প্রায় একই সময়ে একই রকম টুইট। অনেকের টুইটের ভাষা আবার হুবহু এক। ক্রিকেটার সচিন তেন্ডুলকর, লতা মঙ্গেশকরদের এই সব টুইট নিয়ে এ বার তদন্ত করবে মহারাষ্ট্র সরকার। কৃষি আইনের সমর্থনে এবং কৃষক আন্দোলনের বিপক্ষে তারকাদের এই সব টুইটের পিছনে কোনও চাপ ছিল কি না, সেই সব বিষয় খতিয়ে দেখবে মুম্বই পুলিশ।
সোমবার সকালের দিকে মহারাষ্ট্রের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অনিল দেশমুখের সঙ্গে কংগ্রেসের একটি প্রতিনিধি দল। কংগ্রেস নেতাদের দাবি, কেন্দ্রের শাসক দল বিজেপির চাপের কারণে রিহানার টুইটের প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন সচিন তেন্ডুলকর, লতা মঙ্গেশকরের মতো তারকারা। দেশমুখ আশ্বাস দিয়েছেন যে ভারতীয় তারকাদের টুইট নিয়ে তদন্ত করে দেখবে মহারাষ্ট্র পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ।
বৈঠকের পর মহারাষ্ট্র প্রদেশ কংগ্রেস কমিটি সচিন সাওয়ান্ত বলেন, ‘বিজেপি যদি আমাদের জাতীয় নায়কদের ভয় দেখায়, তাঁদের তাহলে নিরাপত্তা প্রদান করা উচিত। আমরা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অনিল দেশমুখের সঙ্গে দেখা করে সেকথা জানিয়েছি। বিষয়টি তদন্ত করে দেখতে গোয়েন্দা বিভাগকে নির্দেশ দিয়েছেন উনি।’
আরও পড়ুন: দেশে ৪ বছরে ৪০০ বার বন্ধ ইন্টারনেট পরিষেবা, ঘণ্টায় ক্ষতির পরিমাণ জানলে চমকে উঠবেন
কংগ্রেস নেতা সচিন সাওয়ান্ত এ দিন বলেন, “অক্ষয় কুমার ও সাইনা নেহওয়াল অবিকল একই টুইট করেছেন আর সুনীল শেট্টি টুইটে একজন বিজেপি নেতাকে ট্যাগ করেছেন।” অক্ষয় ও সাইনা টুইটারে লেখেন, “কৃষকেরা দেশের গুরুত্বপূর্ণ অংশ। সমস্যার সমাধান করতে সবরকমের প্রচেষ্টা চলছে। যারা বিভেদ তৈরি করছে, তাদের কথায় আমল না দিয়ে এক বন্ধুত্বপূর্ণ (অ্যামিকেবল) সমাধানকে সমর্থন জানানো উচিৎ।” আর হিতেশ জৈন নামে এক বিজেপি নেতাকে ট্যাগ করেছেন সুনীল শেট্টি।
ঘটনার সূত্রপাত ৩ ফেব্রুয়ারি। ওই দিন সুইডেনের পরিবেশকর্মী গ্রেটা থুনবার্গ, আমেরিকার পপ গায়িকা রিহানা-সহ কয়েক জন আন্তর্জাতিক স্তরের বিশিষ্ট ব্যক্তিত্ব টুইট করে কৃষক আন্দোলনের পক্ষ নিয়ে টুইট করেন। তার পরেই সচিন তেন্ডুলকর, লতা মঙ্গেশকর-সহ বলিউড ও ক্রীড়া-তারকারা টুইট করেন কেন্দ্রের পক্ষ নিয়ে। সেই টুইট সিরিজেরই এ বার তদন্ত শুরু করল মহারাষ্ট্র সরকার।
আরও পড়ুন: কৃষক আন্দোলন : মনমোহনের দেখানো পথেই সংস্কার, চাপে পড়ে সংসদে বার্তা মোদীর