যোগদানের ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই বিজেপি ছাড়লেন ফুটবলার মেহেতাব হোসেন। বুধবার সেকথা বিজেপি নেতৃত্বকে জানিয়েও দিয়েছেন তিনি। এদিন এক ফেসবুক পোস্টে নিজের সিদ্ধান্তের কারণ ব্যাখ্যা করেছেন মেহেতাব। নিঃসন্দেহে এই ঘটনায় বেজায় বিরক্ত দিলীপবাবুরা।
এদিন মেহেতাব লিখেছেন, মানুষের পাশে থাকার জন্য রাজনীতিতে যোগ দিয়েছিলাম। কিন্তু যোগদানের পর থেকেই বহু প্রিয় মানুষ আমাকে সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা করতে বলেন। তার জেরেই রাজনীতি থেকে নিজেকে সরিয়ে ফেলার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। বৃহত্তর স্বার্থের জন্য ক্ষুদ্র স্বার্থ ত্যাগ করতে হয়।
আরও পড়ুন : চালক ছাড়াই দৌড়! স্বয়ংক্রিয় উপায়ে মেট্রো চালানোর মহড়া শুরু কলকাতায়
মেহেতাব স্পষ্টই লিখেছেন, গতকাল বিজেপিতে যোগদানের পর তিনি বুঝতে পেরেছেন, মানুষ তাঁকে রাজনীতিবিদ হিসাবে দেখতে চায় না।
মেহতাব হোসেন লিখেছেন, ‘‘যাদের পাশে দাঁড়ানোর জন্য আমার রাজনীতিতে আসা, তারাই আমাকে অনুরোধ করে, আমি যেন রাজনীতিতে সরাসরি না যাই। মানে, কোথাও গিয়ে তাদের ভাবাবেগ যেন আমাকে রাজনীতিবিদ হিসেবে দেখতে চাইছে না। তাদের কাছে আমি এখনও ফুটবলার, মিডফিল্ড জেনারেল।’’
স্ত্রী মৌমিতা এবং দুই ছেলে জিদান ও জাভির কথাও ফেসবুকে এ দিন লিখেছেন মেহতাব। রাজনীতিতে যোগ দেওয়ার সিদ্ধান্তে তাঁরাও বিস্মিত বলে মেহতাব বোঝাতে চেয়েছেন। তিনি লিখেছেন, ‘‘আমি চাই না আমার জীবনটা বদলে যাক। আমার পরিবার, মৌমিতা, জিদান, জাভি কেউই সমর্থন করেনি আমার আকস্মিকতা। ঠিক যে ভাবে সাধারণ মানুষ কষ্ট পেয়েছে, সে ভাবে ওরাও পেয়েছে। সকলকে নিয়েই তো আমার পরিবার। পরিবারের মুখগুলো কষ্ট পেলে আমিও ভেঙে পড়ি, এটাই স্বাভাবিক, এটাই জীবনের নিয়ম। আমার কাছে অন্য কোনও কিছুর থেকে ওই ‘মিডফিল্ড জেনারেল’ নামটা অনেক বেশি প্রিয়, অনেক বেশি আপন।’’
https://www.facebook.com/MehtabHossainOfficial/posts/986668675137931
২১ জুলাইয়ের ভার্চুয়াল সমাবেশে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ভাষণ শেষ করার কিছুক্ষণের মধ্যে সবাইকে চমকে বিজেপিতে যোগ দেন ময়দানের প্রাক্তন ফুটবলার মেহেতাব হোসেন। দলের রাজ্য সদর দফতরে দিলীপ ঘোষের হাত থেকে গেরুয়া পতাকা হাতে তুলে নেন তিনি।
এর পর মেহেতাব বলেন, সাধারণ মানুষের জন্য কাজ করতে বিজেপিতে যোগ দিলাম। অনেকে বলে বিজেপি ধর্ম নিয়ে রাজনীতি করে। কিন্তু আমার কখনো তেমনটা মনে হয়নি। দিলীপ ঘোষের সঙ্গে কথা বলে তাঁর ভাল লেগেছে বলেও জানান মেহেতাব।
এই ঘটনা ব্যক্তিগতভাবে দিলীপ ঘোষের ভাবমূর্তিতে পিন ফোটালো। দিনটা ভালই বাছা হয়েছিল। একেবারে ২১ জুলাইয়ের দিন। আগাম কোনও আলোচনা ছিল না। সবটাই হয়েছিল বেশ গোপনেই। কিন্তু শেষ ভালো হল না। গো -বলয়ের রাজনীতি কপিপেস্ট করে -এখন বসানো যাবে না। অর্জুন সিং কতটা বুঝছেন তা জানা না থাকলেও দিলীপ বিলক্ষণ বুঝছেন। তাই তিনি মুসলিম মুখও খুঁজছেন। মোদী সরকার মুসলিমদের জন্য কি কি ভালো কাজ করছে তার ফিরিস্তিও মাঝে মধ্যেই দিচ্ছেন দিলীপ। একই সঙ্গে তিনি একথাও বলেছেন যে মুসলিম ভোট ব্যবহার করেছে তৃণমূল। কিন্তু তাদের উন্নয়ন করেনি।
আরও পড়ুন : ৫ অগস্ট অযোধ্যায় রাম মন্দিরের শিলান্যাস করবেন মোদী স্বয়ং !