রবিনসন স্ট্রিটের ছায়া! ঘরের মধ্যে বাবার মৃতদেহ আগলে ৩ দিন বসে মেয়ে

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest

হাওড়া: বাবার দেহ নিয়ে তিনদিন একঘরে কাটালো মেয়ে । কখনও জলমুড়ি , আবার কখনও দীর্ঘদিন পরে থাকা সিঙ্গারা মুড়ি খেয়ে কাটিয়েছে দিন । প্রতিবেশীরা জানিয়েছে, কয়েকবছর আগে মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে মৃত্যু হয় তরুণীর মায়ের । তারপর থেকে চক্ষু চিকিৎসক বাবা আর মেয়ে থাকত । কিন্তু মায়ের মৃত্যুর পর মানসিক ভারসাম্যহীন হয়ে পরে মেয়ে ।

চক্ষু চিকিৎসক অমল কুমার মান্না হাওড়ার জগাছার শিয়ালডাঙায় একটি দ্বিতল বাড়ির ওপরতলায় ভাড়া থাকতেন । বিশিষ্ট চক্ষু চিকিৎসক হিসাবে সুনাম ছিল তাঁর । স্ত্রী ও এক কন্যাকে নিয়েই থাকতেন চিকিৎসক । বছর চারেক আগে অসুস্থ স্ত্রীর মৃত্যু হয়, তারপর থেকে পড়াশোনায় মেধাবী মেয়েটিও মায়ের শোকে মানসিক ভাবে ভেঙে পড়ে । ধীরে ধীরে মানসিক ভারসাম্য হারায় । চিকিৎিসক নিজেই মেয়ের দেখাশুনা-সহ বাড়ির সব কাজই করতেন । কিন্তু মেয়েকে চোখের আড়াল করতেন না । ঠিক বাবার মতোই মৃত্যুর পরও বাবাকে চোখের আড়াল করেনি মেয়ে । বৃদ্ধ বাবার মৃতদেহ প্রায় তিনদিন ধরে ঘরে আগলে বসেছিল । কিন্তু দেহ থেকে গন্ধ বেরোতে শুরু করলে তা সহ্য করতে পারেননি । এরপর এলাকার চা বিক্রেতাকে গিয়ে ঘটনার কথা জানান ।

আরও পড়ুন: মানতে হবে নয়া নিয়ম! ফের ভক্তদের জন্য ১৫ জুন দরজা খুলছে বেলুড় মঠ

এরপর মেয়েটিকে নিয়ে চা বিক্রেতা সোজা চলে যান জগাছা থানায় । পুলিশ সব শুনে মেয়েটিকে নিয়ে বাড়িতে এসে দেখেন , বৃদ্ধ চিকিৎসকের দেহ পরে রয়েছে মেঝেতে , পাশে ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ে রয়েছে কিছু খাওয়ার । গোটা দেহে পচন ধরে আকারে প্রায় তিনগুন হয়ে গিয়েছে । গন্ধে এক মুহূর্ত দাঁড়ানো সম্ভব হচ্ছিল না ।

পুলিশের অনুমান বৃদ্ধ চিকিৎসকের মৃত্যু হয়েছে দিন তিনেক আগেই । মৃত্যুর কারণ খতিয়ে দেখছে পুলিশ । প্রতিবেশিরা জানান , অমল কুমার মান্না (৭০) নামের ওই চক্ষু চিকিৎসক প্রতিদিন মেয়েকে সঙ্গে নিয়েই কলকাতার চেম্বারে যেতেন । কোথাও বেরলে মেয়েকে নিয়েই বেরোতেন । গত এক সপ্তাহ যাবৎ এদের দু’জনকেই বাড়ি থেকে কেউ বেরতে দেখেননি । বাড়ি থেকে দেহ বার করতে সময় লাগে প্রায় তিনঘন্টা । এদিকে , করোনার মৃত্যু কিনা তা জানা যায়নি । ফলে মেয়েকে পুলিশ উদ্ধার করে হাওড়ার ডুমুরজলা কোয়ারেন্টাইন সেন্টারে নিয়ে যায় । সেখানে তার স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হবে । ১৪ দিন পর তাঁকে নিয়ে যাওয়া হবে হোমে, তবে তার আগে পরিজন তাঁদের হাঁতে তুলে দেওয়া হবে অনিতার দায়িত্ব ।

আরও পড়ুন: বিমানবন্দরের কোয়রান্টিন কেন্দ্র বন্ধ হল ন’দিনেই, মেলা টাকা খসল রাজ্যের

Gmail 2
Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest