বসিরহাট: আমফানে বিপর্যস্ত এলাকা পরিদর্শনে রাজ্যে এসেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তিনি ও মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যা একই হেলিকপ্টারে দুই ২৪ পরগনার বিপর্যস্ত এলাকা পরিদর্শন করেন আজ। সেই হেলিকপ্টারেই ছিলেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়ও। এক ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে দুর্গত এলাকা আকাশপথে দেখার পরে হেলিকপ্টার নামে বসিরহাট কলেজের মাঠে। সেই কলেজেই শুরু হয় প্রধানমন্ত্রী ও মুখ্যমন্ত্রীর বৈঠক।
এদিন আরও একটি হেলিকপ্টারে বসিরহাটে আসেন রাজ্য থেকে নির্বাচিত দুই কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয় ও দেবশ্রী চৌধুরী। দিল্লি থেকে এদিন রাজ্যে আসেন আরও দুই কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধান, প্রতাপচন্দ্র সারেঙ্গি।
পেট্রোলিয়াম মন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধান ও ক্ষুদ্র শিল্প মন্ত্রকের রাষ্ট্রমন্ত্রী প্রতাপচন্দ্র সারেঙ্গিও ওই বৈঠকে রয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। রয়েছেন বাংলার রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়ও।
পরে সাংবাদিকদের প্রধানমন্ত্রী বলেন, তিনি চান যে দ্রুত সমীক্ষা হোক যে ঠিক কতটা ক্ষতি হয়েছে, কত অর্থ লাগবে সবকিছু আবার পুনর্গঠন করতে। কেন্দ্রও দল পাঠাবে বলে জানান তিনি। আপাতত অগ্রিম দশ হাজার কোটি টাকা দেওয়া হচ্ছে, বলেন মোদী। একই সঙ্গে মৃতদের পরিবারদের দুই লক্ষ টাকা করে দেওয়া হবে। অসুস্থদের দেওয়া হবে ৫০ হাজার টাকা।
প্রধানমন্ত্রী বলেন যে সবচেয়ে খারাপ অবস্থা পশ্চিমবঙ্গে। তিনি প্রথম থেকেই সবার সঙ্গে যোগাযোগ রাখছিলেন, জানান তিনি। বাংলা যাতে আবার উঠে দাঁড়াতে পারে, সেই জন্য চেষ্টার কোনও কসুর করা হবে না, বারবার এই কথা বলেন মোদী। যা নীতি নিয়ম আছে, সেই অনুসারে পুরো সাহায্য করা হবে রাজ্যকে।
আরও পড়ুন: আমফানের তাণ্ডবে সুন্দরবন বিচ্ছিন্ন বদ্বীপ