“ময়ূরের সঙ্গে ভিডিও পোস্ট না করে বেকারদের জন্য কর্মসংস্থানের দিকে নজর দিন”, দেশে বেকারত্বের হার নিয়ে ফের প্রধানমন্ত্রী মোদিকে ব্যাঙ্গাত্মকভাবে বিঁধলেন তৃণমূল সাংসদ নুসরত জাহান ।
দিন কয়েক আগেই প্রধানমন্ত্রী বাসভবনে ময়ূরের সঙ্গে নানা ছবি পোস্ট করেছিলেন মোদি। কখনও বা সবুজ ঘাসে পেখম মেলা নৃত্যরত ময়ূরের পাশে দেখা গিয়েছে তাঁকে, আবার কখনও বা তাদের খাওয়াতে দেখা গিয়েছে। যেসব ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় রীতিমতো ভাইরাল হয়ে উঠেছিল। আর সেই প্রসঙ্গে টেনে এনেই এবার দেশে বেকারত্বের হার নিয়ে প্রধানমন্ত্রীকে কটাক্ষ করেছেন সাংসদ নুসরত।
করোনার আগে থেকেই দেশের অর্থনীতিতে ঝিমুনি ধরেছিল। প্রথম কারণ ছিল বিনা প্রস্তুতির নোটবন্দি। অর্থনীতি নিয়ে যে এমন স্টান্টবাজি করা যায় না , সে কথা প্রধানমন্ত্রী সম্ভবত বোঝেননি। মন্দির নিয়ে যা করা যায়, অর্থনীতি নিয়ে তা করা যায় না। একথা মোদী বোঝেননি। এর ফলে ১৩০ কোটির দেশে ছোট ও মাঝারি ব্যবসা একদম ঠান্ডা হয়ে যায়। গোটা দেশ দিশেহারা। তখনই মোদির দ্বিতীয় স্টান্ট হল জিএসটি। পরিস্থিতি সামাল দিতে গিয়ে তিনি আরও বিগড়ে দেন।
মোদীজি খুব ভালো অর্থনীতি বোঝেন, একথা তাঁর ভক্তও বিশ্বাস করবে না। অথচ গোটা প্রক্রিয়ায় তিনিই কৃতিত্ব দাবি করেন। তার মাঝে ব্যাঙ্কের ১২ তা বাজিয়ে গুজরাটি ব্যাবসায়ী নীরব মোদী ও তার মামা টাকা লুট করে চম্পট দেয়। সব মিলিয়ে দেশ যখন আর্থিকভাবে ভীষণ চাপে তখন গোদের ওপর বিষফোঁড়া হয়ে এলো করোনা।
সাংসদ-অভিনেত্রীর কথায়, “মোদিজি যখন ময়ূরের সঙ্গে ভিডিও পোস্ট করতে ব্যস্ত, তখন এদিকে দেশে বেকারত্বের হার উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পেয়েই চলেছে। রাজনৈতিক উদ্দেশ্য প্রণোদিত ভাষণ দেওয়ার পাশাপাশি দেশের ২ কোটি বেকারদের জন্য কর্মসংস্থান করাও উচিত ওনার!”
While @narendramodi Ji was busy featuring in videos with peacocks, the unemployment rate in the country kept going up! Along with politically motivated videos, he should also deliver the promise of 2 Cr jobs for the people of India!#ActOf_MODI
https://t.co/Skcffrr3Q5— Nusrat Jahan Ruhi (@nusratchirps) September 5, 2020
আগস্ট মাসের এক সমীক্ষায় উঠে এসেছে চাঞ্চল্যকর তথ্য। দেখা গিয়েছে, এই অতিমারী পরিস্থিতিতে দেশে রেকর্ড হারে বৃদ্ধি পেয়েছে বেকারত্বের সংখ্যা। যুবপ্রজন্মের প্রায় ৪১ লক্ষ মানুষ কাজ হারিয়েছেন। যার ফলে তরুণ প্রজন্ম হতাশা, অবসাদের শিকারও হচ্ছে। উপরন্তু দেশের প্রান্তিক অঞ্চলেও কাজ নেই সেরকম।