান করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

তার আগে দলের মুখপত্র ‘জাগো বাংলা’র পুজো সংখ্যার উদ্বোধনও করেন মমতা। তৃণমূল সূত্রে খবর, এ দিন বিকেল ৪টেয় নজরুল মঞ্চে দলীয় পত্রিকা ‘জাগো বাংলা’র পুজো সংখ্যার উদ্বোধন করেন দলের সর্বময় নেত্রী। প্রত্যেক বারের মতো এ বারও ওই অনুষ্ঠানে যোগ দেন দলের শীর্ষ নেতারাও। তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক সুব্রত বক্সি, মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়, কলকাতার পুর প্রশাসক ফিরহাদ হাকিম, ইন্দ্রনীল সেন-সহ এক ঝাঁক নেতা-নেত্রীর ওই অনুষ্ঠানে যোগ দেন। তবে এ বার করোনা পরিস্থিতির কারণে অনুষ্ঠানে কড়াকড়ি করা হয়। জোর দেওয়া হয় শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখা-সহ একাধিক বিষয়ে।

পুজো সংখ্যার উদ্বোধনী অনুষ্ঠান সেরেই ‘চেতলা অগ্রণী’র দুর্গাপুজো মণ্ডপে যান মমতা। ওই পুজোটি ‘ফিরহাদ হাকিমের পুজো’ নামেই পরিচিত। সেখানে প্রত্যেক বারের মতো এ বারও প্রতিমার চক্ষুদান করেন মুখ্যমন্ত্রী।কয়েকবছর ধরেই এটি করে আসছেন তিনি। তবে এবার করোনা পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে কোনও জাকজমক চাননি। তাঁর ইচ্ছেমতোই সারা হল চেতলা অগ্রণীর চক্ষুদান পর্ব। যেন আজ থেকেই সেখানে শুরু হল দেবীপক্ষ।

করোনা পরিস্থিতির মধ্যেই বাঙালির মহোৎসব। এই আবহে ‘চেতলা অগ্রণী’র জাঁকজমক এ বার অন্যান্য বারের থেকে কিছুটা কম। সেই পরিস্থিতিকে মাথায় রেখে এ বার ‘চেতলা অগ্রণী’র পুজোর থিমও সাজানো হয়েছে। নাম দেওয়া হয়েছে ‘দুঃসময়’। পুজো মণ্ডপ সাজানো হয়েছে বাঁশের বিশেষ কাজ দিয়ে। সবমিলিয়ে মণ্ডপটিকে পুরনো বাড়ির ভগ্নাবশেষের রূপ দেওয়া হয়েছে। পুজোর সব প্রস্তুতিই সারা হয়ে গিয়েছে। বাঁধা হয়েছে প্রতিমার সামনে অস্থায়ী মঞ্চও। তার উপরে দাঁড়িয়েই প্রতিমার চক্ষুদান করেন মমতা।

আরও পড়ুন: ঈদের সময়কার সামাজিক দূরত্ব পুজোয় বদলে যাচ্ছে কেন?

বিশুদ্ধ সিদ্ধান্ত মতে, বুধবার অর্থাৎ ২১ অক্টোবর ষষ্ঠী। কিন্তু তার প্রায় দেড় সপ্তাহ আগে আনুষ্ঠানিক ভাবে চক্ষুদান হয়ে গেলেও এ দিন থেকেই দর্শনার্থীদের জন্য মণ্ডপ খুলে দেওয়া হচ্ছে না। পুজো উদ্যোক্তাদের সূত্রে জানা গিয়েছে, আগামী ১৯ অক্টোবর অর্থাৎ চতুর্থীর দিন থেকে সকলের প্রবেশের জন্য মণ্ডপ খুলে দেওয়া হবে। তবে করোনা সংক্রমণের বিষয়টি মাথায় রেখে মণ্ডপে প্রবেশ এবং প্রস্থানে কড়াকড়ি করা হয়েছে। জোর দেওয়া হয়েছে অন্যান্য বিধি পালনেও।

তবে এ বছর এর পর যা সব পুজোর উদ্বোধন করবেন সেগুলি ভার্চুয়াল মাধ্যমে করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। এদিন নবান্নে তিনি বলেন, ‘‌আমার কাছে প্রতি বছরের মতো এ বছর বহু পুজো উদ্বোধনের আমন্ত্রণ এসেছে।’‌ কিন্তু এই করোনা পরিস্থিতিতে ভিড় এড়াতে এবার একটু অন্যরকম ভাবে পুজো উদ্বোধনের ইচ্ছে প্রকাশ করেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘‌যাঁরা পুজো উদ্বোধনের অনুরোধ জানিয়েছেন সে সব পুজো ভার্চুয়াল মাধ্যমে নবান্ন থেকে একসঙ্গে উদ্বোধন করে দিতে পারি। জুমের মাধ্যমে সেটা করা হবে। আমার হাতে প্রদীপ থাকবে। আর সব পুজো কমিটির মেয়েদের হাতেও প্রদীপ থাকবে। তা জ্বালিয়েই হবে পুজোর উদ্বোধন।’‌

ভার্চুয়াল পুজো উদ্বোধনের দিনক্ষণও এদিন ঘোষণা করেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি জানান, ১৫ অক্টোবর, বৃহস্পতিবার সব উত্তর কলকাতার পুজো উদ্বোধন করা হবে। ১৬ অক্টোবর, শুক্রবার হবে বেহালা ও যাদবপুরের পুজো উদ্বোধন। এবং ১৭ অক্টোবর দক্ষিণ কলকাতার পুজোগুলি উদ্বোধন করবেন তিনি। প্রতিদিন বিকেল ৫টা থেকে শুরু হবে উদ্বোধনের অনুষ্ঠান। এ ব্যাপারে যে সব পুজো কমিটির সম্মতি রয়েছে তাঁরা মেল পাঠিয়ে এই আবেদন জানাতে পারবে।

আরও পড়ুন: দিদির রাজ্যে কমছে বাল্য বিবাহের সংখ্যা, ফের কেন্দ্রের রিপোর্টে সাফল্যের জয়গান

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest