রাজ্য সরকার জনগণের করের টাকা পুজো খাতে ক্লাবগুলোতে দান করতে পারে কি না, এই প্রশ্ন তোলা হয়েছিল হাইকোর্টে। এই প্রসঙ্গে সরকারি আইনজীবী আদালতকে জানান, ওই টাকা পুলিশের পক্ষ থেকে ক্লাবগুলোকে দেওয়া হচ্ছে ভিড় নিয়ন্ত্রণ এবং সেফ ড্রাইভ সেভ লাইফ প্রকল্পকে বাস্তবায়িত করতে বিজ্ঞাপনের জন্য। কিন্তু বিচারপতিরা মন্তব্য করেন, ‘মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণায় এর কোনও আভাস ছিল না। তাঁর বক্তব্য থেকে মনে হয়, এ বছর কোভিডের জন্য ক্লাবগুলির তহবিলের হাল খারাপ। তাই তাদের পুজোর জন্য সাহায্য করতে এই টাকা। তাঁর ঘোষণায় বিজ্ঞাপনের কোনও উল্লেখ নেই।’
ডিভিশন বেঞ্চের দুই বিচারপতি এ দিন বলেন, কী ভাবে ক্লাবগুলোকে টাকা দেওয়া হচ্ছে তারও বিস্তারিত হিসাব রাখা প্রয়োজন। মহকুমা শাসকদের এই দায়িত্ব দেওয়া যেতে পারে। ডিভিশন বেঞ্চ লক্ষ্মীপুজোর পর এই মামলা ফের শুনবে এবং চূড়ান্ত রায় দেবে বলে জানিয়েছেন দুই বিচারপতি।
আরও পড়ুন: চাহিদা বাড়ছে দিদিকে বলো কর্মসূচির, আজও দিদিকেই বলতে চায় বাংলার মানুষ