ইস্তফা নয়, সকালের ‘অভিমান’ ভুলে দুপুরেই প্রত্যাবর্তন সৌমিত্রর, কিছুই জানেন না দিলীপ

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest

সকাল ৯টা ৪ থেকে দুপুর ২টো ২৭। ৫ ঘণ্টা ২৩ মিনিট। আর এই সময়টার মধ্যেই শুক্রবার থেকে চলা দলের অভ্যন্তরীণ টানাপোড়েন এবং সমস্ত ‘অভিমান’ ভুলে নিজের নিজের জায়গায় ফিরে এলেন বিজেপির যুব মোর্চার রাজ্য সভাপতি সৌমিত্র খাঁ।

সৌমিত্রের ‘ঘর ওয়াপসি’ নিয়ে বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের চাঁছাছোলা বক্তব্য, ‘‘ও যে গিয়েছে বা ফিরেছে, তার কিছুই তো আমি জানি না! সবটাই হোয়াট্সঅ্যাপে ঘটেছে। এ বিষয়ে যা ঠিক হবে, সব পুজোর পর।’’ দিলীপ আর কিছু না বললেও রাজ্য বিজেপি-র এক শীর্ষনেতার বক্তব্য, ‘‘ও নাটক করছিল! যাবে কোথায়? কোনও কথা শোনে না! দলের মধ্যে সমান্তরাল সংগঠন তৈরি করছিল।’’

আরও পড়ুন : ‘কেবল বিহার বিনামূল্যে করোনার টিকা পাবে, বাকি রাজ্যগুলো কি পাকিস্তান?’ প্রশ্ন শিব সেনার

শনিবার সকালেই  সংগঠনের পদাধিকারীদের হোটাটসঅ্যাপে গ্রুপে নিজের ইস্তফার সিদ্ধান্ত ঘোষণা করেন তিনি। তারপরেই গ্রুপ ছেড়ে বেড়িয়ে যান। বিষয়টি জানাজানি হতেই শোরগোল পড়ে যায় বিজেপির অন্দর তথা রাজ্য রাজনীতিতে। কিন্তু সেই পর্ব বেশিক্ষণ চলে না। দুপুরেই ফের গ্রুপে যুক্ত হন তিনি।

লেখেন “কোনও কমিটি পরিবর্তন হচ্ছে না, আর তোমাদের কে ছেড়ে থাকা সম্ভব নয়, তাই ফিরে এলাম, টিএমিকে হঠানোর জন্য সবকিছু ত্যাগ করতে রাজি আছি। জয় শ্রীরাম, জয় মা দুর্গা, বিজেপি জিন্দাবাদ, মোদীজি জিন্দাবাদ।”

কেন তিনি ইস্তফা প্রত্যাহার করলেন, তা নিয়ে সরাসরি কোনও ব্যাখ্যা দেননি সৌমিত্র। সংগঠনের নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে এ দিন বিকেলে ভিডিয়ো-বার্তায় তাঁর মন্তব্য, ‘‘মান অভিমান তো হয়েইছিল, এবং অভিমানটাও হয়েছিল। কিন্তু কোনও ব্যক্তির জন্য তো আর দল ছাড়ব না। দল হচ্ছে আমাদের কাছে পরিবার। ভারতীয় জনতা পার্টি যে সম্মান আমাকে দিয়েছে বা নরেন্দ্র মোদীজিকে দেখে যে লক্ষ লক্ষ কোটি কোটি ছেলেরা এগিয়ে আসছে, অমিত শাহজির সাংগঠনিক ক্ষমতা দেখে সব মানুষেরা উন্নয়নে থাকতে চান। তাই একটা কথা বলে রাখি, আমাদের যুব মোর্চার একটাই কাজ হবে, গোটা বাংলার আন্দোলন করা।’’

রাজ্য বিজেপি সূত্রের খবর, সৌমিত্রর হোয়াট্সঅ্যাপ গ্রুপে ইস্তফা ঘোষণার খবর জানাজানি হতে কৈলাস বিজয়বর্গীয় এবং শিবপ্রকাশ দিলীপকে ফোন করেছিলেন। দিলীপ তাঁদের স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন, সৌমিত্র দলের মধ্যে সমান্তরাল সংগঠন তৈরি করার চেষ্টা করছিলেন। যা তিনি মানবেন না। তাই কমিটি ভেঙে দেওয়া হয়েছে। সম্ভবত তার পরেই সৌমিত্র বুঝে যান, ইস্তফা দিয়ে লাভ নেই। এখন প্রত্যাবর্তনই শ্রেয়। পরে আলোচনা সাপেক্ষে যা হওয়ার হবে। কিন্তু তিনি পদে না থাকলে তাঁর ঘনিষ্ঠদেরও কোনও জায়গা থাকবে না।

আরও পড়ুন : সন্ধী পুজোয় নবমীর সূচনা থেকে দশমীর বিসর্জন, জানুন দুর্গাপুজোর শেষ ২ দিনের মাহাত্ম্য

 

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest