Site icon The News Nest

আগামিকালই কী বিজেপিতে যোগ দিতে পারেন শুভেন্দুর ছোট ভাই সৌমেন্দু ?

soumendu

পুর প্রশাসকের পদ থেকে অপসারণের পর কি বছরের প্রথম দিনই বিজেপিতে যোগ দিতে চলেছেন সৌমেন্দু অধিকারী? বৃহস্পতিবার এমনই জল্পনা জেলাজুড়ে। তবে সৌমেন্দু বা বিজেপির তরফে এমন কোনও খবরের সত্যতা এখনো স্বীকার করা হয়নি। ওদিকে বুধবার তাঁর অপসারণকে চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন সৌমেন্দু।

সূত্রের খবর, ১ জানুয়ারি কাঁথিতে শুভেন্দু অধিকারীর সভায় বিজেপিতে যোগ দিতে পারেন সৌমেন্দু। গত মঙ্গলবার সন্ধ্যায় তাঁকে কাঁথি পুরসভার প্রশাসক পদ থেকে সরিয়ে দেয় রাজ্য সরকার। এর পর ক্ষোভ জানিয়ে সুবিচারের জন্য মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চিঠি লেখেন সৌমেন্দুর দাদা তথা তমলুকের তৃণমূল সাংসদ দিব্যেন্দু অধিকারী।

আরও পড়ুন: ‘‌কুপুত্র’‌ শুভেন্দুর বিরুদ্ধে লড়াইয়ে নামছেন ‘‌নন্দীগ্রামের মা’‌ ফিরোজা বিবি

সৌমেন্দুর অপসারণের খবর জানতেই তিনি আর পুরভবনে যাবেন না বলে জানিয়ে দিয়েছিলেন দিব্যেন্দু অধিকারী। পুরভবনে একটি অফিস রয়েছে তাঁর। রাজ্য সরকারের সিদ্ধান্তে ৫০ বছর পর কাঁথি পুরসভার শীর্ষপদে বসলেন অধিকারী পরিবারের বাইরের কেউ। সেখানে বসানো হয়েছে শুভেন্দু বিরোধী গোষ্ঠীর নেতা সিদ্ধার্থ মাইতিকে।

শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) দল ছাড়লেও, তাঁর পরিবারের কেউ সেই পথে হাঁটেননি বলে কটাক্ষ করেছিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee)। পাল্টা জবাবে শুভেন্দু বলেন, ‘এখনও তো বাসন্তী পুজোটা আসেনি, রামনবমী আসেনি। রামনবমীটা আসতে দিন। আমার বাড়ির লোকেরাও পদ্ম ফোটাবে। শুধু আমার বাড়ির লোক কেন? হরিশ চ্যাটার্জি স্ট্রিটে ঢুকেও পদ্ম ফুটিয়ে আসব।’ এরপরই অপসারিত হন সৌমেন্দু।

বাড়়ির ছোট ছেলে পুর প্রশাসকের পদ খোয়ানোয় ক্ষুদ্ধ অধিকারী পরিবার। শুভেন্দুর বাবা শিশির অধিকারী (Sisir Adhikari) তৃণমূলের পূ্র্ব মেদিনীপুর জেলা সভাপতি তথা সাংসদ। আর ভাই দিব্যেন্দুও সাংসদ। এর আগে পরিবারের চার সদস্যই বসতেন কাঁথি পুর ভবনে। শুভেন্দুর একটি অফিসও ছিল সেখানে। কিন্তু বৃহস্পতিবার থেকে আর কেউই পুর ভবনে বসছেন না।তাহলে এবার অধিকারী পরিবারেও পদ্ম ফুটবে? বছরের প্রথম দিনেই দলবদল করবেন সৌমেন্দু?

তৃণমূলপন্থীদের দাবি, এই বিশ্বাসঘাতকতার জন্য মেদিনীপুরের মানুষ ওদের ক্ষমা করবে না। যদি দল কাউকে কোনো পদ থেকে সরিয়ে দেয়, তাহলে তিনি বিজেপিতে যোগ দেবেন ? কেবল পদের লোভেই কী ওরা রাজনীতিতে যোগ দিয়েছিলেন। গোটা পরিবারকে উপযুক্ত পদ দিয়েছিলেন নেত্রী মমতা। কিন্তু ওরা ভিতরে ভিতরে অন্য চোখ কষেছিলেন। শুভেন্দু নিজেই প্রকাশ্য জনসভায় বলেছেন, টো১৪থেকে তিনি অমিত শাহের সঙ্গে সম্পর্ক রেখে চলছেন। এটাকে আর যায় হোক দলের প্রতি নৈতিকতা বলা যায় না।

আরও পড়ুন: মধ্যপ্রদেশে ৬ কোটি টাকার ফসল নিয়ে বেপাত্তা বেসরকারি সংস্থা, কৃষি আইন নিয়ে অস্বস্তি বিজেপির

Exit mobile version