Site icon The News Nest

বিজেপি নাকি ‘‌তৃণমূলের বি–টিম’‌? প্রশ্ন উঠতেই দরজা বন্ধ করল গেরুয়া শিবির

tmc bjp

একুশের নির্বাচনের আগে বড় সিদ্ধান্ত নিল বিজেপি। মঙ্গলবার পদ্ম শিবিরের শীর্ষ নেতৃত্বের তরফে জানান হল যে পশ্চিমবঙ্গে তৃণমূল কংগ্রেস ছেড়ে যারা বিজেপিতে আসতে চাইছে জোটবদ্ধভাবে তাঁদের কাউকে আর দলে যোগদান দেওয়ানো হবে না।

শুভেন্দু অধিকারী, সৌম্যেন্দু অধিকারী, রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়, বৈশালী ডালমিয়া, প্রবীর ঘোষাল, রথীন চক্রবর্তী। তারও আগে মুকুল রায়, শোভন চট্টোপাধ্যায়। ভোটের আগে আপাতত নতুন করে দলে কাউকে যোগদান করাবে না বিজেপি। শনিবার দিল্লিতে অমিত শাহের বাসভবনে রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়দের যোগদানের পর এমনটাই জানিয়েছেন বিজেপির সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক কৈলাস বিজয়বর্গীয়। শনিবার রাজীবদের বিজেপিতে যোগদানের পর ভোটের আগে আরও রাজনৈতিক নেতাদের দলবদলের জল্পনা বাড়ছিল। এদিন কৈলাসের ঘোষণা সেই জল্পনায় কার্যত জল ঢেলে দিল।

আরও পড়ুন: ‘ডিভোর্স দেব না, তোমার সঙ্গেই ঘর করতে চাই’, সৌমিত্র খাঁ-কে চিঠি দিলেন ‘উইথ লাভ’ সুজাতা!

সম্প্রতি বেশ কয়েক জন তৃণমূলত্যাগীকে বিজেপিতে নেওয়ার পর স্থানীয় স্তরে বিক্ষোভ দেখা দেয়। কৈলাস বলেন, “অনেক ক্ষেত্রেই জেলা নেতৃত্ব গণযোগদান নিয়ে সন্তুষ্ট নন। এতে মারামারি হয়েছে এবং কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের ক্ষেত্রেও বিষয়টি খুব একটা হালকা নয়। এটা ঠিক যে এ ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন রাজ্য নেতৃত্ব। কিন্তু জেলা থেকে শংসাপত্র পাওয়া গেল তবেই কাউকে বিজেপিতে নেওয়া হবে”।

বিজয়বর্গীয় আরও বলেন, “যে সব নেতাদের ভাবমূর্তি স্বচ্ছ নয়, তাঁদের বিজেপিতে নিয়ে আমরা তৃণমূলের বি-‌টিম হতে চাই না। যাঁদের বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে, যাঁরা বেআইনি কাজের সঙ্গে যুক্ত এমন তৃণমূল নেতাদের আমরা দলে নিতে চাই না”। আর একথা সোনার পর অনেকেই মুচকি হাসি হেসেছে। মূলত যাঁরা দুর্নীতিতে যুক্ত তাঁদেরকেই উচ্চ পদে বসিয়েছে বিজেপি। মুকুল রায়, শুভেন্দু অধিকারী বিজেপিতে যোগ দিতেই মুছে গিয়েছে নারদার ফুটেজ। তাই বেআইনি কাজের সঙ্গে যুক্ত এমন তৃণমূল নেতাদের দলে না নেওয়ার যে বার্তা বিজয়বর্গীয় দিলেন, তা তেমন জমল না বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল।

আরও পড়ুন: গেরুয়া শিবিরে দেব! ট্যুইট করে জল্পনার জবাব দিলেন TMC সাংসদ

Exit mobile version