বর্ধমান শহরে করোনা সংক্রমণ রোধে বাজারের সময়সীমা বেঁধে দেওয়া নিয়ে ছড়াল বিভ্রান্তি। সম্প্রতি পূর্ব বর্ধমান চেম্বার অফ ট্রেডার্স সংগঠনের জারি করা এমন এক নির্দেশিকা ছড়িয়ে পড়ে সোশ্যাল মিডিয়ায়। যদিও জেলা প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে, বাজার খোলা বা বন্ধ রাখার ব্যাপারে এমন কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি। আপাতত দোকান–বাজার যেভাবে চালু ছিল সেভাবেই চালু থাকবে।
কিছুদিন আগে প্রশাসন সূত্রেই জানা যায়, বর্ধমান পুর এলাকায় বাড়তে থাকা গোষ্ঠী সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণ করতে বাজার, দোকানে ভিড় ও যানবাহন চলাচলে রাশ টানা হতে পারে। এ নিয়ে স্থানীয় ব্যবসায়ী সংগঠনগুলির মতামত জানতে তাদের প্রতিনিধিদের সঙ্গে পূর্ব বর্ধমানের জেলাশাসক বিজয় ভারতী বৈঠকও করেন। তবে ওই পর্যন্তই। বৈঠকে কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি।
এরই মধ্যে শনিবার ফেসবুক ও হোয়াট্সঅ্যাপে ভাইরাল হয় পূর্ব বর্ধমান চেম্বার অফ ট্রেডার্স সংগঠনের নাম সম্বলিত এক নির্দেশিকা। তাতে বলা হয়েছে, সকাল ৭টা পর্যন্ত মাছ ও সবজির পাইকারি বাজার ও ১০টা পর্যন্ত সেগুলির খুচরো বাজার খোলা রাখা যাবে। মুদিখানা–সহ অন্যান্য দোকান খোলা থাকবে সকাল ১১টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত। তার পর সব কিছু বন্ধ রাখতে হবে। এই বিজ্ঞপ্তি প্রশাসনের নজরে আসার পরই দূর হয় বিভ্রান্তি।
আরও পড়ুন: বাংলার করোনায় মৃত্যু ২,০০০ ছাড়াল, ৮৮ শতাংশ মৃত্যতে দায়ী কোমরবিডিটি
অন্যদিকে, পূর্ব বর্ধমান জেলায় করোনার পরীক্ষা বাড়ানোর নির্দেশ দিল রাজ্য স্বাস্থ্য দপ্তর। প্রতিদিন এক হাজার করে পরীক্ষা নিশ্চিত করতে বলা হয়েছে।এই জেলায় অনেক কম পরীক্ষা হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠছিল। পরীক্ষা বাড়ালে দ্রুত করোনা আক্রান্তদের চিহ্নিত করে তাদের চিকিৎসার আওতায় আনা যাবে বলে জানাচ্ছিলেন বিশেষজ্ঞরা। বর্ধমান শহর সহ জেলা জুড়ে আক্রান্তের সংখ্যা ব্যাপকভাবে বাড়তে থাকায় এবার এই জেলাকে পরীক্ষা বাড়ানোর নির্দেশ দিয়েছে রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর সেই নির্দেশের পরিপ্রেক্ষিতে পরীক্ষা বাড়ানোর ব্যাপারে তৎপরতা বাড়িয়েছে জেলা প্রশাসন।
পূর্ব বর্ধমান জেলায় গড়ে সাড়ে চারশো পাঁচশো নমুনার পরীক্ষা হচ্ছিল। এবার দৈনিক এক হাজার জনের নমুনা পরীক্ষার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। কিন্তু নমুনা সংগ্রহ করা গেলেও তা পরীক্ষা করার মত পরিকাঠামো এই জেলায় নেই বলে জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে। বর্ধমান মেডিকেল কলেজে আর টি পিসি আর মেশিনে করোনার নমুনা পরীক্ষা হচ্ছে। কিন্তু সেখানে দিনে সাড়ে চারশ বেশি পরীক্ষা করার সম্ভব নয় বলে রাজ্য স্বাস্থ্য দপ্তরকে জানায় জেলা প্রশাসন। এরপরই রাজ্য স্বাস্থ্য দপ্তর থেকে বর্ধমান মেডিকেল কলেজের পাশাপাশি নাইসেড এবং এনআরএস হাসপাতালে নমুনা পাঠানোর পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। সেই মতো নমুনা পাঠানোর কাজ শুরু হয়েছে বলে জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে।
আরও পড়ুন: পারিবারিক অশান্তির জের, ২বছরের শিশুকে খুন করে আলমারিতে রেখে দিল জেঠিমা!