রাজ্য পুলিশের পর, ‘পাগড়ি’ বিতর্ক নিয়ে নিজেদের অবস্থান জানাল পশ্চিমবঙ্গ স্বরাষ্ট্র দফতর। রবিবার দুপুরে স্বরাষ্ট্র দফতরের পক্ষ থেকে তিনটি টুইট করা হয়েছে ওই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে।
টুইটে অভিযোগ করা হয়েছে, ‘‘একটি রাজনৈতিক দল গোটা ঘটনায় সাম্প্রদায়িক রং চড়ানোর চেষ্টা করছে, তাঁদের সঙ্কীর্ণ রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে।” সেই সঙ্গে স্বরাষ্ট্র দফতর তাদের অবস্থান স্পষ্ট করে জানিয়েছে, পুলিশ আইন মেনে কাজ করেছে।
এদিন ৩ দফা টুইটে স্বরাষ্ট্র দফতর নাম না করে নিশানা করেছে বিজেপি। উদ্দেেশ্যপ্রণোদিতভাবে একটি রাজনৈতিক দল অযথা এই ঘটনায় সাম্প্রদায়িকতার রং লাগাচ্ছে বলে অভিযোগ করা হয়েছে স্বরাষ্ট্র দফতরের তরফে।
স্বরাষ্ট্র দফতরের স্পষ্ট বক্তব্য, “এরাজ্যে শিখ ভাইবোনেরা শান্তি, সম্প্রীতি ও খুশিতে থাকেন। তাঁদের বিশ্বাস ও আচারের প্রতি সবার শ্রদ্ধা রয়েছে। সাম্প্রতিককালে মিছিলে আগ্নেয়াস্ত্র সহ একজনের গ্রেফতারির প্রসঙ্গ একটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা। একটি রাজনৈতিক দল তাদের স্বার্থসিদ্ধির জন্য তাতে ইচ্ছে করে সাম্প্রদায়িকতার রং লাগানোর চেষ্টা করছে। তথ্যের বিকৃতি ঘটাচ্ছে। পুলিস আইন মেনেই তার কাজ করেছে।”
Our Sikh brothers and sisters live here in West Bengal in perfect peace and harmony, in happiness and tranquility, with respect from all of us for their faith and practices. A recent incident when one isolated individual got caught with..(1/3)
— HOME DEPARTMENT – GOVT. OF WEST BENGAL (@HomeBengal) October 11, 2020
Our Sikh brothers and sisters live here in West Bengal in perfect peace and harmony, in happiness and tranquility, with respect from all of us for their faith and practices. A recent incident when one isolated individual got caught with..(1/3)
— HOME DEPARTMENT – GOVT. OF WEST BENGAL (@HomeBengal) October 11, 2020
….one illegally carried firearm amidst agitationists in an agitation that was not authorized is now being twisted out of context,being distorted,and being given communal colors in fractious and partisan interest.(2/3)
— HOME DEPARTMENT – GOVT. OF WEST BENGAL (@HomeBengal) October 11, 2020
বৃহস্পতিবার বিজেপির যুব মোর্চার ডাকা নবান্ন অভিযানে হাওড়া ময়দান এলাকায় বলবিন্দর সিংহ নামে এক শিখ যুবককে আটক করে পুলিশ। জমায়েতে তিনি আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে ঘুরছিলেন। পুলিশের দাবি, তাঁকে আটক করতে গেলে তিনি বাধা দেন এবং সেই সময় তাঁর পাগড়ি খুলে যায়। বলবিন্দরের পাগড়ি খোলা অবস্থার ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে যায়।
ভারতীয় ক্রিকেটার হরভজন সিংহ থেকে শুরু করে পঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী অমরিন্দর সিংহ, শিরোমণি অকালি দলের নেতা সুখবিন্দর সিংহ বাদল সহ অনেকেই অভিযোগ করেন শিখদের ধর্মীয় ভাবাবেগে আঘাত লেগেছে ওই ঘটনায়। এর পর থেকেই বলবিন্দরের পাগড়ি নিয়ে শুরু হয়ে যায় বিতর্ক। শুক্রবার রাতেই রাজ্য পুলিশ একটি ভিডিয়ো পোস্ট করে টুইট করে জানায় যে পুলিশ কোনও ভাবে তাঁর ধর্মীয় ভাবাবেগে আঘাত করেনি। পুলিশ ওই ব্যক্তির পাগড়ি খুলেও দেয় নি। যা হয়েছে তা ধস্তাধস্তিতে।
বিজেপির নবান্ন অভিযানে ধৃত বলবিন্দর সিং সহ আরও ২ জনের ফের ৮ দিনের পুলিসি হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন হাওড়ার ভারপ্রাপ্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট। গত বৃহস্পতিবার নবান্ন অভিযানের দিন আগ্নেয়াস্ত্র সহ গ্রেফতার করা হয় বলবিন্দর সিংকে। তাঁর পিস্তল লাইসেন্সপ্রাপ্ত বলে দাবি করা হলেও, তিনি উপযুক্ত কাগজপত্র পেশ করতে পারেননি বলে দাবি পুলিসের।
সোস্যাল মিডিয়ায় যিনি এই ছবি শেয়ার করেছেন তিনি গেরুয়া দলের প্রতিনিধি। সুতরাং তাঁর উদেশ্য কি তা সহজেই বোঝা উচিত। নিজেরা রাজনৈতিক ভাবে সুবিধা করতে না পেরে এখন নতুন করে বিদ্বেষ রাজনীতিতে নেমেছে গেরুয়া পার্টি। এমনটাই বলছেন তৃণমূলের অনেকে।
আরও পড়ুন : ‘ঢাক বাজা, কোমর নাচা’…আগমনীর কাউন্ট ডাউনের পুজোর গান নিয়ে হাজির টিম ‘সুইজারল্যান্ড’