কলকাতা: সুপার সাইক্লোনে পরিণত হতে চলেছে ঘূর্ণিঝড় আমফান। আলিপুর আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস বলছে, আমফানের দাপটে কলকাতা, হাওড়া, হুগলি, পশ্চিম মেদিনীপুরে ঘণ্টায় ১৩০ কিমি বেগে ঝড় বইতে পারে।রাজ্যে জারি করা হয়েছে কমলা সতর্কতা।আবহাওয়া দফতরের এই পূর্বাভাস পেয়ে যুদ্ধকালীন তত্পরতা শুরু হয়েছে।
নবান্ন সূত্রে খবর, ইতোমধ্যে উপকূল এলাকা থেকে প্রায় ৫০ হাজার মানুষকে সরানো হয়েছে। আরও দেড় লক্ষ মানুষকে সরানো হবে। ২৪ ঘন্টার কন্ট্রোলরুমও খোলা হয়েছে। জেলাগুলির ফ্লাড সেন্টারে সামাজিক দূরত্ব রক্ষা ও মাস্ক ব্যবহার করতে হবে বলে নির্দেশও জারি হয়েছে। প্রতিটি সেন্টারে রাখা হচ্ছে পর্যাপ্ত পরিমাণে স্যানিটাইজার।
আরও পড়ুন: পরিযায়ী শ্রমিকদের ঘরে ফেরাতে আরও ১২০টি ট্রেনের ঘোষণা মমতার
জাতীয় আবহাওয়া দফতর জানিয়ে আগামী ১২ ঘণ্টার মধ্যে আমফান শক্তি বাড়িয়ে সুপার সাইক্লোনে পরিণত হবে। গভীর সমুদ্রে ঝড়ের গতিবেগ ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ২৬৫ কিলোমিটার হতে পারে। উপকূলে আছড়ে পড়ার সময় শক্তি কিছুটা কমবে। তবে তা ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ১৮৫ কিলোমিটার হতে পারে। জানা যাচ্ছে, দিঘা এবং বাংলাদেশের হাতিয়ার মধ্যে কোথাও স্থলভাগে আছড়ে পড়বে এই ঘূর্ণিঝড়। সুন্দরবনে সর্বাধিক ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা করা হচ্ছে।
রাজ্য সরকার সূত্রে খবর, এ রাজ্যে ৭টি ১০টি দল পাঠিয়েছে NDRF। সংস্থার ডিরেক্টর জেনারেল এসএন প্রধান জানিয়েছেন, ‘ওডিশার ৭টি জেলায় ১০টি দল পাঠানো হয়েছে। আর তৈরি রাখা আছে ১০টি দল। আর পশ্চিমবঙ্গে ৬টি জেলায় ৭টি দল পাঠানো হয়েছে। তৈরি রাখা আছে ১০টিরও বেশি দল। আমরা পরিস্থিতির দিকে নজর রাখছি। সব সংস্থার সঙ্গে সংযোগ রক্ষা করে চলছি।’
কাকদ্বীপ ও ক্যানিং মহকুমা এলাকায় ৫টি NDRF টিম ও ৪টি SDRF টিম মোতায়েন করা হচ্ছে। ঘোড়ামারা, মৌসুনি, জি-প্লট, গোসাবার ছোট মলখালি দ্বীপে মোতায়েন করা হচ্ছে SDRF টিমকে। অন্যদিকে, সাগর, কাকদ্বীপ, নামখানা, পাথরপ্রতিমা, গোসাবাতেও NDRF দলকে মোতায়েন করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: কুৎসা করার সুযোগ দেবেন না, ঈদ পালন করুন ঘরেই, আবেদন মমতার