শুক্রবার সকালে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে তাঁর পদত্যাগ পত্র পাঠিয়ে দিয়েছিলেন সেচ, পরিবহণ ও জল সম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী। সেই সঙ্গে সেই পদত্যাগ পত্র অ্যাটাচ করে ই-মেল পাঠিয়েছিলেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়কেও।
সন্ধ্যায় শুভেন্দুর ইস্তফা মঞ্জুর করে রাজ্যপালের কাছে সুপারিশ পাঠিয়ে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সংবিধান অনুযায়ী মুখ্যমন্ত্রীর সুপারিশ ক্রমে রাজ্যপাল ইস্তফা গ্রহণ করেন। সেটাই হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রীর সুপারিশ পাওয়ার পর রাজ্যপাল সেই ইস্তফা গ্রহণ করে নিয়েছেন।
আরও পড়ুন: ডিসেম্বর থেকেই ‘স্বাস্থ্যসাথী’র আওতায় রাজ্যের সব পরিবার, ভোটের আগে বড় ঘোষণা মমতার
তৃণমূল সূত্রের খবর, শুভেন্দুর হাতে যে ৩টি দফতর ছিল (পরিবহণ, সেচ এবং জলসম্পদ উন্নয়ন) সেগুলি আপাতত মুখ্যমন্ত্রী নিজের হাতেই রাখবেন।শনিবার শুভেন্দু দিল্লি যাচ্ছেন বলে শুরুতে শোনা গিয়েছিল। তবে তাঁর ঘনিষ্ঠরা জানিয়েছেন, এখনই দিল্লি যাওয়ার কোনও সম্ভাবনা নেই শুভেন্দুর। তাই তাঁর বিজেপিতে যোগ দেওয়ার সম্ভাবনা আরও জোরাল হচ্ছে। তবে এখনও তৃণমূল ছাড়েননি তিনি।
এ নিয়ে তৃণমূলের তরফে সৌগত রায় বলেন, ‘‘এখনও বিধায়ক পদ থেকে পদত্যাগ করেননি উনি। দলের প্রাথমিক সদস্যপদ থেকেও পদত্যাগ করেননি। যত ক্ষণ বিধায়ক আছেন, তত ক্ষণ দলের সদস্য উনি। মন্ত্রিত্ব ছাড়া একান্তই ব্যক্তিগত সিদ্ধান্ত ওঁর। আমি এতে দুঃখিত। ওঁর সঙ্গে কথা বলে মনে হয়েছে, দল ছাড়বেন না। আমি এখনও আশাবাদী। যত ক্ষণ দলে আছেন, আমি আশা করব এবং চেষ্টা চালিয়ে যাব ওঁকে দলে রাখার।’’
এর আগে, বৃহস্পতিবার হুগলি রিভার ব্রিজ কমিশন (এইচআরবিসি) চেয়ারম্যানের পদ থেকে ইস্তফা দেন শুভেন্দু। তার পর রাতারাতি সেই জায়গায় নতুন চেয়ারম্যান নিযুক্ত করা হয় কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়কে, যাঁর সঙ্গে শুভেন্দুর মতভেদের কথা কারও কাছেই চাপা ছিল না। তাতেই শুভেন্দু পদত্যাগের সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেন বলে জানা গিয়েছে।
আরও পড়ুন: মোদীর উচিত মমতার কাছে সরকার চালানো শেখা,স্বাস্থ্যসাথীর প্রশংসায় বললেন অভিষেক