ফের অধিকারীদের ডানা ছাঁটল রাজ্য! দিঘা-শংকরপুর উন্নয়ন পর্ষদের চেয়ারম্যান পদ থেকে সরানো হল শিশির অধিকারীকে (Sisir Adhikari)। তাঁর জায়গায় দায়িত্ব পেলেন অখিল গিরি। এই অপসারণ অধিকারী পরিবারের সঙ্গে রাজ্যের দূরত্ব বাড়ার ইঙ্গিত বলেই দাবি রাজনৈতিক মহলের। তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে, শিশিরের জায়গায় আনা হয়েছে রামনগরের বিধায়ক অখিল গিরিকে। জেলার রাজনীতিতে যাঁর অবস্থান অধিকারী পরিবারের একেবারে বিপরীতে।
ঘটনাচক্রে, মঙ্গলবার যখন সরকার এবং প্রশাসন এই সিদ্ধান্ত নিচ্ছে, তখন রাজারহাটের একটি হাসপাতালে শিশির তৈরি হচ্ছেন চোখের ছানি কাটানোর জন্য। অস্ত্রোপচারের অব্যবহিত আগে জানান, তাঁর কাছে এরকম কোনও নির্দেশ এখনও আসেনি। সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবরটি পেয়েছেন। পক্ষান্তরে, অখিলের বক্তব্য, ‘‘উনি বয়স্ক মানুষ। শ্রদ্ধেয় মানুষ। কিন্তু উনি অনেকদিন ধরেই স্বাস্থ্যের কারণে এবং বয়সের কারণে কোনও কাজ করতে পারছিলেন না। তাই ওঁকে সরিয়ে অন্যদের বসাতেই হত। আমি বলছি না যে, আমাকেই বসাতে হত। কিন্তু উনি অনেকদিন ধরেই কোনও কাজ করতে পারছিলেন না।’’
আরও পড়ুন: নন্দীগ্রামে Suvendu-র অফিসে ভাঙচুর,পালিয়ে বাঁচলেন কর্মীরা
মঙ্গলবার বেলা ১১টা নাগাদ অখিল আরও জানান যে, ওই বদল সংক্রান্ত সরকারি কোনও চিঠি বা নথিপত্র তাঁর কাছে তখনও পৌঁছয়নি। তাঁর কথায়, ‘‘শুনছি, চেয়ারম্যান এবং ভাইস চেয়ারম্যান বদল করা হয়েছে। আমার কাছে এখনও কোনও সরকারি কাগজপত্র আসেনি। শিশিরবাবু দুটো পদে ছিলেন। জেলা সভাপতি এবং ডিএসডিএ-র চেয়ারম্যান। একটা পদ থেকে সরানো হয়েছে বলে শুনছি। তবে উনি তো অনেকদিন ডিএসডিএ-র কোনও মিটিংও ডাকেননি। ফলে কাজকর্ম অনেক আটকে আছে। সামনে নির্বাচন আসছে। এমনিতেই অনেক দেরি হয়ে গিয়েছে। আমরা বুধবার থেকে আনুষ্ঠানিক ভাবে কাজকর্ম শুরু করে দেব।’’
শুভেন্দু অধিকারী দল ছাড়ার পরই ধীরে ধীরে নিজেকে তৃণমূল থেকে সরিয়ে রাখছিলেন শিশির অধিকারী। অসুস্থতার কারণে একের পর এক দলীয় কর্মসূচিতে অনুপস্থিত থাকছিলেন। এরইমধ্যে কাঁথি পুরসভার প্রশাসক পদ থেকে সৌমেন্দু অধিকারীকে সরানোর পর শিশিরের রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ নিয়েও প্রশ্ন উঠতে শুরু করে। এসবের মধ্যেই এদিন দীঘা শঙ্করপুর উন্নয়ন পর্ষদের শীর্ষ পদ থেকে অপসারণ করা হল তাঁকে। এরইসঙ্গে উস্কাল নতুন প্রশ্ন, এবার কি তবে পাকাপাকিভাবেই তৃণমূলের সঙ্গে সম্পর্ক সাঙ্গ করবেন অধিকারী পরিবারের কর্তা।
আরও পড়ুন: রাজ্যেও এবার বার্ড ফ্লু আতঙ্ক, দুর্গাপুর শহরে উদ্ধার মৃত হাঁস, মুরগি