বিদ্যাসাগরের জন্মদিবসে টুইটে শ্রদ্ধা মমতার, ফের মনে করালেন মূর্তি ভাঙার ঘটনা

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest

ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের দ্বিশতবর্ষ জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে শনিবার টুইট করে শ্রদ্ধা জানালেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। একইসঙ্গে গত বছরে বিদ্যাসাগর কলেজের ভিতরে ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের মূর্তি ভেঙে দেওয়ার ঘটনার কথা মনে করিয়ে দিলেন তিনি। টুইটে হামলাকারীদের ‘‌কয়েকজন বহিরাগত’‌ হিসেবে উল্লেখ করে ওই নক্কারজনক ঘটনার প্রসঙ্গে ফিরিয়ে আনলেন মুখ্যমন্ত্রী।

২০১৯ লোকসভা ভোটের সময় ধুন্ধুমার পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল কলেজ স্ট্রিট ও বিধানসরণীতে। বিদ্যাসাগর কলেজের ভিতরে ঢুকে কিছু দুষ্কৃতী ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের মূর্তি ভেঙে দেয়। আজ, বিদ্যাসাগরের ২০০তম জন্মদিনেও মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সেই নক্কারজনক ঘটনার কথা মনে করালেন।

আরও পড়ুন : ভারতে ঢুকে পড়েছে করোনার থেকেও ভয়ানক ব্রুসেলোসিস! ভয়াবহ আকার ধরণের আশঙ্কা

রাজ্যের শাসক দল এমন ঘটনার পিছনে বিজেপির হাত ছিল বলে বারবার অভিযোগ করে এসেছে। ওই ঘটনার পর শহরে এক জনসভায় তৃণমূল নেত্রী বলেছিন, ”ঈশ্বরচন্দ্রের মূর্তি ভেঙে দিয়েছে। এটা নকশাল আমলেও ঘটেনি। এত বড় লজ্জা। আমরা এটা ছেড়ে দেব না। ইঞ্চিতে ইঞ্চিতে জবাব নেব।” বছর ঘুরে গেল। আজ আবার বিদ্যাসাগরের জন্মদিনে সেই পুরনো ঘটনার প্রসঙ্গ ফিরে এল। এবারও বিজেপিকেই সেই নক্কারজনক ঘটনার জন্য দায়ি করলেন তৃণমূল সুপ্রিমো।

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এদিন টুইটারে লিখলেন, ”বাংলা ভাষার পথিকৃত্, বর্ণপরিচয়র স্রষ্টা বিদ্যাসাগরের ২০০তম জন্মদিনে শ্রদ্ধার্ঘ। দয়ার সাগর আজীবন বিধবা বিবাহ প্রচলন, বাল্য বিবাহ রোধের বিরুদ্ধে লড়েছেন। বিদ্যাসাগর বাংলার গর্ব। এই সময়ে দাঁড়িয়েও তিনিই আমাদের এগিয়ে চলার অনুপ্রেরণা। ২০১৯ সালে কিছু বহিরাগত দুষ্কৃতি বিদ্যাসাগরের মূর্তি ভেঙেছিল। সেই বহিরাগতরা বাংলার ঐতিহ্য ও গরিমা নষ্ট করতে চেয়েছিল। বিদ্যাসাগরের আদর্শ ও শেখানো পাঠ আজীবন আমাদের মূল্যবোধের সঙ্গে যুক্ত হয়ে থাকবে।”

করোনা আবহে রাজ্যের বিভিন্ন স্কুলে এবার বিদ্যাসাগরের জন্মদিন উপলক্ষে অনুষ্ঠানে ছাত্র-ছাত্রীরা উপস্থিত থাকতে পারেনি। তবে বেশিরভাগ স্কুল কর্তৃপক্ষ ছোট অনুষ্ঠানের মাধ্যমে বিদ্যাসাগরের মূর্তিতে মাল্যদান করেছে। ছাত্র-ছাত্রীরা যাতে সেই অনুষ্ঠান দেখতে পায় তাই ইউ টিউভ ও স্কুলের ওয়েবসাইটে ভিডিয়ো আপলোড করার ব্যবস্থা করবে অধিকাংশ স্কুল কর্তৃপক্ষ।

আরও পড়ুন : একদা বিশ্বের ষষ্ঠ ধনী ব্যক্তি অনিল আম্বানি এখন খরচ চালাচ্ছেন গয়না বেচে !

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest