বাংলার বাইরে জায়গা খুঁজছেন মমতা, খোঁচা মোদীর

মোদী আপ্রাণ চেষ্টা করছেন শেষ লগ্নে বিজেপির ভোট কিছু বাড়াতে। নতুন করে সেই চান্স কম বলেই অনেকে মনে করছেন। এক্ষেত্রে মোদীর ভরসা একমাত্র 'বিদ্বেষীরা'।
Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest

দিদিকে আক্রমণ করে বিজেপি কর্মী সমর্থকদের চাঙ্গা করার মরিয়া চেষ্টা করলেন মোদী। বিজেপির পরিযায়ী নেতারাই বঙ্গ বিজেপিকে উদ্ধারের দায়িত্ব নিয়েছেন। তাঁরা জানেন, আর যাই হোক দুর্নীতির ফুটেজ খাওয়া নেতাদের দিয়ে ভোট বৈতরণী পার হওয়া যাবে না। তাই প্রায় ‘ডেইলি প্যাসেঞ্জারি’ করতে হচ্ছে শাহ-মোদীদের। মোদী-শাহ বাংলা মানুষের জন্য উন্নয়নের কথা বলে সময় নষ্ট করতে চাইছেন না। মোদী জানেন উন্নয়নের কথা আর ফেরি করা যাবে না। দেশের মানুষ সব জানে। বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলিতে উন্নয়নের বেহাল অবস্থার খবর রাখে। তাই দিদিকে আক্রমন করে নম্বর বাড়ানোর চেষ্টায় রয়েছেন দিল্লি ফেরত নেতারা।

শনিবার রাজ্যে প্রচারে এসে দক্ষিণ ২৪ পরগনার সোনারপুরে মোদী সেই প্রসঙ্গ টেনে বলেন, ‘‘দিদির পার্টি বলছে, দিদি বারাণসী থেকে লোকসভায় লড়বেন। এতে দুটো কথা স্পষ্ট। দিদি বাংলায় নিজের হার স্বীকার করে নিয়েছেন। তাই বাইরে যাওয়ার কথা ভাবছেন। দিদি এখন বাংলার বাইরে নিজের জন্য জায়গা খুঁজছেন।’’

দ্বিতীয় দফার নির্বাচনের দিন রাজ্যে প্রচারে এসে মোদী বলেছিলেন, ‘‘নন্দীগ্রামের অবস্থা দেখেই স্পষ্ট, দিদি হারছেন।’’ সঙ্গে আরও এক প্রসঙ্গ তুলে কটাক্ষ করেছিলেন মোদী— ‘‘দিদি কি এ বার অন্য কোনও আসনে লড়বেন?’’ এর পরে পরেই তৃণমূলের তরফে মোদীর এই বক্তব্যকে নাকচ করে দেওয়া হয়। শনিবার মোদী বলেন, ‘‘ভালই। বিধানসভায় হেরে লোকসভায় অবশ্যই যান। একটা কথা কানে কানে বলি শুনে রাখুন, আমার বারাণসী, কাশী এবং উত্তরপ্রদেশের মানুষ এত বড় মনের যে ওঁরা আপনাকে ‘বহিরাগত’, ‘পর্যটক’ বলবেন না। বাংলার মানুষের মতোই বড় মন ওঁদের।’’

আরও পড়ুন: ‘নন্দীগ্রাম নিয়ে চিন্তিত নই, চিন্তিত গণতন্ত্র নিয়ে’, দু’ঘণ্টা পর বুথ থেকে বেরিয়ে বললেন মমতা

শনিবার হরিপালের সমাবেশ থেকে মোদী বলেন, ‘‘বিজেপি সরকারে আসার পরে সব চেয়ে আগে কৃষকদের সুবিধা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। মন্ত্রিসভার প্রথম বৈঠকেই সেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।’’ রাজ্যে নির্বাচনী প্রচারে এসে এমন কথা আগেও বলেছেন মোদী।

মোদী আপ্রাণ চেষ্টা করছেন শেষ লগ্নে বিজেপির ভোট কিছু বাড়াতে। নতুন করে সেই চান্স কম বলেই অনেকে মনে করছেন। এক্ষেত্রে মোদীর ভরসা একমাত্র ‘বিদ্বেষীরা’। যারা সর্বদা হিন্দু মুসলিম বিভাজনের কথা বলে। যারা বিনা প্রসঙ্গে পাকিস্তানের কথা তুলে আনে। সে কারণেই গেরুয়া জার্সি গায়ে দিয়েই শুভেন্দু গো-বলয়ের বিদ্বেষী বিজেপি নেতাদের মত কথা বলতে শুরু করেছেন। বাংলায় এই ফর্মুলা কাজে লাগবে না বলেই মনে করছেন অনেকে। মোদিও সম্ভবত তেমনটা আশংকা করছেন।

আরও পড়ুন: ‘‘বিজেপি থেকে সাবধান, ওদের হাতে আছে স্টেনগান…’’প্রচারে নয়া স্লোগান মমতার

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest