ঘূর্ণিঝড়ের শঙ্কার মধ্যেই সমুদ্রের ঢেউয়ের সঙ্গে ভেসে এল পেঁজা বরফ! ব্যতিক্রমী ঘটনার সাক্ষী দিঘা

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest

দিঘা: একেবারে ব্যতিক্রমী ঘটনার সাক্ষী রইল দিঘার সমুদ্র। এবার সমুদ্রের জলের সঙ্গে ভেসে এল পেঁজা বরফ। কেন এমন অবাক করা ঘটনা ঘটল, তার প্রকৃত কারণ নিয়ে ধোঁয়াশা রয়েছে।

দূর থেকে দেখলে মনে হবে বরফ পড়ে আছে। ঠান্ডা ঝোড়ো হাওয়ার মধ্যে মনে পড়বে দার্জিলিঙের কথাও। কিন্তু একটু মনোযোগ দিয়ে সামনে গিয়ে দেখলে, বোঝা যাবে ওগুলো বরফ নয়। আসলে সমুদ্রের ফেনা! শুক্রবার রাতে এমনটাই ছিল দিঘা সমুদ্র উপকূলের চেহারা। আবহাওয়া দফতর ইতিমধ্যে ঘোষণা করেছে যে, ধেয়ে আসছে আমফান। শক্তিশালী এই ঘূর্ণিঝড় বাংলা-ওড়িশা উপকূল এলাকায় ঘণ্টায় প্রায় ১২০ কিলোমিটার বেগে আছড়ে পড়তে পারে। তার আগে দিঘাতে এই ধরনের সাদা সাদা সমুদ্র-ফেনা দেখা দেওয়ায় রীতি মতো সাড়া পড়ে গিয়েছে এলাকায়।

আরও পড়ুন: শক্তি বাড়িয়ে ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় আমফান, বঙ্গে আছড়ে পড়ার আশঙ্কা ৭০ শতাংশ

ঘূর্ণিঝড়ের সঙ্গে এই ফেনার কোনও সম্পর্ক আছে কি না বা এটা কোনও অশনিসঙ্কেত কি না, তা নিয়ে নানা প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে উপকূলবর্তী স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে। দিঘা অ্যাকুইরিয়ামের অন্যতম আধিকারিক তথা সমুদ্রবিজ্ঞানী প্রসাদচন্দ্র টুডু বলেন, “এটা স্বাভাবিক ঘটনা। আগে সমুদ্রের ঢেউ বা রোলিং কম ছিল। তাই ফেনা কম উৎপন্ন হত। এখন সমুদ্রের জলের সার্কুলেশন অনেক বেড়েছে। ঘূর্ণিঝড়ের জন্য বেড়েছে সমুদ্রের উপরে বাতাসের গতিবেগ। তাই অনেক বেশি ফেনা বেড়েছে।’’

শুক্রবার রাতের তুলনায় শনিবার সকালে যদিও ফেনা কিছুটা কমেছে।  বেলা যত গড়িয়েছে এই ফেনার পরিমাণ  আরও কমেছে বলে স্থানীয়দের দাবি। লকডাউন চলায় দীঘা উপকূল এখন কার্যত জনমানব শূন্য। নুলিয়া ও  দিঘা উপকূল  থানার পুলিশের টহলদারি রুটিন অনুযায়ী চলছে। তবে এই ফেনা দেখার জন্য দুই এক জন অত্যুৎসাহী স্থানীয় বাসিন্দা অবশ্য দিঘা উপকূলে চলে আসছেন। পুলিশ তাঁদের উপকূল থেকে সরিয়ে দিচ্ছে।

আরও পড়ুন: বেজায় গরমেও ত্বক থাকুক ফুরফুরে, জেনে নিন উপায়…

Gmail 2

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest