#কলকাতা: লোকসভা নির্বাচনে সেভাবে ভাল ফল করতে পারেনি ঘাসফুল শিবির৷ বাংলার ১৮টি আসন দখল করে নিয়েছে বিজেপি৷ ভরাডুবির পর থেকে দফায় দফায় বৈঠকে বসেছে তৃণমূল৷ নির্বাচনী কৌশলী প্রশান্ত কিশোরের কথামতো আপাতত এগিয়ে চলেছেন দলীয় নেতাকর্মীরা৷ সোমবার থেকে নেওয়া হয়েছে ‘দিদিকে বলো’ কর্মসূচি৷ ওই কর্মসূচির মাধ্যমে ফোন নম্বর এবং ওয়েবসাইটের মাধ্যমে সরাসরি দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব৷
বুধবার সকাল ১১টায় বেহালা ম্যানটনের পার্টি অফিসে সাংবাদিক বৈঠক করেন তৃণমূলের মহাসচিব তথা রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। এই প্রকল্পে মানুষ কিভাবে উপকৃত হবেন সে বিষয়ে জানালেন পার্থবাবু। তিনি বলেন,‘আমরা বারবারই গিয়ে মানুষদের নম্বরটা দেব। যাতে সবাই কথা বলার সুযোগ পায়। তৃণমূলের সম্পদ যেমন কর্মী, তেমন বাংলার সম্পদ হচ্ছেন দিদি। আজ বেহালা পশ্চিমের বিধায়ক হিসাবে আমি বলছি, আমরা মানুষের জন্য কাজ করছি ও আমার সবাইকে সুযোগ দিতে চাইছি সবাই যাতে দিদির সাথে কথা বলতে পারেন। জনসংযোগ করাই এই প্রকল্পের ক্ষেত্রে আমাদের একমাত্র উদেশ্য। দিদির সাথে কথা বললে সাধারণ মানুষও শান্তি পায়। এখানে সরাসরি মানুষ সুবিধা-অসুবিধার কথা বলতে পারবে। জনগনের সাথে দিদির শুধু একটি ফোনের ব্যবধান। আমরা জানি, মানুষ সেটা ব্যবহার করবেন। মানুষের সাথে যোগাযোগের এই পদক্ষেপে অনেকটা পোক্ত হবে সম্পর্ক। এতে যিনি বহু দূরে থাকেন, তিনিও উপকৃত হবেন। এতে আমারাও অনেক বেশি উৎসাহী। কারণ সব বিষয় দিদির কানে যাবে।’
পিকে ঠিক করে দিয়েছেন দলের যে মুখপাত্ররা সাংবাদিক বৈঠক করবেন, তাঁদের একটি নির্দিষ্ট টি শার্ট পরে তা করতে হবে।প্রত্যেকের গায়েই থাকবে সাদা রংয়ের টি-শার্ট৷ বুকে দলনেত্রীর ছবির সঙ্গে লেখা ‘দিদিকে বলো’৷ এদিন টি-শার্ট রাখা হয়েছিল পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের জন্যও৷ এ দিন নির্ধারিত সময়ের থেকে কিছুটা দেরিতেই পৌঁছন পার্থবাবু। তার আগে কর্মীদের ব্যস্ততা চলছিল। তাঁরাও ‘দিদিকে বলো’ টি শার্ট পরে রেডি হয়ে ছিলেন। পার্থবাবুর জন্য আনা হয়েছিল ‘এম’ সাইজের টি শার্ট। কর্মীরাও বুঝে নেন, এতেও হবে না পার্থদার। মন্ত্রী সেখানে যাওয়ার পর পুরোটা তাঁকে বলা হয়। শেষমেশ টি শার্ট ছাড়াই সাংবাদিক বৈঠক করতে হয় মহাসচিবকে। বৈঠকের শেষে হাতে টি শার্ট নিয়ে পার্থবাবুও মুচকি হেসে বলেন, “আমার সাইজে তো আর পাওয়া গেল না! তাই হাতে নিয়েই ছবি তুলি।”