লাগাতার ব্যর্থ কৃষক- কেন্দ্র বৈঠক, তারই মধ্যে শখের ‘মুষ্টিভিক্ষা’ করতে আজ বর্ধমানে নাড্ডা

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest

আট বার এই নিয়ে বৈঠক হয়ে গিয়েছে। অষ্টম দফার বৈঠকেও বেরোয়নি কোনও রফাসূত্র। দু’পক্ষই অবস্থানে অনড়। ঠান্ডায় বৃদ্ধ হাড়ে কাঁপুনি ধরলেও প্রতিবাদে লড়াইয়ে খোলা আকাশের নিচে ঠাঁয় বসে কয়েকশো কৃষক। আর দেশের এই পরিস্থিতির মধ্যেই বাংলার কৃষকদের ঘর থেকে অন্ন সংগ্রহ করছে বিজেপি, মধ্যাহ্নভোজ সারছেন কৃষক পরিবারেই। একুশের আগে বিজেপির মধ্যাহ্নভোজ রাজনীতিতে এবার শরিক হলেন দলের সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডাও।

আর কিছুক্ষণের মধ্যে বাংলায় পা রাখছেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা। কাটোয়া ও বর্ধমানে একাধিক কর্মসূচি রয়েছে তাঁর। ইতিমধ্যেই গোটা বর্ধমান জুড়ে অতি তৎপরতা। রয়েছে আঁটোসাঁটো নজরদারি।হেলিকপ্টারে নামার পর ১১.৪০ মিনিটে রাধাগোবিন্দ মন্দিরে পুজো দেবেন নাড্ডা। এরপর যোগ দেবেন কৃষি সুরক্ষা সভায়। তারপর পৌনে একটা নাগাদ তাঁর ‘ডোর টু ডোর রাইস কালেকসন’ কর্মসূচি। এখানে পাঁচ কৃষক পরিবারের কাছ থেকে অন্ন সংগ্রহ করবেন তিনি। রাজনৈতিক মহলের ব্যাখ্যা, বাংলার কৃষকের মন জয় করতেই রাজ্যের ধানের গোলা বলে পরিচিত বর্ধমানে একগুচ্ছ কর্মসূচি গ্রহণ করেছে বিজেপি।

আরও পড়ুন: পশ্চিমী ঝঞ্ঝার ধাক্কায় মুখ লুকোচ্ছে শীত, বাড়ছে সর্দি, কাশি, জ্বরের সম্ভাবনা

কাটোয়ার জগদানন্দপুরে মথুরা মন্ডল নামে এক কৃষকের বাড়িতে মধ্যাহ্নভোজ সারবেন তিনি। জে পি নাড্ডার জন্য নিজে হাতে রান্না করবেন কৃষকের স্ত্রী। সূত্রের খবর মেনুতে থাকছে, ভাত, লেবু, শাক, বেগুন ভাজা, আলুভাজা, পাঁচমিশালি তরকারি, সবজি দিয়ে ডাল, ফুলকপির তরকারি, চাটনি ও পায়েস।

জে পি নাড্ডা এরপর যাবেন কাটোয়া হেলিপ্যাডে। সড়কে তিনি ওই পথে যাবেন। সেখান থেকে বর্ধমান। কাটোয়া হেলিপ্যাড থেকে হেলিকপ্টারে তিনি যাবেন বর্ধমান। এরপর সেখান থেকে বিজেপি জেলা অফিসে, সড়কপথে যাবেন তিনি। বিজেপি জেলা অফিস থেকে এরপর তিনি যাবেন সর্বমঙ্গলা মন্দিরে। সর্বমঙ্গলা মন্দির থেকে তিনি পৌঁছবেন বর্ধমান ক্লক টাওয়ারে। সেখানে তার রোড শো শুরু হবে বলে ঠিক রয়েছে। তাঁর রোড শো শেষ হবে লর্ড কার্জন গেটের কাছে।

অবশ্য বিজেপির এই কর্মসূচিকে নিয়ে ব্যাপক কটাক্ষ করেছে শাসকদল। দিল্লিতে মাস দেড়েক ধরে হাড় কাঁপানো ঠান্ডার মধ্যে মোদী সরকারের বিতর্কিত তিন কৃষি বিলের বিরুদ্ধে টানা আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন কৃষকরা। তাঁদের দিকে না তাকিয়ে কেবল বাংলায় নজর কেন মোদী-শাহর? ভোটব্যাঙ্কের ঝুলি পুরতেই কি এই ‘রাজনীতি’? প্রশ্ন তুলছেন বিরোধীরা।

আরও পড়ুন: নতুন দলের ঘোষণা সিদ্দিকির, হবে ‘সংখ্যালঘু মহাজোট’,নাম না করে কটাক্ষ ত্বহাকে

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest