Site icon The News Nest

ওয়াসিম জাফরকে সাম্প্রদায়িক বানানোর ঘৃণ্য ছক উত্তরাখন্ড ক্রিকেট বোর্ডের! পাশে দাঁড়ালেন কুম্বলে,মনোজ

washim

ট্রেনিংয়ে ধর্মীয় আচার পালন এবং সাম্প্রদায়িক মনোভাব রাখার বিস্ফোরক অভিযোগ উঠেছে ওয়াসিম জাফরের (Wasim Jaffer) বিরুদ্ধে। যা নিয়ে হইচই পড়ে গিয়েছে। সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করা প্রাক্তন জাতীয় ক্রিকেটারের পাশে দাঁড়িয়েছেন অনিল কুম্বলে (Anil Kumble), ইরফান পাঠান (Irfan Pathan) সহ তাঁর এক সময়ের অনেক সতীর্থই।

জাফর নাকি নিজের ধর্মকে প্রাধান্য দিয়েছেন যে দাবি ঘিরে বিরাট বিতর্কের সূত্রপাত হয়েছে। এই ইস্যুতে ভারতের প্রাক্তন ওপেনার জাফরের পাশে অনিল কুম্বলের ‘নেতৃত্বে’ এসে দাঁড়িয়েছেন বিদর্ভ দলের সতীর্থ, মনোজ তিওয়ারি,ইরফান পাঠানরা। জাফরের বিরুদ্ধে ওঠা এই ঘৃন্য অভিযোগ মানতে নারাজ সকলে। ভারতের প্রাক্তন অধিনায়ক কুম্বলে টুইট করে লিখেছেন ‘পাশে আছি জাফর। যা সিদ্ধান্ত নিয়েছ ঠিক করেছ। ক্রিকেটাররা তোমার অভাব অনুভব করবে।’

আরও পড়ুন: কীভাবে স্বাস্থ্যসাথী কার্ডে চিকিৎসা পাবেন ভেলোরে? জেনে নিন সবটা

মঙ্গলবারই উত্তরাখণ্ড দলের কোচের পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছিলেন ওয়াসিম জাফর। কারণ হিসেবে জানিয়েছিলেন ‘ব্যাক্তিগত’। কিন্তু তার পরেই উত্তরাখণ্ড ক্রিকেট সংস্থার সচিব মহিম ভার্মা জাফরের বিরুদ্ধে ধর্মীয় গোঁড়ামির অভিযোগ তোলেন প্রকাশ্যে। শুধু তাই নয়, মহিম ভার্মার আরও অভিযোগ ছিল অনুশীলনের সময় জাফরের নমাজ পড়া দলের ক্ষতি করেছে। ২৪ ঘণ্টার মধ্যে এই অভিযোগগুলোর সোজা ব্যাটে জবাব দিলেন ভারতীয় দলের প্রাক্তন ওপেনার।

আনন্দবাজার ডিজিটালকে দেওয়া প্রতিক্রিয়ায় জাফর বলেন,“ হ্যাঁ আমি নামাজ পড়ি। তবে নামাজ পড়তে ঘণ্টার পর ঘণ্টা সময় তো লাগে না। ক্রিকেটের ক্ষতি হয় না। এটা কয়েক মিনিটের ব্যাপার। আমি কিন্তু ক্রিকেটের ক্ষতি করিনি। কারণ ওয়াসিম জাফরকে একজন মুসলমান নয়, সবাই ভারতের একজন প্রাক্তন ক্রিকেটার হিসেবেই সম্মান করে। শুধু উত্তরাখণ্ড ক্রিকেট সংস্থার গুটিকয়েক নির্বোধ কর্তা ছাড়া।”

এর পরেই যোগ করলেন, “সেই দলে যে কয়েকজন মুসলমান ছেলে ছিল। তাদের নিয়ে তো ড্রেসিংরুমেই নমাজ পড়ে নিতাম। শুধু শুক্রবার দলের অনুমতি নিয়ে মাঠের ধারে নমাজ পড়তাম। এতে ভুল কোথায়! আমি সাম্প্রদায়িক হলে তো সামাদ ফালহাকে লাগাতার খেলিয়ে যেতাম। প্রতিদিন দুপুর ১২টার আগে অনুশীলন বন্ধ করে দিতাম! সেগুলো কিন্তু করিনি। কারণ ক্রিকেট আমার কাছে সবকিছু।”

মুম্বইকে একাধিকবার রঞ্জি জিতিয়েছেন। দেশের হয়ে ৩১টা টেস্ট খেলেছেন। রয়েছে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে দ্বিশতরান। কেরিয়ারের শেষ দিকে লাগাতার দুবার বিদর্ভ দলকেও করেছেন দেশের সেরা। ক্রিকেটকে এত কিছু দেওয়ার পরেও এমন অসম্মান হজম করতে পারছেন না। তাই বেশ আক্ষেপের সঙ্গে বললেন, “আমার বিরুদ্ধে এত বড় অভিযোগ করা হল। আমিও কিন্তু দেশের জন্য খেলেছি। সচিন, দাদা (সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়), রাহুল, লক্ষ্মণের বিরুদ্ধে এমন গুরুতর অভিযোগ কি করতে পারত! এর চেয়ে অসম্মান ও দুঃখের কিছু হতে পারে না।”

আরও পড়ুন:  রুদ্রজিৎ-প্রমিতার বিয়েতে যেতে চান? তাহলে সেলফি তুলুন আর পাঠিয়ে দিন এই নম্বরে…

Exit mobile version