আসছে ভোট। বাড়ছে হিংসা। রাজনৈতিক ছকবাজি। নিজের গড় নন্দীগ্রামেই খানিকটা বেকায়দায় পড়ছেন শুভেন্দু অধিকারী। ভোটের ময়দানে এক ইঞ্চিও জমি ছাড়তে রাজি নন তৃণমূল তথা তৃণমূলনেত্রীকে। নন্দীগ্রামে (Nandigram) সভা করার পর ২৪ ঘণ্টার মধ্যে এবার শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikari) অফিসে ভাঙচুর চালাল দুষ্কৃতীরা। আসবাবপত্র ও বাইক ফেলে দেওয়া হল পুকুরে। কোনওরকমে পালিয়ে বাঁচলেন অফিসের কর্মীরা।
বিজেপিতে (BJP) যোগ দেওয়ার পর শুক্রবার নন্দীগ্রামে (Nandigram) প্রথম জনসভা করেন শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। সংক্ষিপ্ত ভাষণে তৃণমূলের (TMC) বিরুদ্ধে ঢিল ছুঁড়ে সভা ভণ্ডুলের চেষ্টার অভিযোগ করেন তিনি। সিপিএম-র (CPM) সঙ্গে তুলনা টেনে বলেন, ‘সিপিআইএম কোনওদিন তৃণমূলের কোনও সভায় ঢুকে ঢিল মারেনি। কোনওদিন দেখিনি।’
আরও পড়ুন: মোদীর বাবা ট্রাম্প হেরেছে, এবার উন্মত্ত ষাড় দিলীপ ঘোষও হারবে: কটাক্ষ সৌগত রায়ের
প্রসঙ্গত, ৭ জানুয়ারি শহিদ দিবসে নন্দীগ্রামে (Nandigram) সভা করার কথা ছিল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee)। আর তারপরই ৮ তারিখ অর্থাৎ গতকাল, নন্দীগ্রামের (Nandigram) সভা থেকে মুখ্যমন্ত্রীকে তার জবাব দেবেন বলে ঘোষণা করেছিলেন শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। বলেছিলেন, “৭-এ আসুন। ভাষণ দিন। আমি জানি, আপনি কী বলবেন। ৮ তারিখে আমি আপনাকে জবাব দেব।’
অনেকে বলছেন দাদার অনুগামীদের আসল রূপ এখন সামনে। তারা কেউ তৃণমূলী নয়। শুভেন্দুর এমন দলত্যাগে তারা বেজায় অসন্তুষ্ট। দাদার অনুগামী বলে এতদিন যে ‘নাটক’ চলল তা আসলে বিজেপির তৈরী। বাংলার বিশেষ কোনও বিজেপি নেতার প্রতি এরা দায়বদ্ধ নয়। এরা শাহ-মোদীর প্রতি দায়বদ্ধ। সে কারণেই শুভেন্দু নিজেই বাংলাকে মোদীর হাতে তুলে দিতে চেয়েছেন।
শুভেন্দুর এককালের দোসররাও কেউ কেউ বলছেন, নন্দীগ্রামে নিজের লোকদেরই শুভেন্দু সামলাতে পারবে না। এতদিন তৃণমূলের নুন খেয়ে, উনি যে ভাবে বিজেপির গুন গাইছেন, তা অনেকের পছন্দ নয়। তাদের বক্তব্য হল, শুভেন্দু যদি নিজে দল গড়ে ভোট লড়ত মানুষ তাকে সমর্থন করত। যেমন মমতা করেছিলেন। কংগ্রেস থেকে বের হয়ে তৈরী করেছিলেন তৃণমূল কংগ্রেস। দীর্ঘ লড়াইয়ের পর সিপিএমকে উৎখাত করতে পেরেছিলেন। মানুষকে পাশে পেয়েছিলেন। কিন্তু শুভেন্দু মানুষকে পাশে পেতে চাননি। তিনি বিজেপিকে পাশে পেতে চেয়েছেন।
আরও পড়ুন: ভারতে ফ্রি মেসেজিং অ্যাপের তালিকার শীর্ষে Signal! পিছিয়ে পড়েছে WhatsApp