বাংলার মসনদ দখলের লড়াইয়ে করতে ভোট দামামা বাজতেই শিবসেনা আগে জানান দিয়েছিল যে তারা ২৯৪ আসনের মধ্যে ১০০ টিতে লড়বে। তাঁরা এমনও জানিয়েছিল যে বাংলার একাধিক ছোট ছোট স্থানীয় দলের সঙ্গে সংযুক্ত হয়ে তারা লড়বে। তবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যখন আর ২৪ ঘণ্টা পর প্রার্থীতালিকা ঘোষণা করতে চলেছেন, তখনই এল শিবসেনার থেকে বড় বার্তা।বরং কঠিন সময়ে আরজেডি বা সমাজবাদী পার্টির মতোই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পাশে এসে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত নিচ্ছে মহারাষ্ট্রের প্রধান রাজনৈতিক দল।
টুইটারে সঞ্জয় রাউত লিখেছেন, ‘শিবসেনা পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভা নির্বাচনে লড়বে কি না একথা জানতে অনেকেউ উন্মুখ। দলের প্রধান উদ্ধভ ঠাকরের সঙ্গে কথা বলে আমরা যা ঠিক করেছি তা হল, পশ্চিমবঙ্গে এখন লড়াই দিদি বনাম বাকি সমস্ত রাজনৈতিক দল। তাঁর বিরুদ্ধে টাকা, পেশিশক্তি ও সংবাদমাধ্যম, কোনও কিছুকেই ব্যবহার করতে বাকি রাখা হচ্ছে না। তাই পশ্চিমবঙ্গে শিবসেনা ভোটে না লড়ার ও মমতা দিদির পাশে থাকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আমরা মমতা দিদির বিপুল সাফল্য কামনা করি। কারণ আমাদের বিশ্বাস, তিনিই বাংলার বাঘিনী।’
আরও পড়ুন: মমতা দিদির পাশে থাকুন, নবান্নে দাঁড়িয়ে বাংলায় বসবাসকারী বিহারীদের আহ্বান লালু পুত্র তেজস্বীর
— Sanjay Raut (@rautsanjay61) March 4, 2021
রাজনৈতিক মহলের পর্যবেক্ষণ, মহারাষ্ট্রের জোট সরকারের সঙ্গে বিজেপির সম্পর্ক যতটা তেতো বিজেপির ততটাই ভালো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। এনসিপি নেতা শরদ পাওয়ারের সঙ্গে রীতিমতো ফোনে কথাবার্তাও হয় মমতার। শিবসেনা অতীতে যখন প্রার্থী দেওযার কথা বলেছিল, তখন স্বাভাবিক ভাবে প্রশ্ন ওঠে, তাহলে কি কাঁটা দিয়ে কাঁটা তোলা? তাহলে কি বিজেপি রুখতেই শিবসেনা তাস? মুসলিম ভোট ব্যাঙ্ককে সুরক্ষিত রেখে হিন্দু ভোটব্যাঙ্কের জমাট বাধাটাই আটকাতে চাইছে তৃণমূল। তৃণমূলের সঙ্গে অল্প হলেও আসন সমঝোতা হতে পারে সেনার এমন কথাও ছিল। কিন্তু সেসব সম্ভাবনাতে জল ঢেলে দিল উদ্ধব-সঞ্জয় রাউতের দল।
বরং রাজনৈতিক ব্য়খ্যাটা এইরকম, মমতাকে সামনে রেখেই জোট বাঁধছে বিরোধীরা। সর্বতোভাবে পাশে থাকার বার্তা দিয়েছেন অখিলেশ যাদব, লালুপুত্র তেজস্বী যাদবরা। এবার একই বার্তা এল মহারাষ্ট্র থেকে। সেক্ষেত্রে ২০২১ বঙ্গ নির্বাচনে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জয়ী হলে, জাতীয় রাজনীতিতেও নতুন সমীকরণ তৈরি হওয়ার যথেষ্ট সম্ভাবনা থাকছে।
আরও পড়ুন: রাজনীতি থেকে আচমকা সন্ন্যাস জয়ললিতা ঘনিষ্ট শশীকলার, সরগরম তামিলনাড়ুর ভোট বাজার