Site icon The News Nest

কথা ছিল আগে থেকেই, তবুও অধীর-মান্নানের সঙ্গে সাক্ষাৎ এড়িয়ে গেলেন ত্বহা

toha

কথা ছিল আগেই । কিন্তু দেখা হল না। মঙ্গলবার হুগলির পিরজাদা ত্বহা সিদ্দিকির সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে গিয়ে কার্যত শূন্য হাতেই ফিরতে হল প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী ও বিরোধী দলনেতা আব্দুল মান্নানকে। ত্বহার বদলে পীরজাদা ইব্রাহিম সিদ্দিকির সঙ্গে বেশ কিছুক্ষণ আলোচনা হয়েছে অধীর-মান্নান জুটির।

রাজনৈতিক মহলের ধারণা, রাজ্য কংগ্রেসের দুই শীর্ষনেতাকে কৌশলে এড়িয়ে গিয়েছেন ত্বহা।কংগ্রেস সূত্রের খবর, মুসলিম ভোটের লক্ষ্যেই ওই অভিযান। কিন্তু ত্বহা স্বয়ং বৈঠকে না বসায় দলের নেতারা উদ্বিগ্ন। তবে কি ত্বহা এবার ঘাসফুলের দিকেই ঝুঁকছেন? যদি তাই হয়ে থাকে তাহলেই বা তার উদ্দেশ্য কি ?

আরও পড়ুন: লকডাউনে ৪২ লিটার বুকের দুধ দান করেছেন এই মহিলা, কিন্তু কেন এমনটা করলেন ?

ফুরফুরায় কান পাতলে যে কেউ শুনতে পাবেন, এই পীরজাদাদের নিজেদের মধ্যে সম্পর্কের চোরা ফাটল দিন দিন বাড়ছে। ত্বহা বরাবর চেয়েছেন ‘কিং-মেকার’ হতে। কিন্তু তা করতে গিয়ে নিজেই পড়েগিয়েছিলেন বেকায়দায়। দিন দিন ভাইপো আব্বাস সিদ্দিকী তাঁর ঘাড়ের কাছে নিশ্বাস ফেলছে। জনপ্রিয়তায় তরুণ আব্বাস চাচাকে টেক্কা দিচ্ছে। অনেকের দাবি ত্বহার বাজার নাকি আর আগের মত নেই। ফলে ঘাসফুল পার্টির বিরুদ্ধে সময় সময় হুঙ্কার দেওয়া এই পীরজাদা এখন ঘাসফুলের সঙ্গে সম্পর্ক মেরামত করে নিচ্ছেন। তবে সবটাই হাওয়া !

যে কথা না বললেই নয়, তা হল, মুসলিমরা কোনো পীর কিংবা পীরজাদার কথা শুনে ভোট দেয় না। মুসলিমদের সেই অর্থে কোনও ধর্মগুরু হয় না। মুশকিল হল এদেশের গরিষ্ঠ রাজনৈতিক দলগুলো তা ভাবে না।

বাংলার যেকোনো সাধারণ মুসলিমকে একান্তে জিজ্ঞাসা করলে বুঝতে পারবেন, তারা কোনও রাজনৈতিকদলকেই আপন মনে করে না। তারা জানে তাদের নিয়ে রাজনীতি করতে সকলেই ব্যস্ত। বিজ্ঞাপিত ধর্মীয় নেতাদেরও তারা খানিকটা রাজনৈতিক নেতাদের চোখেই দেখে। মুশকিল হল এই বাংলায় মুসলিমরা কি চায় তা জানতে চায়নি কোনও দল। এই দলগুলি তাই বিজ্ঞাপিত কোনও না কোনও পীরের দরগায় ধর্ণা দিয়ে পুরো ব্যাপারটা ‘সালটে’ নিতে চেয়েছে। সেই সুযোগে অনেকে কাগুজে বাঘ হয়ে ওঠেন।

আরও পড়ুন: ১০ বছরে ৫০টি শিশুর সঙ্গে যৌন হেনস্থার ভিডিও বিক্রি শেষে গ্রেফতার ইঞ্জিনিয়ার

 

Exit mobile version