এ বার তৃণমূলের জেলা সভাপতি পদ থেকে অপসারিত শিশির অধিকারী

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest

আরও কোনঠাসা করা হল অধিকারীদের। এবার সাংগঠনিক পদ থেকে সরানো হল শিশির অধিকারীকে (Sisir Adhikari)। পূর্ব মেদিনীপুরের তৃণমূলের জেলা সভাপতি পদ থেকে তাঁকে অপসারণ করে দায়িত্ব দেওয়া হল সৌমেন মহাপাত্রকে। এই অপসারণ অধিকারী পরিবারের সঙ্গে রাজ্যের দূরত্ব আরও স্পষ্ট করল বলেই দাবি রাজনৈতিক মহলের।

প্রথমে শিশিরের মেজ ছেলে শুভেন্দু এবং পরে ছোট ছেলে সৌম্যেন্দু বিজেপি-তে যোগ দেওয়ায় মনে করা হচ্ছিল, কিছুদিনের মধ্যেই শিশিরকে সভাপতির পদ থেকে সরিয়ে দেবেন তৃণমূল শীর্ষনেতৃত্ব। মঙ্গলবারই কাঁথির সাংসদকে দিঘা শঙ্করপুর উন্নয়ন পর্ষদের চেয়ারম্যান পদ থেকে সরানো হয়েছিল। তখনই স্পষ্ট হয়ে গিয়েছিল, এবার তাঁকে জেলা সভাপতি পদ থেকে সরানো শুধু সময়ের অপেক্ষা। সেই আশঙ্কা সত্যি করে জেলা সভাপতির পদ থেকে সরিয়ে ডানা ছাঁটা হল এই অশীতিপর রাজনীতিকের। শিশিরকে নতুন কমিটিতে চেয়ারম্যান পদ দেওয়া হয়েছে। যদিও তৃণমূলের সাংগঠনিক রীতি অনুযায়ী সভাপতিই জেলা কমিটি পরিচালনা করেন। চেয়ারম্যান নামেই।

আরও পড়ুন: ফের সভায় প্রবল বিশৃঙ্খলা, নিয়ম করে ‘ভাইপো’র ঘাড়ে দায় চাপালেন শুভেন্দু!

প্রসঙ্গত, পূর্ব মেদিনীপুর জেলার রাজনীতিতে অধিকারীদের ‘বিরোধী’ বলেই পরিচিত নতুন সভাপতি সৌমেন। ইতিহাস বলছে, ২০১৬ সালের বিধানসভা ভোটে তমলুক আসন থেকে সরিয়ে সৌমেনকে পশ্চিম মেদিনীপুরের পিংলায় পাঠানো হয়েছিল অধিকারীদের ‘আপত্তি’-র কারণেই।

এ বার সেই পিংলার বিধায়ককেই পূর্ব মেদিনীপুর জেলার রাজনীতিতে ফিরিয়ে আনলেন তৃণমূল শীর্ষনেতৃত্ব। যা থেকে স্পষ্ট যে, নতুন কমিটিতে ‘অধিকারী বিরোধী’-দেরই গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। জেলা সংগঠনের কো-অর্ডিনেটর করা হয়েছে অধিকারী বিরোধী বলে পরিচিত মামুদ হোসেন, শেখ সুফিয়ান, গৌরমোহন দাস ঠাকুরদের। রাখা হয়েছে অধিকারীদের বিরোধী রামনগরের বিধায়ক অখিল গিরিকেও। তাঁকে নতুন কমিটিতে কো-অর্ডিনেটর করা হয়েছে। ঘটনাচক্রে, অখিলকে মঙ্গলবার দিঘা শঙ্করপুর উন্নয়ন পর্ষদের চেয়ারম্যান করা হয়েছে শিশিরকে সরিয়েই।

এবার কি শিশির অধিকারীও যোগ দেবেন বিজেপি শিবিরে? অপসারণের বিষয়টি প্রকাশ্যে আসার পর বঙ্গ–বিজেপির নেতাদের এই প্রশ্ন করা হলে তাঁরা বলেন, ‘‌শুভেন্দু এসেছেন এটাই আমাদের কাছে অনেক বড় পাওয়া। ওঁকেও আমন্ত্রণ জানাব। আসবেন কি না সেটা ওঁর সিদ্ধান্ত।’‌

আরও পড়ুন: নিয়মিত তোপ দাগছেন দিলীপ, আর ‘স্বাস্থ্যসাথী’-র কার্ড নিল তাঁর পরিবারই!

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest