অতিমারীর মাঝে উৎসবের রঙে মাতোয়ারা এপার এবং ওপার বাংলা। বাঙালির শ্রেষ্ঠ উৎসব দুর্গাপুজোয় যে উপহার দেওয়া নেওয়া হবে, তা নিয়ে কোনও সন্দেহই নেই। কারণ, একে অপরের সঙ্গে আনন্দ ভাগ করে নেওয়ার তো উপকরণ একটাই। আর তা উপলক্ষ্যেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে উপহার পাঠালেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা (Sheikh Hasina)।
হাসিনার সঙ্গে মমতার সম্পর্ক ব্যক্তিগত স্তরে। দু’জনের উপহার বিনিময়ও নতুন নয়। ইলিশ রফতানিতে বাংলাদেশ সরকার যখন নিষেধাজ্ঞা চাপিয়ে রেখেছিল, তখনও হাসিনার তরফে ইলিশ ভেট এসেছে যেমন দিল্লিতে প্রণব মুখোপাধ্যায়ের কাছে, তেমনই রাজ্যের শীর্ষ পদাধিকারীর জন্যও।
আরও পড়ুন: বর্ধমান-দুর্গাপুর লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি সাংসদ আলুওয়ালিয়া নিখোঁজ, থানায় মিসিং ডায়েরি তৃণমূলের
ঢাকা বা কলকাতা, যেখানে দেখা হয়েছে— মমতাও উপহার তুলে দিয়েছেন হাসিনার হাতে। এ বারে এসেছে চারটি শাড়ি, ১০ কেজি মিষ্টি, হাসিনা তথা শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মস্থান গোপালগঞ্জ থেকে। মুখ্যমন্ত্রীর প্রিন্সিপাল সেক্রেটারি গৌতম সান্যালের কাছে পৌঁছেছে ডেপুটি হাই কমিশনার তৌফিক হাসানের পত্র— প্রধানমন্ত্রীর উপহার মুখ্যমন্ত্রীর কাছে পৌঁছে দেওয়ার জন্য উপযুক্ত ব্যবস্থা করুন।
চলতি বছরের পুজোর উপহার অবশ্য আগে থেকেই পাঠাতে শুরু করেছেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী। ইতিমধ্যে ধাপে ধাপে বাংলায় এসেছে পদ্মার ইলিশ। যা পেয়ে বেজায় খুশি ভোজনরসিক মাছে-ভাতে বাঙালি। তবে এবার খোদ মুখ্যমন্ত্রীকে উপহার পাঠালেন তিনি।
মমতা এবং হাসিনার সম্পর্ক বেশ ভাল। বাংলাদেশে গিয়ে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী হাসিনার বাড়িতে গিয়েছেন। বঙ্গবন্ধু মুজিবর রহমানের বাড়ি ঘুরে দেখেছেন তিনি। এছাড়া ইডেনে ঐতিহাসিক গোলাপি বল টেস্টের (Pink Ball Test) সময়েও হাসিনা এসেছিলেন বাংলায়। ইডেনে একইসঙ্গে দাঁড়িয়ে ঘণ্টা বাজিয়ে খেলার উদ্বোধন করেন তাঁরা। সেই সময়ও দু’জনের মধ্যে যথেষ্ট আন্তরিকতাই নজরে পড়েছিল সকলের।
আরও পড়ুন: নিরাপদ নয় ব্যাঙ্কের লকারও, বর্ধমানে উধাও প্রায় ৭০ ভরি গয়না, নীরব কর্তৃপক্ষ