Site icon The News Nest

কেশরীনাথের জায়গায় পশ্চিমবঙ্গের নতুন রাজ্যপাল হচ্ছেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী জগদীপ ধনকর

jagdish

#নয়াদিল্লি: পশ্চিমবঙ্গের নতুন রাজ্যপাল হচ্ছেন জগদীপ ধনকর। তিনি সুপ্রিম কোর্টের প্রবীণ আইনজীবী। শনিবার দেশের ছয় রাজ্যে নতুন রাজ্যপাল নিয়োগের নির্দেশ জারি করেন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ। সেখানেই জানা যায়, সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী জগদীপ ধনকর বাংলার রাজ্যপাল হিসাবে আসছেন।

৬৮ বছর বয়সী জগদীপ বর্তমানে সুপ্রিম কোর্টে প্র্যাকটিস করেন। ১৯৮৯-৯১ রাজস্থানের ঝুনঝুনু থেকে জনতা দলের হয়ে লোকসভায় প্রতিনিধিত্বও করেছেন। তিনি ২০০৩-এ বিজেপিতে যোগ দেন। কেশরীনাথ ত্রিপাঠীর জায়গায় তাঁকেই আনা হয়েছে বাংলায়।

প্রসঙ্গত, ২০১৪ সালের ২৪ জুলাই পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপাল হিসাবে নিযুক্ত হয়েছিলেন কেশরীনাথ ত্রিপাঠী।আগামী বুধবার তাঁর রাজ্যপালপদে পাঁচ বছরের মেয়াদ পূরণ হতে চলেছে।  এক সময় উত্তরপ্রদেশে বিজেপির সভাপতিও ছিলেন তিনি। ক্ষমতায় থাকাকালীন গত কয়েক বছরে একাধিক বিষয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের তৃণমূল সরকারের বিরোধিতা করেছেন। এ নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘাতের আবহও তৈরি হয়েছে। এ বার তাঁর জায়গাতেই এলেন জগদীপ ধনকর। নয়া রাজ্যপালকে ইতিমধ্যেই স্বাগত জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যাপাধ্যায়। এ দিন টুইটারে তিনি লেখেন, ‘‘বাংলায় নতুন রাজ্যপালের নিয়োগ নিয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে কথা হল। নয়া রাজ্যপালকে ইতিমধ্যেই স্বাগত জানিয়েছি বলে ওঁকে জানিয়েছি।’’

পশ্চিমবঙ্গ-সহ এ দিন ত্রিপুরা, উত্তরপ্রদেশ, মধ্যপ্রদেশ, বিহার এবং নাগাল্যান্ডেও নতুন রাজ্যপাল নিয়োগ করা হয়েছে।  মধ্যপ্রদেশ থেকে উত্তরপ্রদেশের রাজ্যপাল হিসাবে নিয়ে আসা হয়েছে আনন্দীবেন পটেলকে। তিনি একটা সময়ে গুজরাতের মুখ্যমন্ত্রীও ছিলেন। উত্তরপ্রদেশের রাজ্যপাল থেকে সরানো হয়েছে রাম নায়েককে। ১৯৫০ সালে রাজ্যপাল পদটি চালু হয়েছিল। বিভাজনের পর আনন্দীবেনের হাত ধরে এই প্রথম মহিলা রাজ্যপাল পেল উত্তরপ্রদেশ। তবে উত্তরাখণ্ড আলাদা হওয়ার আগে, ১৯৪৭ সালের ১৫ অগস্ট থেকে ১৯৪৯-এর ২ মার্চ পর্যন্ত অবিভক্ত উত্তরপ্রদেশের রাজ্যপাল ছিলেন সরোজিনী নাইডু।

ত্রিপুরার রাজ্যপাল হয়েছেন রমেশ বৈস। বিহার থেকে সরিয়ে মধ্যপ্রদেশের রাজ্যপাল করা হয়েছে লালজি ট্যান্ডনকে। তাঁর জায়গায় বিহারের রাজ্যপাল হয়েছেন ফাগু চৌহান। নাগাল্যান্ডের রাজ্যপাল হয়েছেন আরএন রবি।

 

Exit mobile version