টিকা, চিকিৎসা সরঞ্জাম ও ওষুধে করছাড়ের দাবি জানিয়ে চিঠি মমতার, মোদীর ঢাল নির্মলা

মোদীর নেতৃত্বের দুর্বলতা স্পষ্ট করে দিয়েছে করোনা। বোঝা গিয়েছে উনি ফাঁকা মাঠে গোল দিতে পারেন।
Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest

করোনা টিকা ও চিকিৎসা সরঞ্জাম ও ওষুধে করছাড়ের দাবি জানিয়ে প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি লিখেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বিকেলে সেই টুইটের জবাব দিলেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন। মোট ১৬টি টুইট করেন তিনি। তার মধ্যে ১৫টিতে দিলেন ব্যাখ্যা। বিস্তারিত জানালেন করোনার চিকিৎসা সরঞ্জাম থেকে অক্সিজেনে করের বিষয়টি। স্পষ্ট করে দিয়ে বললেন, টিকার ক্ষেত্রে ৫ শতাংশ ও ওষুধ ও অক্সিজেনের ক্ষেত্রে ১২ শতাংশ কর রাখলে এগুলির দাম নিয়ন্ত্রণে থাকবে।

নির্মলা ৩ মে কেন্দ্রীয় সরকারের তরফ থেকে সিদ্ধান্ত নিয়ে ‘কোভিড ছাড়’ হিসাবে যে সরঞ্জামগুলিতে ছাড় দেওয়া হয়েছে তার একটি তালিকাও দিয়েছেন। সেখানে লিখেছেন, ‘কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষ থেকে গত ৩ মে সিদ্ধান্ত নিয়ে করোনা ছাড় হিসাবে এই দ্রব্যগুলির উপর থেকে আমদানি শুল্ক ও স্বাস্থ্য সেস তুলে নেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে জিএসটি-ও রয়েছে’।

বিস্তারিত ভাবে নির্মলা দাবি করেছেন, করোনা চিকিৎসার জন্য বিনামূল্যে বিতরণের যে জিনিসগুলি, সেগুলির ক্ষেত্রে আমদানি শুল্ক, জিএসটি তুলে নেওয়া হয়েছে। বিনামূল্যে বিতরণের রেমডিসিভির ওষুধ, ইঞ্জেকশন, তৈরির সরঞ্জাম থেকে শুরু করে মেডিক্যাল অক্সিজেন, অক্সিজেন দেওয়ার যন্ত্র, সবই রয়েছে। নিজের সপ্তম টুইটে নির্মলা লিখেছেন, ‘এই ছাড় উল্লিখিত সমস্ত দ্রব্যের জন্যই প্রযোজ্য যেগুলি বিনামূল্যে আমদানি করা হচ্ছে বিনামূল্যে বিতরণ করার জন্য। রাজ্য সরকার, কোনও স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা থেকে শুরু করে যারাই বিনামূল্যে বিতরণ করতে চাইবে, তারা ছাড় পাবে।

আরও পড়ুন: অধিকারী ‘বুথে’ও তৃণমূলের চেয়ে অনেক পিছিয়ে বিজেপি, প্রশ্ন শুভেন্দুর সাফল্য নিয়ে

ব্যাবসায়িক ব্যবহারের জন্যও প্রাথমিক আমদানি শুল্ক ও স্বাস্থ্য সেস তুলে নিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। করোনা সরঞ্জামের ব্যবসায়িক ব্যবহারে ৫ শতাংশ থেকে ১২ শতাংশ পর্যন্ত জিএসটি রয়েছে। দেশের মধ্যে সরবরাহ ও ব্যবসায়িক আমদানির ক্ষেত্রে এটি প্রযোজ্য। তবে নির্মলা হিসাব করে দেখিয়েছেন, এই সংগৃহীত জিএসটির বেশির ভাগটাই পাবে রাজ্য সরকার। তাঁর হিসাবে ১০০ টাকা জিএসটি সংগৃহীত হলে রাজ্যে কাছে যাবে ৭০.৫০ টাকা। করোনা টিকার থেকে কেন্দ্রের পাওয়া জিএসটির ক্ষেত্রেও এটি প্রযোজ্য। ব্যবসায়িক ব্যবহারে এই জিনিসগুলির উপর জিএসটি রাখার কারণ হিসেবে নির্মলা বলেছেন,এই কর না থাকলে বেশি দামের বোঝা চাপতে পারে সাধারণ মানুষের উপর।

মোদীর নেতৃত্বের দুর্বলতা স্পষ্ট করে দিয়েছে করোনা। বোঝা গিয়েছে উনি ফাঁকা মাঠে গোল দিতে পারেন। বক্তিমে করতে পারেন রসিয়ে রসিয়ে। নিজেকে ফকির বলে দাবি করতে পারেন। আবার প্রধানমন্ত্রীর সাধের নয়া বাসভনের জন্য তাগাদা দিতে পারেন। তাঁর ফানুস ভাবমূর্তি দেশবাসীর কাছে প্রকাশ হয়ে গিয়েছে। তিনি যে রাজনৈতিকভাবেও কাগুজে বাঘ তা প্রমান করে ছাড়লেন মমতা। বাংলার মাটি তাঁকে বুঝিয়ে দিয়েছে কত ধানে কত চাল। করোনা নিয়ে বিশ্বজুড়ে তিনি নাজেহাল। রোববার তাই মমতার পত্রাঘাতের জবাব দিতে তিনি ঢাল করলেন নির্মলাকে সীতারামনকে।

আরও পড়ুন: অর্থে অমিত, শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য, পরিবহণে ফিরহাদ, উত্তরবঙ্গে মমতা…দেখুন কে কোন দায়িত্বে

 

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest