Site icon The News Nest

জঙ্গমহলে ফের সক্রিয় NIA! ১১ বছরের পুরনো মামলায় তৃণমূল নেতা ছত্রধরকে জেরা

chatradhar mahato pti

বিধানসভা নির্বাচনের কথা মাথায় রেখেই জুলাই মাসে দলে বড় ধরনের সাংগঠনিক রদবদল ঘটিয়েছেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বদলের বহর দেখে একে আমূল সংস্কারই বলছেন রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা। মূল সংগঠনে এক ধাক্কায় আটটি জেলায় নতুন সভাপতি করা হয়েছে।

দীর্ঘ ১১ বছর জেলে কাটানো, জনসাধারণের কমিটির তৎকালীন নেতা ছত্রধর মাহাতোকে একেবারে দলের রাজ্য কমিটিতে জায়গা করে দিয়েছেন তৃণমূল নেত্রী। আর তারপর থেকেই জঙ্গলমহল পুনঃরুদ্ধারে রীতিমতো ঝাঁপিয়ে পড়েছেন ছত্রধর। আর ঠিক এরপরই ১১ বছরের পুরনো মামলায় তাঁকে জেরা করতে শুরু করল NIA.

আরও পড়ুন : হঠাৎ পদত্যাগ জাপানের প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবের, ক্ষমা চাইলেন দেশবাসীর কাছে

ভুবনেশ্বর রাজধানী হাইজ্যাক ও সিপিএম নেতা খুন, জোড়া মামলায় ছত্রধরকে জিজ্ঞাসাবাদ শুক্রবার জিজ্ঞাসাবাদ করে এনআইএ। শালবনির সিআরপিএফ ক্যাম্পে তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। হাজিরার জন্যে ছত্রধরকে ৩ বার নোটিস দিয়েছিল এনআইএ। করোনা আবহের যুক্তিতে কলকাতায় আসেননি ছত্রধর, সেই জন্যেই শালবনিতে গিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।

শুক্রবার সকাল 11 টা থেকে শুরু হয় জিজ্ঞাসাবাদ। তাঁকে ১১ বছরের পুরনো কেসের বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ বলে জানান ছত্রধর মাহাতো।ছত্রধর মনে করছেন তৃণমূল কংগ্রেসে যোগদান করাতে কেন্দ্রীয় সরকারের এই জিজ্ঞাসাবাদ হেনস্থা। 39 টি মামলা দেওয়া হয়েছিল ছত্রধর মাহাতোর বিরুদ্ধে। তার মধ্যে 15 টি মামলা খারিজ হয়ে যায়। বাকি মামলা গুলিতে জামিনে মুক্ত হয়েছেন তিনি । শনিবার নটার সময় ফের জিজ্ঞাসাবাদের সময় দিয়েছে কেন্দ্রীয় সংস্থা।

২০০৯ সালের পুরনো দু’টি মামলায় নতুন করে তদন্ত শুরু করেছে এনআইএ।যদিও ছত্রধরের দাবি, ‘ওই দুটি মামলায় যে আমি জড়িত নই, তা ইতিমধ্যে প্রমাণ হয়ে গিয়েছে।’ যদিও ছত্রধরের বিরুদ্ধে ওই দুটি মামলায় এনআইএ-কে তদন্ত চালিয়ে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। মামলা দু’টি হল- লালগড়ের এক সিপিএম কর্মী খুন ও জেলবন্দি ছত্রধরের মুক্তির দাবিতে বাঁশতলা স্টেশনে ভুবনেশ্বর-দিল্লি রাজধানী এক্সপ্রেস আটক।

আরও পড়ুন : বাবাকে হারালেন রাজ চক্রবর্তী, শেষ দেখা হল না করোনা আক্রান্ত পরিচালকের

Exit mobile version