দিনে দুপুরে গুলি চলল বর্ধমানে। শুক্রবার শহরের বিসি রোডের কংগ্রেস পার্টি অফিসের সামনে প্রকাশ্যে এক যুবককে খুব কাছ থেকে গুলি করা হয়। গুলিবিদ্ধ হীরামন মণ্ডল পেশায় টোটোচালক। তাঁকে উদ্ধার করে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, হীরামনের বাড়ি বর্ধমানের জামালপুরের জৌগ্রামে। তবে, কাজের জন্যে তিনি এখন বর্ধমান শহরেই থাকেন। আহত অবস্থাতেই হীরামন জানিয়েছেন, শুক্রবার দুপুরে তিনি বিসি রোডের একটি গোল্ড লোন সংস্থার অফিসে গিয়েছিলেন। সেই সময়ই সেখানে রিভলবার নিয়ে হাজির হয় দুই যুবক। সেই রিভলবার চোখে পড়ে যায় হীরামনের। অভিযোগ, ওই দুই যুবক তাঁকে মারতে-মারতে বাইরে এনে গুলি চালায়। ওই টোটোচালকের পিঠে গুলি লেগেছে বলে জানা গিয়েছে। প্রকাশ্যে গুলি চালিয়েই চম্পট দেয় দুষ্কৃতীরা। স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, ওই দুই যুবক গুলি চালিয়েই বাইকে করে বেপাত্তা হয়ে যায়।
আরও পড়ুন: ‘আমরা গোমূত্র খেয়ে ভাল থাকি, গাধারা এসব বুঝবে না!’, নিজের ঢঙে দিলীপ ঘোষ
পুলিশ জানিয়েছে, আক্রান্ত ওই টোটোচালক আগে একটি গোল্ড লোন সংস্থার অফিসে নিরাপত্তারক্ষীর কাজ করতেন। বর্তমানে টোটো চালিয়েই সংসার চালান তিনি। শুক্রবারের ঘটনা যেখানে ঘটে, তার খুব বেশি দূরে নয় বর্ধমান থানা। ঘটনার ঘটতেই পুলিশ হাজির হন সেখানে। আসেন জেলার পুলিশ সুপার ভাস্কর মুখোপাধ্যায়ও। তাঁর কথায়, ‘হঠাৎ করে এমন ঘটনা কেন ঘটল, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। প্রতিটি রাস্তায় তল্লাশি চলছে। প্রতিটি থানায় খবর দেওয়া হয়েছে। দুষ্কৃতীদের ছাড়া হবে না।’
আক্রান্ত ওই টোটোচালকের অবশ্য দাবি, ‘দুষ্কৃতীরা গোল্ড লোন সংস্থার অফিসে ডাকাতি করতেই গিয়েছিল। আমি রিভলবার দেখে ফেলতেই তাঁরা ভয় পেয়ে যায়। তাই আমাকেই গুলি করে ফেলে।’ স্থানীয় বাসিন্দারা আরও জানিয়েছে, গুলির শব্দ শুনে তাঁরা ওই দুই যুবককে ধরতে গেলেই শূন্য গুলি চালায় তাঁরা, তারপরই বাইকে চেপে উধাও। গোটা এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। এলাকায় টহল দিচ্ছে পুলিশ বাহিনী।
আরও পড়ুন: ফোনেই মিলবে চিকিৎসা পরিষেবা! রাজ্যের সব জেলায় শুরু টেলি মেডিসিন, জেনে নিন কিছু গুরুত্বপূর্ণ নম্বর